This Article is From Aug 20, 2020

দিল্লির ২৯% মানুষের শরীরে কোভিড-১৯ এর অ্যান্টিবডি মিলেছে, প্রকাশ সমীক্ষায়

Sero-Survey: করোনার অ্যান্টিবডি সাধারণত তাঁদের মধ্যেই পাওয়া যায় যাঁরা নিজেদের অজান্তেই ওই রোগে আক্রান্ত হয়েও নিজে থেকেই সেরে উঠেছেন

Coronavirus: ১.৫ লক্ষেরও বেশি মানুষ দিল্লিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন

হাইলাইটস

  • দিল্লির মানুষের শরীরে করোনাকে আটকাতে অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে
  • ক্রমশই বাড়ছে এই ধরণের মানুষের সংখ্যা
  • করোনা সংক্রমণের মধ্যেও এটি একটি আশার খবর
নয়া দিল্লি:

দিল্লির ( Delhi) প্রায় এক তৃতীয়াংশ মানুষের মধ্যে কোভিড -১৯ এর অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে গেছে। সম্প্রতি দেশের রাজধানীতে একটি সমীক্ষা (Delhi Coronavirus Cases) করা হয়, যাতে ধরা পড়ে এই তথ্য। দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন বলেন, "দ্বিতীয় সেরো সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে রাজধানীর ২৯.১ শতাংশ বাসিন্দার শরীরে করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠেছে।" অর্থাৎ দিল্লির ৫৮ লক্ষ মানুষের শরীরে এখন অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে গেছে। ওই সমীক্ষায় (Delhi Serological Survey) আরও দেখা গেছে যে, দিল্লির দক্ষিণ পশ্চিম জেলাতেই সব থেকে বেশি মানুষ অর্থাৎ প্রায় ৩৩.২ শতাংশের মধ্যে এই অ্যান্টিবডির অস্তিত্ব মিলেছে। নয়া দিল্লি এলাকায় সেই তুলনায় এই পরিমাণ কিছুটা হলেও কম। সেখানে ২৪.৬ শতাংশের শরীরে মিলেছে অ্যান্টিবডি।

"বিজ্ঞানীরা মনে করছেন ৪০ শতাংশ মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে গেলে হার্ড ইমিউনিটির ব্যাপারটি শুরু হয়ে যাবে", একথাও বলেন দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তাঁর মতে, ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পরে যাঁদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে তাঁরা মোটামুটি আগামী ৬ থেকে ৮ মাস করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকবেন। "বিজ্ঞানীদের মতে অ্যান্টিবডিগুলো ৬ থেকে ৮ মাস পর্যন্ত প্রতিরোধকারী শক্তি হিসাবে কাজ করবে", একথাও বলেন সত্যেন্দ্র জৈন। মন্ত্রী নিজেও কিছুদিন করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।

এই সমীক্ষাটি দিল্লির মানুষজনের মধ্যে ১ থেকে ৭ অগাস্ট পর্যন্ত চালানো হয়। এর পর আগামী সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসেও এমন সমীক্ষা করার পরিকল্পনা রয়েছে দিল্লি সরকারের। গত জুলাইয়ে প্রথম সমীক্ষা করা হয়েছিল দিল্লিতে। তখন দেখা যায় যে রাজধানীর ২৩.৪৮ শতাংশ মানুষের মধ্যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে।

এবারের সমীক্ষার জন্য দিল্লির ১১ টি জেলা থেকে ১৫,০০০ মানুষের রক্তের নমুনা পরীক্ষার জন্য় নেওয়া হয়।

দিল্লি সরকার গত মাসেই ঘোষণা করে যে প্রতি মাসের শুরুতে একটি সেরো সার্ভে পরিচালনা করবে তাঁরা।

করোনা ভাইরাসের অ্যান্টিবডি সাধারণত তাঁদের মধ্যেই পাওয়া যায় যাঁরা নিজেদের অজান্তেই কোনো না কোনো ভাবে ওই রোগে আক্রান্ত হয়েও আবার নিজে থেকেই সেরে উঠেছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে রেকর্ড হারে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়েছে। ৬৯,৬৫২ জন নতুন করে এই মারণ রোগে আক্রান্ত হওয়ায় ভারতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের মোট সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮,৩৬,৯২৬ জন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক বৃহস্পতিবার যে পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে তাতে দেখা গেছে, তাজা সংক্রমণের হিসাবে ক্রমশই শক্তি বাড়াচ্ছে করোনা ভাইরাস। সেইসঙ্গে গত একদিনের মধ্যে দেশ জুড়ে এই রোগে মৃত্যু হয়েছে ৯৭৭ জনের, ফলে মারণ রোগে এখনও পর্যন্ত মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৫৩,৮৬৬ এ পৌঁছেছে। 

তবে এরই মধ্যে চিকিৎসা সহায়তায় কোভিড-১৯ (COVID-19) থেকে ২০.৯৬ লক্ষেরও বেশি মানুষ করোনার প্রকোপ কাটিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন, ফলে রোগ থেকে পুনরুদ্ধারের হার বেড়ে এখন ৭৩.৯০%।

.