This Article is From Nov 05, 2019

ইউজিসির সংশোধিত পে স্কেল কার্যকর করতে চলেছে রাজ্য সরকার

সংশোধিত পে স্কেল কার্যকর হবে সরকারি কলেজ, রাজ্য সরকারের সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজ, এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ক্ষেত্রে

ইউজিসির সংশোধিত পে স্কেল কার্যকর করতে চলেছে রাজ্য সরকার

মঙ্গলবার রাজ্যের কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫,০০০ শিক্ষকে সমাবেশে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী

কলকাতা:

১ জানুয়ারি থেকেই উচ্চশিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির শিক্ষকদের জন্য ইউজিসির সংশোধিত পে স্কেল (UGC Pay Scale) কার্যকর করবে রাজ্য সরকার, মঙ্গলবার এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) । ৭তম কেন্দ্রীয় পে কমিশনের সুপারিশ মতো ইউজিসির সংশোধিত পে স্কেল কার্যকর করার ফলে রাজ্যের তহবিল থেকে অতিরিক্ত ১,০০০ কোটি টাকা খরচ হবে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার রাজ্যের কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫,০০০ শিক্ষকে সমাবেশে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী, সেখানেই তিনি এই ঘোষণা করেন। এই সংশোধিত পে স্কেল কার্যকর হবে সরকারি কলেজ, রাজ্য সরকারের সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজ, এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ক্ষেত্রে। এদিনের সমাবেশে মুখ্যমন্ত্রী আরও ঘোষণা করেন, ২০১৬-১৯, চার বছরের জন্য শিক্ষকদের বেতনের তিন শতাংশ বৃদ্ধি করা হবে। 

কালীপুজো মিটতেই হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাকিং নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী-রাজ্যপাল বাগযুদ্ধ

এদিনের সমাবেশে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই করতালিতে ফেটে পড়েন শিক্ষকরা। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমাদের এই পরিমাণ অর্থ জোগাড় করতে হবে। কিন্তু আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতি ফিরিয়ে নিতে পারি না”। এটিকে মন থেকে মেনে নেওয়ার জন্য শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “খুব কম রাজ্যই ইউজিসির সংশোধিত পে স্কেল কার্যকর করেছে। তবে আমরা এটা করলাম”। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “শিক্ষকরা দেশ গড়ার কারিগর”।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সবুজসাথী থেকে শুরু করে কন্যাশ্রী, আমরা কোনও প্রকল্প বন্ধ করতে পারি না। আমাদের সর্বশিক্ষা অভিযানও চালিয়ে যেতে হবে। নির্বাচনের আগে বড় বড় প্রতিশ্রুতি দিয়ে, তারপর সেগুলি কার্যকর করতে ভুলে গিয়ে, আমরা কেন্দ্রের মতো আচরণ করতে পারি না”। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “কেন্দ্র ও রাজ্যের আলাদা বেতন কাঠামো থাকা সত্ত্বেও, আমরা যতটা পারি, আপনাদের দেওয়ার চেষ্টা করি। আমাদের ওপর বিশ্বাস রাখুন”।

জম্মু ও কাশ্মীর থেকে রাজ্যের ১৩১ শ্রমিককে ঘরে ফিরতে সাহায্য করছেন মুখ্যমন্ত্রী

মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, পার্ট টাইম এবং অতিথি অধ্যাপকদের কাজের নিরাপত্তার জন্য, তাঁদের রাজ্য সরকারের সহায়তায় শিক্ষক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে এবং পূর্ণ সময়ের শিক্ষকদের মতোই ৬০ বছর পর্যন্ত কাজ করতে পারবেন তাঁরা।

পড়ুয়াদের নিয়ে যে সমস্ত কর্মসূচী রয়েছে, সেগুলি যাতে, নিয়মিত হয়, সেদিকেও নজর রাখার আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আপনারা যাতে শান্তিতে কাজ করতে পারেন, সেদিকটা আমরা দেখব। পড়ুয়াদের আহ্বান জানাব, তাঁরা যেন শিক্ষকদের যথাযথ সম্মান দেন। শিক্ষকদের বলব, সরকার আপনাদের পাশে রয়েছে। পড়ুয়া ও শিক্ষকদের থেকে পারষ্পরিক সৌহার্দ্য আশা করি”। মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন, বাংলা প্রতিভার অন্যতম পীঠস্থান, অনেক নোবেলজয়ী এই বাংলার মানুষ। তিনি বলেন, “বাংলার প্রতিভা সারা বিশ্বের ঈর্ষার”।

এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.