This Article is From Mar 19, 2020

‘জনতা কার্ফু’-র ডাক প্রধানমন্ত্রীর, রবিবার সকাল ৭টা-রাত ৯টা বাড়িতে থাকার আর্জি সকলকে

আগামী রবিবার ‘জনতা কার্ফু’-র ডাক দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রবিবার সকাল ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সকলকে নিজের বাড়িতেই থাকার আর্জি জানালেন তিনি।

রবিবার ‘জনতা কার্ফু’-র ডাক দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

হাইলাইটস

  • আগামী রবিবার ‘জনতা কার্ফু’-র ডাক দিলেন প্রধানমন্ত্রী
  • রবিবার সকাল ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বাড়িতেই থাকার আর্জি সকলকে
  • বৃহস্পতিবার জনতার উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় একথা বলেন তিন‌ি
নয়াদিল্লি:

আগামী রবিবার ‘জনতা কার্ফু'-র (Janta Curfew) ডাক দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) সঙ্গে লড়তে সমস্ত নাগরিককে রবিবার সকাল ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত নিজের বাড়িতেই থাকার আর্জি জানালেন তিনি। বৃহস্পতিবার জনতার উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘জনতা কার্ফুতে, কোনও মানুষ বাড়ি থেকে বেরোবেন না অথবা কোনও জমায়েতে যাবেন না। কেবল যাঁরা অত্যাবশ্যক কাজকর্মের সঙ্গে জড়িত তাঁরাই বেরোবেন।'' তিনি বলেন, সব নাগরিকেরই এটা মেনে চলা দরকার। তিনি আরও বলেন, ‘‘ওইদিন, বিকেল ৫টায় আমরা আমাদের ব্যালকনি, জানলা বা দরজায় দাঁড়াব ৫ মিনিটের জন্য। আমরা সেই সময় ঘণ্টা বাজিয়ে, সাইরেন বাজিয়ে, হাততালি দিয়ে কিংবা বাটি বাজিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করব তাঁদের উদ্দেশে যাঁরা অত্যাবশ্যক কাজগুলি করে চলেছেন।''

এদিন প্রধানমন্ত্রী সকলের কাছে আর্জি জানান, কেউ যেন আতঙ্কিত হয়ে বেশি করে কেনাকাটা শুরু না করেন। তিনি বলেন, দুধ, ওষুধ ও খাদ্যের মতো প্রয়োজনীয় দ্রব্যের কোনও অভাব হবে না।

করোনার কারণে ভারতে অবতরণ নয় কোনও আন্তর্জাতিক বিমানের

‘জনতা কার্ফু' সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী মত, এই একদিনের অভ্যাসের ফলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নতুন শৃঙ্খলা তৈরি হবে। তিনি বলেন, ‘সংযম ও সংকল্প'-কে কাজে লাগিয়েই সকলকে করোনা ভাইরাসের সঙ্গে লড়তে হবে।

তিনি বলেন, ‘‘আমি আপনাদের থেকে আগামী কয়েকটি দিন চেয়ে নিচ্ছি, আমি আপনাদের সময় চাইছি।'' 
প্রধানমন্ত্রী জানান, করোনা ভাইরাস সভ্যতার সঙ্কট। বিশ্বযুদ্ধের চেয়েও বেশি সংখ্যক দেশ এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

করোনা সংক্রমণে ভারতে চতুর্থ মৃত্যু হল পঞ্জাবে

তিনি বলেন, ‘‘এর কোনও চিকিৎসা নেই। তাই আমাদের সুস্থ থাকতে হবে। ভিড়কে এড়িয়ে আমাদের ঘরে থাকতে হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা কঠিন। কিন্তু আপনি যদি মনে করেন আপনি অনায়াসে যেখানে সেখানে ঘুরতে পারেন এবং আপনার কোনও ঝুঁকি নেই, সেটা ঠিক নয়। এতে আপনি নিজেকে ও আপনার পরিবারকে বিপদে ফেলছেন।''

বৃহস্পতিবার নতুন করে ১৮ জনের শরীরে ধরা পড়েছে করোনা সংক্রমণ। এর ফলে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ১৭৩।

এদিন প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি দুধ, ওষুধপত্র ও খাদ্যের সরবরাহ যাতে ব্যাহত না হয় তার জন্য সমস্ত পদক্ষেপ করা হয়েছে। মজুত করবেন না। অন্যের প্রয়োজন সম্পর্কে স্পর্শকাতর থাকুন।''

এদিন সরকার নতুন কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তার মধ্যে অন্যতম, রবিবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য আন্তর্জাতিক বিমান দেশে চালু হবে না। পাশাপাশি অধিকাংশ সংস্থার কর্মীদের বাড়িতে বসে কাজ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এদিকে ১০-এর কম ও ৬৫-র বেশি বয়সিদের বাড়ি থেকে বেরোতে বারণ করা হয়েছে। 
এদিকে পঞ্জাব শুক্রবার মধ্যরাত থেকে রাজ্যে সমস্ত পরিবহন পরিষেবা বন্ধ করার ঘোষণা করেছে। তারাই দেশের প্রথম রাজ্য যারা এমন ঘোষণা করল।

ভারত করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় স্টেজে রয়েছে। অর্থাৎ এখন স্থানীয় ভাবে ছড়াচ্ছে, যেটাকে চিহ্নিত করা সম্ভব।

দেশের অধিকাংশ স্থানে স্কুল, কলেজ, থিয়েটার, মল ও দোকান বন্ধ রাখা হয়েছে। ধর্মীয় সমাবেশ ও বিয়েও বন্ধ করা হয়েছে।

.