This Article is From Jun 01, 2019

মমতাকে “জয় শ্রীরাম” লেখা ১০ লক্ষ পোস্টকার্ড পাঠানো হবে: বিজেপি

লোকসভা নির্বাচনে ঘাসফুলের বাগানে পদ্মফুল ফুটিয়েছে গেরুয়া শিবির। তা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।

মমতাকে “জয় শ্রীরাম” লেখা ১০ লক্ষ পোস্টকার্ড পাঠানো হবে: বিজেপি
কলকাতা:

“জয় শ্রীরাম” (Jai Shri Ram) স্লোগান নিয়ে উত্তাল রাজ্য। লোকসভা নির্বাচনে ঘাসফুলের বাগানে পদ্মফুল ফুটিয়েছে গেরুয়া শিবির (BJP)। তা নিয়ে তৃণমূলের (TMC) অন্দরে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। তারমধ্যেই কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে দিতে শুরু হয়েছে জয় শ্রীরাম। এরমধ্যে বিজেপির তরফে বলা হল, তৃণমূলনেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে “জয় শ্রীরাম”(Jai Shri Ram) লেখা ২০ লক্ষ পোস্টকার্ড পাঠানো হবে। সংবাদসংস্থা পিটিআইকে বিজেপি (BJP) নেতা তথা সাংসদ অর্জুন সিং(Arjun Sing) বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে আমরা জয় শ্রীরাম লেখা ১০ লক্ষ পোস্টকার্ড পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি”। তৃণমূলের (TMC) সভা চলকালীন বিল্ডিং এর বাইরে “জয় শ্রীরাম” স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। সেখানে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। তারপরেই এই  মন্তব্য করলেন অর্জুন সিংArjun Sing)।

জয় শ্রী রাম ধ্বনি দেওয়া নিয়ে উত্তাল ব্যারাকপুর, বিজেপির বিক্ষোভে আটকে মন্ত্রীরা, লাঠিচার্জ পুলিশের

তৃণমূল (TMC) সূত্রের খবর, উত্তর ২৪ পরগনার কাঁচড়াপাড়া এলাকায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়গুলি পুনরুদ্ধার করতে জড়ো হয়েছিলেন তৃণমূল কর্মীরা। কাঁচরাপাড়া এলাকাটি অর্জুন সিংArjun Sing) এর ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যেই পড়ে। এই কেন্দ্র থেকে এবার লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির (BJP) টিকিটে জিতেছেন তিনি। তৃণমূল (TMC) নেতা তথা রাজ্যের জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের অভিযোগ, এলাকায় ঝামেলা পাকানোর ষড়যন্ত্র করছেন মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু রায় এবং অর্জুন সিং।

দখল হয়ে যাওয়া পার্টি অফিস দ্রুত পুনরুদ্ধারের নির্দেশ দিলেন মমতা

পুলিশ সূত্রের খবর, এলাকায় যেখানে জড়ো হয়ে তৃণমূল কর্মীরা স্লোগান দিচ্ছিলেন, সেখানে উপস্থিত ছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, তাপস রায়, সুজিত বসু, মদন মিত্রের মতো নেতারা। সেখানে শান্তি বিঘ্নিত হতে পারত।  সূত্রের খবর, প্রথমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে রাফ(raf) এবং পুলিশ বাহিনী, পরে পরিস্থিতি হাতের নাগালের বাইরে চলে গেলে লাঠিচার্জ করা হয়। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “এটা নজিরবিহীন। আমরা এই সংস্কৃতি বাংলায় দেখিনি।এটা বিজেপির (BJP) সংস্কৃতি”। অভিযোগ অস্বীকার করে অর্জুন সিংArjun Sing) বলেন, “বোকার মতো কথা বলছেন তৃণমূল নেতারা।মানুষ তৃণমূলকে প্রত্যাখ্যান করছে এবং এটাই তাদের প্রতিক্রিয়া”। 

রাজ্যে ৪২ আসনের মধ্যে ১৮টিতে জয়লাভ করেছে বিজেপি (BJP)। তারপরেই জোড়াফুল শিবিরের নেতারা দল বদল করে যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। 

প্রতিবাদ নিয়ে তাঁরা পুলিশে অভিযোগ জানাবেন কিনা, তার উত্তরে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, রাজনৈতিকভাবে এর মোকাবিলা করবে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) । জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আরও অভিযোগ, তাঁর গাড়িতে হামলার চেষ্টা করা হয়েছিল।

ভোটে হেরে একাধিক গ্রামের টিউবওয়েল ভেঙে দিয়েছে তৃণমূলঃ বিজেপি

এলাকায়  উত্তেজনা তৈরি হওয়ায় দোকান এবং বাজার বন্ধ হয়ে যায়। তিনি বলেন, “কাউকে গ্রেফতার করা হয় নি। তবে পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। এলাকায় যাতে শান্তি বিঘ্নিত না হয়, তার জন্য সমস্ত রকম পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে”।

.