This Article is From Nov 27, 2019

পদত্যাগ করলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পরেই পদত্যাগ, আস্থা ভোটের সম্মুখীন হতে বলে সুপ্রিম কোর্ট

দেবেন্দ্র ফড়নবিশ বলেন, প্রথমদিন থেকেই বিজেপি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কোনও ঘোড়া কেনাবেচা করা হবে না

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) আস্থা ভোটের একদিন আগেই পদত্যাগ করেন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ (Devendra Fadnavis) । উপমুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছে অজিত পাওয়ার। সাংবাদিকদের দেবেন্দ্র ফড়নবিশ বলেন, “আমায় তাঁর পদত্যাগপত্র দিয়েছে অজিত পাওয়ার।  প্রথমদিন থেকেই বিজেপি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমরা কোনও ঘোড়া কেনাবেচায় যুক্ত থাকব না। আমরা সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, কারণ এনসিপি আমাদের সঙ্গে ছিল। যখন তিনি পদত্যাগ করেছেন, আমিও পদত্যাগ করব”। তাঁর কথায়, “বিজেপি জনরায় পেয়েছে। মানুষের রায় অনুযায়ী, আমরা সরকার গঠনে চেষ্টা করেছিলাম, তবে শিবসেনা মনে করেছে, এটা সংখ্যার খেলা, আমরা মনে করি, তাদের দরকষাকষির ক্ষমতা বাড়তে পারে”।

পদত্যাগ করবেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশও? মহারাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ ঠিক করতে বৈঠক মোদি-অমিত শাহের

দেবেন্দ্র ফড়নবিশকে আস্থা ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট, ঠিক তারপরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। তারপর ইস্তফা দিলেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। মহারাষ্ট্রে দলের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সেখানে দেবেন্দ্র ফড়নবিশের পদত্যাগ করা উচিত, নাকি আস্থা ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করা উচিত, তা নিয়ে বৈঠক হয়, তবে বিজেপির পক্ষে মহারাষ্ট্র বিধানসভায় আস্থা ভোটে জয়লাভ করে কঠিন। বৈঠকের পরেই দেবেন্দ্র ফড়নবিশের কাছে মেসেজ যায়।

শনিবার সকাল ৭.৫০টায় হঠাৎ করেই শপথগ্রহণ করেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ এবং অজিত পাওয়ার, সেই সরকার গঠনকে অগণতান্ত্রিক এবং অসাংবিধানিক বলে মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়।

‘‘বিজেপির খেলা শেষ'': শীর্ষ আদালতের নির্দেশের পর এনসিপি নেতা নবাব মালিক

মহারাষ্ট্রের ২৮৮ আসনের মধ্যে ১০৫টিতে জয়লাভ করে বিজেপি, সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য তাদের প্রয়োজন ছিল আরও ৪০টি আসন। দেবেন্দ্র ফড়নবিশ দাবি করেন, তাঁর দিকে ১৭০ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে, তারমধ্যে রয়েছে এনসিপির পরিষদীয় নেতা অজিত পাওয়ারের দাবিমতো ৫৪জন বিধায়কের আনুমানিক সমর্থন।

হঠাৎ করে বিজেপির উথ্থানের নেপথ্যে ছিল অজিত পাওয়ারের মেরু পরিবর্তন। তাঁর দিকে ৫৪ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে বলে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন তিনি।

পরবর্তীকালে, প্রায় সমস্ত বিধায়করাই দলের পক্ষে চলে আসেন, এবং গতকাল সন্ধ্যায় মুম্বইয়ের পাঁচতারা হোটেলে দলের শক্তিপ্রদর্শনে উপস্থিত ছিলেন প্রায় ৫০জন। পরিষ্কার হয়ে যায়, দলের মধ্যে একঘরে হয়ে যাচ্ছেন অজিত পাওয়ার এবং বিজেপির পক্ষে আদৌ সংখ্যাগরিষ্ঠ বিধায়ক নেই। 

আস্থা ভোটের আগে উপ মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ অজিত পাওয়ারের

এদিন সকালে, শিবসেনা-এনসিপির দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, “২৪ ঘন্টার মধ্যে” সম্প্রচারিত মাধ্যমে সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে হবে দেবেন্দ্র ফড়নবিশকে। শীর্ষ  আদালত রায়ে জানায়, “যদি আস্থা ভোটে দেরী হয়, সেক্ষেত্রে ঘোড়া কেনাবেচার আশঙ্কা রয়েছে, গণতান্ত্রিক মূল্য রক্ষা করতে হস্তক্ষেপ করা আদালতের দায়িত্ব। সত্ত্বর আস্থা ভোট, এই ধরণের ক্ষেত্রে সেটা করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকর হয়”।

গতকাল, আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ, একটি ত্রাণ তহবিলের চেকে স্বাক্ষর করার পাশাপাশি নতুন মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক করেন। তবে অনুষ্ঠানিকভাবে যোগ  দেননি অজিত পাওয়ার। গতকাল সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে হাজির ছিলেন না তিনি এবং আজ সকালে ২৬/১১ স্মরণসভাতেও গড় হাজির ছিলেন।

তাঁর অনুপস্থিতিতে জল্পনা ছড়ায়, সরকার থেকে পদত্যাগ করে তাঁকে দলে ফেরানোর চেষ্টা করছেন তাঁর কাকা শরদ পাওয়ার।

পদত্যাগের আগে, দেবেন্দ্র ফড়নবিশের সঙ্গে দেখা করেন তিনি এবং জানিয়ে দেন, কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন না তিনি, খবর এমনই।

.