This Article is From Apr 17, 2019

বিমানবন্দরের মাঝেই বিশাল জলপ্রপাত! দেখুন পৃথিবীর উচ্চতম অভ্যন্তরীণ জলপ্রপাতের ছবি

৪০ মিটার (প্রায় ১৩০ ফুট) অভ্যন্তরীণ ওই জলপ্রপাত থেকে ইস্পাত এবং কাঁচের বিশাল গম্বুজের মধ্যে দিয়ে জল পড়ছে গড়ে তোলা জঙ্গলের মধ্যে।

বিমানবন্দরের মাঝেই বিশাল জলপ্রপাত! দেখুন পৃথিবীর উচ্চতম অভ্যন্তরীণ জলপ্রপাতের ছবি

জুয়েল চ্যাঙ্গি বিমানবন্দরে (Jewel Changi Airport) রয়েছে পৃথিবীর উচ্চতম অভ্যন্তরীণ জলপ্রপাত (world's tallest indoor waterfall)

সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দর (Singapore's Changi Airport) দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের অন্যতম সেরা বিমানবন্দর হিসাবে বিবেচিত। তবে এই মুকুটে যুক্ত হয়েছে নয়া পালক। বুধবার, ১৭ এপ্রিল, বিমানবন্দরে উদ্বোধন করা হল এর বহুপ্রতীক্ষিত ‘জুয়েল সেন্টার' (Jewel centre)! চার বছর সময় ধরে একটু একটু করে গড়ে তোলা হয়েছে, বিশাল জুয়েল সেন্টারটি। এটি বিমানবন্দরের তিনটি টার্মিনালকে সংযোগ করে। পুরো অংশটি ১.৪ মিলিয়ন বর্গফুট জুড়ে বিস্তৃত। 

খাদের কিনারায় ঝুলন্ত স্ত্রীর ছবি পোস্ট করলেন স্বামী, নিন্দার ঝড় সোশ্যাল মিডিয়ায়

জুয়েল চ্যাঙ্গি বিমানবন্দরের ডোনাট আকৃতির, গ্লাস এবং ইস্পাত কাঠামোর বাগান পুরোটা মিলিয়ে চারতলা। এখানে ২৮০ টিরও বেশি খুচরো ও খাবারের দোকান, একটি হোটেল এবং একটি সিনেমা হল রয়েছে। তবে এর সবচেয়ে আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য হল এটির কেন্দ্রস্থল। যেখানে রয়েছে বিশ্বের সর্বোচ্চ অভ্যন্তরীণ জলপ্রপাত (world's tallest indoor waterfall)।

৪০ মিটার (প্রায় ১৩০ ফুট) অভ্যন্তরীণ ওই জলপ্রপাত থেকে ইস্পাত এবং কাঁচের বিশাল গম্বুজের মধ্যে দিয়ে জল পড়ছে গড়ে তোলা জঙ্গলের মধ্যে। ‘রেন ভোর্টেক্স' নামে পরিচিত বৃহৎ জলপ্রপাতটি ইতিমধ্যেই বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত ট্যুরিস্ট স্পট হিসেবেও জনপ্রিয় হয়ে উঠতে চলেছে।

সিএনএন অনুসারে, জুয়েল চ্যাঙ্গির ‘শিসেইডো অরণ্য উপত্যকা' (Shiseido Forest Valley) হল জলপ্রপাতের চারপাশে অবস্থিত ২৩৫,০০০ হাজার বর্গফুটেও বেশি এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে থাকা একটি চার-তলা বাগান। প্রাকৃতিক নানা দৃশ্যের ভেতর দিয়ে সময় কাটানোর জন্য রয়েছে হাঁটা পথও। সিঙ্গাপুরের চ্যাঙ্গি বিমানবন্দর তাঁদের ফেসবুক পেজে জানিয়েছে, গাছেদের বৃহত্তম অভ্যন্তরীণ সংগ্রহগুলি  উপভোগ করতে হলে পাথর বিছানো পথে হাঁটতে হবে দর্শকদের। 

কান্নার জল খেয়ে মহিলার চোখের মধ্যে বেঁচে রয়েছে ৪ টি মৌমাছি! তাজ্জব চিকিৎসকরা

চ্যাঙ্গি বিমানবন্দর গ্রুপের এয়ারপোর্ট অপারেশন ম্যানেজমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জেসন গোহ সিএনএনকে বলেন, “বৃষ্টির জল সংগ্রহ করা হয় এবং এটি ভোর্টেক্সের অংশও হয়ে যায়।"

তাঁর কথায়, “আমরা প্রকৃতপক্ষে জলপ্রবাহের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। আমাদের ভোর্টেক্সের নিচে বৃষ্টির জল সংগ্রহ করার জন্য ট্যাংক রয়েছে যাতে আমরা এটি পুনর্ব্যবহার করতে পারি। যখন বৃষ্টিপাত অতিরিক্ত পরিমাণে হতে থাকে, তখন এই জল বন উপত্যকায় উদ্ভিদের সেচের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।"

সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হওয়া এয়ারপোর্টের অন্যান্য অত্যাশ্চর্য ছবিতে এর একটি জানলাও দেখা যাচ্ছে যা ৯ হাজারের বেশি কাঁচের প্যানেলে দিয়ে তৈরি রয়েছে।

বাইরের পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্র হয়ে ওঠার পাশাপাশি জুয়েল চ্যাঙ্গি বিমানবন্দরটি স্থানীয় অধিবাসীদের জন্যও বিশেষ গন্তব্য হয়ে উঠবে বলেই আশা কর্তৃপক্ষের।

Click for more trending news


.