This Article is From May 31, 2019

বাঙালি এবং অ-বাঙালি মানুষদের মধ্যে বিভাজন তৈরির চেষ্টা করছে বিজেপিঃ মমতা

মমতা বলেন বিজেপি বাংলার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি (Communal harmony) নষ্ট করতে চায়। আমি বিজেপির মতো একটি রাজনৈতিক দলকে ঘৃণা করি।

বাঙালি এবং অ-বাঙালি মানুষদের মধ্যে বিভাজন তৈরির চেষ্টা করছে বিজেপিঃ মমতা

এদিন আবার জয় শ্রী রাম ধ্বনি শুনে মেজাজ হারান মুখ্যমন্ত্রী।

হাইলাইটস

  • বাঙালি আর অ-বাঙালিদের মধ্যে বিভাজন করতে চাইছে বিজেপিঃ মমতা
  • ওরা বাংলার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে চায়ঃ মমতা
  • বিজেপির মতো একটি রাজনৈতিক দলকে ঘৃণা করি আমিঃ মমতা
নৈহাটি:

রাজ্যের বাঙালি এবং অ-বাঙালি মানুষদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করার চেষ্টা করছে বিজেপি। এমনই অভিযোগ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (TMC Chief) । তিনি বলেন, ‘বিজেপি রাজ্যের মধ্যে বাঙালি আর অ-বাঙালিদের মধ্যে বিভাজন করতে চাইছে। ওরা বাংলার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি (Communal harmony) নষ্ট করতে চায়। আমি বিজেপির মতো একটি রাজনৈতিক দলকে ঘৃণা করি। আমি দেশের সাধারণ মানুষকে বলব বিজেপির এই সাম্প্রদায়িক বিভাজনের বিরুদ্ধে আপনারা সরব হন।' লোকসভা নির্বাচন (General Election) শেষ হওয়ার পর এই প্রথম রাজনৈতিক কর্মসূচি করলেন মুখ্যমন্ত্রী। নৈহাটি এলাকায় বহু তৃণমূল কর্মীকে ঘরছাড়া হতে হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরাতে উদ্যোগ নেন মমতা।  সে কারণেই বৃহস্পতিবার অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন মমতা। নৈহাটি পৌরসভার সামনে একটি মঞ্চে অনুষ্ঠান হয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন বিজেপির গুন্ডারা, ‘ ৪০০ বাঙালি পরিবারকে ঘরছাড়া করেছে। তাদের আমি ক্ষমা করব না।' 

নতুন মোদী সরকারের মন্ত্রিসভায় জায়গা হল না যে বড় মুখগুলির

 একটি প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন আমি জানতে পেরেছি পুলিশ কর্মীদের একাংশ বিজেপির সঙ্গে অশুভ আঁতাত করেছে। আমরা এ সমস্ত সহ্য করব না। যারা এ ধরনের কাজ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হবে। এদিকে আরএসএসের স্বয়ং সেবকদের সঙ্গে সমানে সমানে লড়াই করতে তৃণমূল কর্মীদের দুটি বিশেষ বাহিনী তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। তার মধ্যে একটি হল বঙ্গজননী বাহিনী অন্যটি হলো জয় হিন্দ বাহিনী। রাজ্যের সমস্ত ব্লকে এই দুই বাহিনী কাজ করবে। বিজেপি এবং আরএসএসের  ‘ভয়াবহতা' সম্পর্কে সচেতন করা এবং জনসংযোগ রক্ষা করাই এই দুই বাহিনীর কাজ হবে। 

মন্ত্রী নয়, মোদী সরকারে অস্থায়ী স্পিকারের দায়িত্বে মানেকা গান্ধী

এদিকে এদিন আবার জয় শ্রী রাম ধ্বনি শুনে মেজাজ হারান মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই ভাইরাল  হয়েছে সেই ভিডিও। লোকসভা নির্বাচন চলার সময় মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণাতেও এরকম ঘটনা ঘটেছিল। এবার ভাটপাড়াতেও একই ধরনের ঘটনা ঘটল। স্বভাবতই এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রচারে ঝড় তোলার সুযোগ পেয়েছে  বিজেপি।  

.