This Article is From Jun 01, 2019

জয় শ্রী রাম ধ্বনি দেওয়া নিয়ে উত্তাল ব্যারাকপুর, বিজেপির বিক্ষোভে আটকে মন্ত্রীরা, লাঠিচার্জ পুলিশের

এবারও ঘটনাস্থল সেই উত্তর চব্বিশ পরগনার ব্যারাকপুর  এলাকায় কাঁচরাপাড়া। তৃণমূলের এক কর্মীর বাড়িতে বৈঠক করছিলেন রাজ্যের কয়েকজন মন্ত্রী। 

জয় শ্রী রাম ধ্বনি দেওয়া নিয়ে উত্তাল ব্যারাকপুর, বিজেপির বিক্ষোভে আটকে মন্ত্রীরা, লাঠিচার্জ পুলিশের

কাঁচরাপাড়া স্টেশনের বাইরে অবরোধ শুরু করেন বিজেপি কর্মীরা।

হাইলাইটস

  • আবারও জয় শ্রীরাম ধ্বনিকে ঘিরে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল পরিস্থিতি
  • এবারও ঘটনাস্থল সেই উত্তর চব্বিশ পরগনার ব্যারাকপুর এলাকায় কাঁচরাপাড়া
  • বিক্ষোভের জেরে আটকে পড়লেন রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্যরা
কলকাতা:

আবারও জয় শ্রীরাম ধ্বনিকে (Jai Shree Ram) ঘিরে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল পরিস্থিতি। এবারও ঘটনাস্থল সেই উত্তর চব্বিশ পরগনার ব্যারাকপুর  এলাকায় কাঁচরাপাড়া। তৃণমূলের এক কর্মীর বাড়িতে বৈঠক করছিলেন রাজ্যের কয়েকজন মন্ত্রী।  সে সময় বাড়ি চারপাশ থেকে ঘিরে দিয়ে জয় শ্রী রাম স্লোগান দিতে থাকেন বিজেপি কর্মীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে  পুলিশকে আসরে নামতে হয়। শুরু হয় লাঠিচার্জ। তার মধ্যেই ঘটনাস্থল থেকে বেরিয়ে যান রাজ্যের দুই মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং তাপস রায়।  পুলিশের লাঠিচার্জের  প্রতিবাদে কাঁচরাপাড়া স্টেশনের বাইরে অবরোধ শুরু করেন বিজেপি কর্মীরা। প্রায় ১৫ মিনিট অবরোধ চলে। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে না।

দখল হয়ে যাওয়া পার্টি অফিস দ্রুত পুনরুদ্ধারের নির্দেশ দিলেন মমতা

বিকেল চারটের কিছু পরে জগদ্দল থানার বাইরে বিক্ষোভ ধরনা কর্মসূচি শুরু করেছেন বিজেপি কর্মীরা। শোনা যাচ্ছে ব্যারাকপুরের সদ্য নির্বাচিত সাংসদ বিজেপি নেতা অর্জুন সিংও যোগ দিতে চলেছেন এই কর্মসূচিতে। বিজেপির দাবি অকারণেই পুলিশ তাদের   কর্মীদের মারধর করেছে। এর প্রতিবাদেই ধর্না কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। এমনিতেই জয় শ্রীরাম ধ্বনিকে কেন্দ্র করে গত কয়েক দিনে বারবার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে রাজ্যে। প্রথম ঘটনাটি ঘটে লোকসভা নির্বাচন চলার সময়। আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের একটি অংশ মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনার মধ্যে পড়ে। সেই এলাকায় প্রচার করতে গিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গাড়ি করে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় শ্রী রাম ধ্বনি দেওয়া  নিয়ে উত্তাল ব্যারাকপুর, বিজেপির বিক্ষোভে আটকে মন্ত্রী, লাঠিচার্জ পুলিশের যাওয়ার সময় কয়েকজন যুবক তাঁর গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিতে থাকে। মেজাজ হারান মুখ্যমন্ত্রী। গাড়ি থেকে নেমে আসেন তিনি। এই ঘটনায় কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয় পরে।

বাঙালি এবং অ-বাঙালি মানুষদের মধ্যে বিভাজন তৈরির চেষ্টা করছে বিজেপিঃ মমতা

গোটা বিষয়টিকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করে বিজেপি। প্রচার চলাকালীন এই ঘটনার পর থেকে রাজ্যে যত বার এসেছেন ততবারই এ  নিয়ে সরব হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। প্রত্যেককেই বলেছেন বাংলার অবস্থা এতটাই খারাপ যে এখানে জয় শ্রীরাম স্লোগান দিলেও গ্রেফতার করা হচ্ছে। কয়েক ধাপ এগিয়ে গিয়ে বিজেপি সভাপতি বলেছেন, "দিদি আমি  বাংলায় দাঁড়িয়ে জয় শ্রীরাম বলছি। একবার নয় হাজার বার বলব ক্ষমতা থাকলে আমাকে গ্রেফতার করুন"।

স্বজনহারাদের চোখে চোখ রাখতে পারবেন না বলেই শপথে এলেন না মমতাঃ দিলীপ

এরকম উত্তেজক রাজনৈতিক আবহে লোকসভা নির্বাচন সমাপ্ত হয়। ফলাফল প্রকাশের পর দেখা যায় বিজেপির ফল পশ্চিমবাংলায় আগের সমস্ত নজির ভেঙে দিয়েছে। গত নির্বাচনে আসন পাওয়া দল এবার ১৮ টি আসনে পৌঁছে গিয়েছে। এরপর নৈহাটি এলাকায় তৃণমূল কর্মীদের ঘরছাড়া করা হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। একই সঙ্গে দলীয় কার্যালয় দখল করে নেয়া হচ্ছে বলেও দাবি করে বাংলা শাসক দল। দু'ক্ষেত্রেই অভিযোগের আঙুল বিজেপির দিকে। ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরাতে নৈহাটি পুরসভার সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেন মমতা। পরে ভাটপাড়ায় এসে ফের একবার জয় শ্রীরাম ধ্বনি শুনতে হয় তাঁকে। আরও একবার মেজাজ হারান মমতা। সেই ঘটনার রেশ বজায় থাকল শনিবারও। ইতিমধ্যে বীজপুরের তৃণমূল বিধায়ক তথা মুকুল রায়ের পুত্র শুভ্রাংশু রায় শিবির বদল করেছেন। বিজেপিতে   লিখিয়েছেন তিনি। তাছাড়া নৈহাটি ভাটপাড়া এবং হালিশহর পৌরসভার অধিকাংশ কাউন্সিলরও দল বদল করে বিজেপিতে চলে গিয়েছেন। বিজেপির দাবি এই চারটি পুরসভার নিয়ন্ত্রণ এখন তাদের হাতে। এরই মধ্যে আরও একবার জয় শ্রীরাম ধ্বনি কে কেন্দ্র করে উত্তাল হল পরিস্থিতি।  

.