গোটা বিশ্বে এখন আতঙ্কের একটাই নাম করোনা ভাইরাস। এই রোগ (Coronavirus) মহামারীর আকারে সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ছে। অসংখ্য মানুষের প্রাণ তো যাচ্ছেই, পাশাপাশি মুখ থুবড়ে পড়েছে গোটা বিশ্বের অর্থনীতি। এই রাক্ষুসে ভাইরাসের হাত থেকে রেহাই পায়নি পৃথিবীর অন্যতম উন্নত দেশ জার্মানিও। সেদেশে (Germany) ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষজন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং ইতিমধ্যেই ৪০০ জনেরও বেশি মানুষের প্রাণ কেড়েছে ওই মারণ রোগ। আতঙ্কের কারণে একরকম স্তব্ধ জার্মানির ব্যবসায়িক বিনিয়োগ সহ সামগ্রিক বাণিজ্যিক লেনদেনও। এই সব দেখে শুনে আর চাপ নিতে পারেননি জার্মানির অর্থমন্ত্রী থমাস শেফার, আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন তিনি। সেদেশের সংবাদসংস্থা ডাইচে ভেলের প্রতিবেদন অনুসারে, হেসে স্টেটের একটি রেললাইনের পাশেই পাওয়া যায় তাঁর (Thomas Schaefer) মৃতদেহ।
ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০০০ পেরলো, মৃত ২৭: ১০টি তথ্য
৫৪ বছরের থমাস শেফার কিছুদিন ধরেই দেশের অর্থনীতি নিয়ে গভীর দুশ্চিন্তায় ছিলেন বলে খবর। তাঁর এই আত্মহত্যার ঘটনায় গভীরভাবে শোকাহত জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মর্কেল।
ঘটনাটি নিয়ে হেসের মুখ্যমন্ত্রী ফোলকার বুফিয়ার বলেছেন, 'আমরা হতবাক। আমরা এই খবরটি বিশ্বাসই করতে পারছি না। আমরা সত্যিই খুবই দুঃখিত হয়ে পড়েছি এই দুঃসংবাদ পেয়ে"। তিনি আরও জানান যে, "করোনা ভাইরাসের প্রভাবে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সঙ্কট থেকে মুক্তি পেতে বিভিন্ন ব্যাংকিং সংস্থাগুলির আর্থিক পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হয়েছে। এই অবস্থায় সেই সংস্থাগুলো যাতে ঘুরে দাঁড়াতে পারে সে বিষয়ে সাহায্য করতে দিন-রাত এক করে কাজ করে যাচ্ছিলেন অর্থমন্ত্রী থমাস শেফার"। এই হেসে স্টেটেই জার্মানির আর্থিক রাজধানী ফ্রাঙ্কফুর্ট রয়েছে, যেখানে ডয়চে ব্যাংক এবং কোমারজা ব্যাংকের সদর দফতর রয়েছে। ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংকও ফ্রাঙ্কফুর্টেই অবস্থিত। কিন্তু করোনা ভাইরাসের প্রভাবে রীতিমতো ধুঁকছে জার্মানির অর্থনীতি।
লকডাউনে মাছে-ভাতে বাঙালির জন্যে এবার অনলাইনেই মাছ
যেভাবে অর্থমন্ত্রী আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন তা দেখে শঙ্কিত জার্মানির প্রশাসন। চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মর্কেলের ঘনিষ্ঠ সহযোগী বুফিয়ার বলেন, "এখন আমরা বুঝতে পারছি যে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতি হওয়া নিয়ে তিনি খুবই চিন্তিত ছিলেন"।
(আত্মহত্যা কোনও সমস্যার সমাধান নয় । আপনার যদি এ বিষয়ে কোনও সহায়তার প্রয়োজন হয় বা সহায়তা প্রয়োজন এমন কাউকে যদি আপনি জানেন তবে দয়া করে নিকটস্থ মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করুন)