রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতালে সকাল ৯ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত বহির্বিভাগের চিকিৎসা বন্ধ থাকছে।
হাইলাইটস
- আজ রাজ্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে
- জুনিয়র চিকিৎসকদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন সিনিয়ররাও
- জরুরি বিভাগ খোলা রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে
কলকাতা: এনআরএস কাণ্ডের জেরে আজ রাজ্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। জুনিয়র চিকিৎসকদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন সিনিয়ররাও। রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতালে সকাল ৯ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত বহির্বিভাগের চিকিৎসা বন্ধ থাকছে। তবে জরুরি বিভাগ খোলা রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু তাতেও পরিষেবা কতটা স্বাভাবিক থাকবে তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে। এর পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালেও পরিষেবা বিঘ্নিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বেশিরভাগ হাসপাতালই চিকিৎসকদের পাশে থাকারা বার্তা দিয়েছে। এমতাবস্থায় রোগীদের কী হবে তা নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এমতাবস্থায় রোগীদের কী হবে তা নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। রোগীর আত্মীয়দের হাতে প্রহৃত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে । গত সোমবার রাতে বছর পঁচাত্তরের এক বৃদ্ধর মৃত্যু হয় এই হাসপাতালে। পরিবারের দাবি চিকিৎসকরা ঠিকমতো চিকিৎসা না করাতেই প্রাণ গিয়েছে তাঁর।এরপরই মহাম্মদ শাহিদ নামে মৃত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে বিক্ষোভ শুরু করেন। অভিযোগ সে সময় তারা কয়েকজন জুনিয়র চিকিৎসককে মারধর করেছেন। গোলমাল বাড়তে থাকে। হাসপাতাল কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেছিলেন এন্টালি থানার পুলিশ। তাতে একজন চিকিৎসক গুরুতর আহত হন। রাত ১১টা নাগাদ এই ঘটনাটি ঘটে। এরপর থেকেই আন্দোলন শুরু করেন জুনিয়র চিকিৎসক। হাসপাতালের মূল ফাটক আটকে বিক্ষোভ শুরু করেন ৫০ জন চিকিৎসক। রাতের পর বুধবার সকালেও সেই ঘটনার রেশ বজায় থাকে।
কর্মবিরতি শুরু করেন জুনিয়ার চিকিৎসকদের একটা বড় অংশ। এন আর এস হাসপাতালের বহির্বিভাগের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এই আন্দোলন ধীরে ধীরে কলকাতা এবং রাজ্যের অন্য মেডিকেল কলেজ গুলিতেও শুরু হয়।