This Article is From May 27, 2020

আমফানের তাণ্ডবের জের, রাজ্যের স্কুলগুলো ৩০ জুন পর্যন্ত বন্ধ রাখার ঘোষণা

West Bengal: ঘূর্ণিঝড় আমফানের কারণে রাজ্যের বিভিন্ন কলেজ সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তার পরিমাণ কমপক্ষে ৭০০ কোটি টাকা

আমফানের তাণ্ডবের জের, রাজ্যের স্কুলগুলো ৩০ জুন পর্যন্ত বন্ধ রাখার ঘোষণা

Partha Chatterjee: রাজ্যের স্কুলগুলো ৩০ জুন পর্যন্ত বন্ধ রাখার ঘোষণা (ফাইলচিত্র)

হাইলাইটস

  • রাজ্যের স্কুলগুলো বন্ধ রাখার দিন আরও কিছুদিন বাড়ানো হল
  • শিক্ষামন্ত্রী জানান, আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বন্ধ রাখা হবে রাজ্যের স্কুলগুলো
  • তবে উচ্চমাধ্যমিকের বাকি তিনটি পরীক্ষা নির্ধারিত দিনেই হবে, বলেন তিনি
কলকাতা:

করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) সংক্রমণ থেকে বাঁচতে জারি লকডাউনের (Lockdown) কারণে আগামী ১০ জুন পর্যন্ত রাজ্যের (West Bengal) সমস্ত স্কুলগুলো বন্ধ রাখার ঘোষণা আগেই করা হয়েছিল, এবার স্কুল (West Bengal's School) বন্ধের মেয়াদ আরও বাড়ানো হল। বুধবার পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় আমফানের কারণে রাজ্যের কমপক্ষে ৮টি জেলায় বহু স্কুল ভবন ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বন্ধ রাখা হবে সব স্কুল। তাছাড়া এমন আশঙ্কাও করা হচ্ছে যে, ভিনরাজ্য থেকে বাংলায় ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের অনেককেই হয়তো করোনা সংক্রমিত সন্দেহে কোয়ারান্টাইন করে রাখতে হবে। সেইজন্যেও বেশ কিছু স্কুলের ভবনগুলোকে আপাতভাবে কোয়ারান্টাইন সেন্টার বানানোর প্রয়োজন হতে পারে। তাই সবদিক বিবেচনা করেই রাজ্যের স্কুলগুলো ৩০ জুন পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেই জানান শিক্ষামন্ত্রী (Partha Chatterjee) ।

মহারাষ্ট্র থেকে "বাংলায় করোনা ছড়াচ্ছে" ভারতীয় রেল: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

বুধবার বিকাশ ভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে করে পার্থ চট্টোপাধ্যায় আরও জানান যে, উচ্চমাধ্যমিকের যেকটি পরীক্ষা বাকি আছে তা পূর্বঘোষিত তারিখ অনুযায়ী ২৯ জুন, ২ ও ৬ জুলাইয়েই সম্পন্ন করা হবে।  তবে প্রয়োজনে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্র বদলও হতে পারে। চেষ্টা করা হচ্ছে, যতটা সম্ভব কাছাকাছি স্কুলে পরীক্ষা কেন্দ্র করা যায়। পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে পৌঁছানোর জন্য পরিবহণের ব্যবস্থাও করা হবে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী।

প্রায় ১০০ কিলোমিটার বেগে কালবৈশাখীর ঝড় কলকাতায়

পার্থ চট্টোপাধ্যায় আরও জানান যে, ঘূর্ণিঝড় আমফানের কারণে ফলে ৪৬২ টি পরীক্ষা কেন্দ্রের ক্ষতি হয়েছে এবং তার জন্যে বিকল্প স্থান বাছতে হবে। এই ক্ষতিগ্রস্ত পরীক্ষা কেন্দ্রগুলি মূলত কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, নদিয়া, হুগলি এবং হাওড়া জেলায় অবস্থিত।

তিনি আরও বলেন, এই ঘূর্ণিঝড়ের ফলে ক্ষতিগ্রস্থ পড়ুয়াদের, বিশেষত উচ্চমাধ্যমিক স্তরের পডুয়াদের বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক সরবরাহের প্রস্তাবের বিষয়টিও বিবেচনা করছে রাজ্য সরকার।

জানা গেছে,  প্রাথমিক অনুমান অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড় আমফানের কারণে রাজ্যের বিভিন্ন কলেজ সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তার পরিমাণ কমপক্ষে ৭০০ কোটি টাকা।

.