This Article is From Jun 27, 2019

শহরে চাঞ্চল্য! ফের হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা স্কুল পড়ুয়ার

জিডি বিড়লা গার্লস হাই স্কুলের দশম শ্রেণির পড়ুয়ার আত্মহত্যার ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল শহরে।

শহরে চাঞ্চল্য! ফের হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা স্কুল পড়ুয়ার

পুলিশ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে (প্রতীকী)

কলকাতা:

বিড়লা গার্লস হাই স্কুলের দশম শ্রেণির পড়ুয়ার (class 10 student) আত্মহত্যার ঘটনার পাঁচদিন পরে (Five days after) ফের একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল শহরে। পুলিশ সূত্রে খবর, দক্ষিণ কলকাতার আরও এক প্রথম সারির স্কুলের এক ছাত্রী কব্জির শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করে (attempted suicide) মঙ্গলবার। স্কুল কর্তৃপক্ষের নজরে বিষয়টি আসতেই প্রাণে বেঁচে যায় সে। কলকাতা পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন অফিসার জানান, "আমরা খবর পেয়েছি। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষ পুরো বিষয়টি নিজেরাই মিটিয়ে নেওয়ায় থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তিনি আরও বলেন, বালিগঞ্জ স্কুলের এক ছাত্রী এমন অঘটন ঘটাতে গিয়েছিল। গড়িয়াহাট থানার অফিসার জানিয়েছেন এই কথা। 

আমেরিকায় খুন এক ভারতীয় শিশু, তাঁর শরীরের বিভিন্ন অংশ খেল ম্যাগটে

ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ফের  চাঞ্চল্য ছড়ায় শহর জুড়ে। প্রশ্ন ওঠে, কেন বারবার পড়ুয়ারা এভাবে আত্মনিধনে মেতেছে? ঘটনা প্রসঙ্গে বিদ্যালয়ের সহ অধ্যক্ষার বক্তব্য, গত সপ্তাহের ঘটে যাওয়া ঘটনার পর থেকেই সজাগ হয়ে গেছিলাম আমরা। লাস্ট পিরিয়ডে ওই ছাত্রী সবার অলক্ষ্যে বাথরুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। তারপরেই সঙ্গে আনা ধারালো ব্লেড দিয়ে হাতের শিরা কেটেে ফেলে। 

তারপরেই ক্লাসের বাকি ছাত্রীরা জানায়, হাতের শিরা কেটে গুরুতর আহত অবস্থায় বাথরুমে পড়ে রয়েছে তাদের সহপাঠী। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে গিয়ে দরজা ভেঙে তাকে বের করে নিয়ে আসি। হাতের ক্ষত খুব গভীর না হওয়ায় ক্ষতস্থান পরিষ্কার করে ফার্স্ট এইড দিতেই প্রাণে বেঁচে যায় সে।

সম্ভবত, মা-বাবার মনোযোগ আকর্ষণ করতেই এমন অঘটন ঘটিয়েছে ছাত্রীটি। দাবি, স্কুল কর্তৃপক্ষের। তবে শারীরিক আঘাত গুরুতর না হলেও মানসিক ভাবে যে ওই ছাত্রী বিপর্যস্ত, মেনে নিয়েছে স্কুল। বাকি ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে কর্তৃপক্ষ জানতে পেরেছেন, হাতের শিরা কেটে হোয়াটস অ্যাপে ছবি তুলে মা-বাবাকে দেখানোই উদ্দেশ্য ছিল ওই পড়ুয়ার। ঘটনার পরের দিনই সপ্তম শ্রেণির আরেক পড়ুয়ার ব্যাগে খোলা ব্লেড দেখতে পেয়ে ফের আতঙ্কিত হয়ে পড়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ।

 কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের ছেলে সরকারি আধিকারিককে পেটালেন ব্যাট দিয়ে

প্রসঙ্গত, ২১ জুন রানিকুঠির জিডি বিড়লা স্কুলের দশম শ্রেণির এক ছাত্রী বাথরুমে মুখে প্লাস্টিক বেঁধে হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যা করে। ঘটনা জানাজানি হতেই তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে এলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। ঘটনা সম্পর্কে শহরের বিশিষ্ট মনোবিদ সব্যসাচী মিত্র জানিয়েছেন, খুব খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে  এই প্রজন্ম। আত্মহননের নেশায় মেতেছে তারা। সামান্য কিছু ঘটলেই অভিমানে নিজেদের শেষ করে ফেলছে। যত দিন যাচ্ছে ততই বাড়ছে এই অঘটন। স্পর্শকাতর, অনুভূতিপ্রবণ নতুন প্রজন্মকে শুধরে ঠিক পথে পরিচালনার দায় আমাদেরই।

.