This Article is From Aug 31, 2020

সোমবার বাংলায় সম্পূর্ণ লকডাউন চলছে, পরবর্তী লকডাউনের দিনগুলোর জন্য কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা

Lockdown: করোনা ভাইরাসের গোষ্ঠী সংক্রমণ ভাঙার জন্যই গত ২৩ জুলাই থেকে সাপ্তাহিক সম্পূর্ণ লকডাউনের পরিকল্পনা করে রাজ্য সরকার

সোমবার বাংলায় সম্পূর্ণ লকডাউন চলছে, পরবর্তী লকডাউনের দিনগুলোর জন্য কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা
কলকাতা:

করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) সংক্রমণ যাতে দ্রুতহারে না ছড়ায় সেই লক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) মাসের মধ্যে বেশ কয়েকদিন সম্পূর্ণ লকডাউন (West Bengal Lockdown) করার পথেই এখন হাঁটছে রাজ্য সরকার। পূর্ব ঘোষণা মতোই আজ অর্থাৎ সোমবার দিনভর বাংলা জুড়ে সম্পূর্ণ লকডাউন চলছে। মানুষ যাতে লকডাউনের (Lockdown) নির্দেশিকা মেনে চলে তার জন্য সক্রিয় রয়েছে রাজ্য প্রশাসনও। শহর ও শহরতলীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে রয়েছে কড়া পুলিশ প্রহরা, বিভিন্ন জায়গায় চলছে পুলিশ ভ্যানের টহলদারিও। লকডাউনে বন্ধ সরকারি, বেসরকারি সমস্ত দফতর, পুরোপুরি বন্ধ সমস্ত গণ পরিবহণও, ফলে শুনশান রাস্তাঘাটও। শুধুমাত্র অতি আবশ্যকীয় পরিষেবাগুলোকে লকডাউনের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। খোলা রয়েছে পেট্রোল পাম্প ও ওষুধের দোকান। 

লকডাউনে শহরের বিভিন্ন জায়গায় নাকা চেকিং চলছে, রয়েছে কড়া নজরদারি। অযথা কাউকে বাইরে বেরতে দেখলেই তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। প্রয়োজনীয় নথিপত্র চেক করে তবেই গাড়ি ছাড়া হচ্ছে। লকডাউন বিধি অমান্য করলেই গ্রেফতার করা হচ্ছে বলেও জানা গেছে। 

রবিবারই কেন্দ্র আনলক ৪ এর সম্পূর্ণ নির্দেশিকা ঘোষণা করেছে। এখন থেকে কনটেইনমেন্ট জোন ছাড়া কোথাও সাধারণত লকডাউন হবে না। কোনও রাজ্য আলাদাভাবে লকডাউন করতে চাইলে তার নির্দিষ্ট কারণ দেখিয়ে কেন্দ্রের থেকে অনুমতি নিতে হবে। এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ৭, ১১ এবং ১২ সেপ্টেম্বর রাজ্যে সার্বিক লকডাউন হবে কি না তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। "আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেব", জানিয়েছেন রাজ্য সরকারের এক প্রবীণ কর্তা।

করোনা ভাইরাসের গোষ্ঠী সংক্রমণ ভাঙার জন্যই গত ২৩ জুলাই থেকে সাপ্তাহিক সম্পূর্ণ লকডাউনের পরিকল্পনা করে রাজ্য সরকার। চলতি অগাস্ট মাসের ৫, ৮, ২০, ২১, ২৭ এবং ৩১ তারিখ লকডাউনের দিন ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। পূর্ব ঘোষণা মতো এরপর আগামী সোমবার ফের রাজ্যে সম্পূর্ণ লকডাউন হওয়ার কথা। এখন কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা করে এবিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার সেটাই দেখার।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.