দেশের ৯০টি শহরে লকডাউনের ফলে দুষণের মাত্রা কমেছে, তারমধ্যে রয়েছে রাজধানী দিল্লিও।
নয়াদিল্লি:
করোনা ভাইরাসের কারণে দেশজুড়ে ডাকা ২১ দিনের লকডাউন যাতে সুনিশ্চিতভাবে পালন করা যায়, তার জন্য রাজ্যগুলিকে দেখভাল করতে বলেছে কেন্দ্র, ১০০০ পেরিয়েছে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, এই পরিস্থিতিতে পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে ঢোকার সংখ্যা কমাতে চায় সরকার। লকডাউন ভাঙা নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন, যাঁরা লকডাউন ভাঙছেন, তাঁরা “নিজেদের জীবন নিয়ে খেলা” করছেন। লকডাউনের ফলে গরীব মানুষের সমস্যায় পড়তে হয়েছে বলে ক্ষমা চেয়ে নেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। পাশাপাশি জানান, সময়ের চাহিদা এটাই ছিল।
রইল ভারতে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নানা বিষয়ের দশটি তথ্য:
রবিবারের মন কি বাতে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “এই কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আমি ক্ষমা চাইছি, যার ফলে আপানাদের সমস্যা তৈরি হয়েছে, বিশেষ করে গরীব মানুষদের। আমি জানি, আপনাদের কেউ কেউ আমার ওপর ক্ষুব্ধ। তবে এই যুদ্ধে জয় পেতে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন ছিল”।
রবিবারের মন কি বাতে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “এই কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আমি ক্ষমা চাইছি, যার ফলে আপনাদের সমস্যা তৈরি হয়েছে, বিশেষ করে গরীব মানুষদের। আমি জানি, আপনাদের কেউ কেউ আমার ওপর ক্ষুব্ধ। তবে এই যুদ্ধে জয় পেতে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন ছিল”।
গত ১৬ ঘন্টায় ভারতে করোনা আক্রান্তের ৬১টি নতুন খবর পাওয়া গিয়েছে, গতকাল ২০০টি ঘটনা ঘটেছে। সবমিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ২৫, পশ্চিমবঙ্গ, তেলেঙ্গানা, তামিলনাড়ু, পঞ্জাব, কেরল, জম্মু ও কাশ্মীর, হিমাচলপ্রদেশ ও বিহার থেকে মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। মহারাষ্ট্র থেকে ৬ জনের, মধ্যপ্রদেশ ২, কর্নাটকে ৩, গুজরাটে ৪, এবং দিল্লিতে ২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।
গতকয়েদিন ধরে দেশজুড়ে চলছে লকডাউন, তারমধ্যেই রাজ্যগুলিকে কেন্দ্রের তরফে, সীমানাগুলিকে সিল করে দিতে বলা হয়েছে, যাতে দেশজুড়ে লকডাউন সুনিশ্চিত থাকে। লকডাউন ভেঙে বাড়ি গেলে তাঁকে ১৪ দিনের কোয়ারান্টাইনে থাকতে হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার, সেই সময় তাঁদের খাদ্য, বাসস্থানের ব্যবস্থা করার জন্য রাজ্যগুলিকে বলেছে কেন্দ্র।
গত কয়েকদিনে রাজ্যে ফেরা ১.৫ লক্ষের বেশি পরিযায়ী শ্রমিকের সম্পর্কে খোঁজ খবর রাখার জন্য সমস্ত জেলাশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, রাজ্য নিয়ন্ত্রিত শিবিরে তাঁদের কোয়ারান্টাইনের ব্যবস্থা করা ও তাঁদের খাদ্য ও অন্যান্য সামগ্রির ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।
আবারও পরিযায়ী শ্রমিকদের শহর না ছাড়ার আবেদন জানিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। হিন্দিতে একাধিক ট্যুইটে তিনি জানান, “আমি আপনাদের নিশ্চিন্ত করছি যে,আপনদের খাদ্য ও বাসস্থানের যথাযথ ব্যবস্থা করা হবে। এখনকার জন্য, দেশের স্বার্থে আপনারা নিজেদের গ্রাম ফিরে যাবেন না”।
পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে কংগ্রেস, তাঁদের কথা সরকার “ভুলে গিয়েছে” বলে অভিযোগ তুলেছে তারা। বর্তমান পরিস্থিতিকে স্বাধীনতার পর থেকে দেশসবচেয়ে বড় পরিযায়ী সমস্যা বলে তুলে ধরেছে তারা, পাশাপাশি জনতা কার্ফুর আগে কেন কমিউনিটি কিচেন, অঙ্গনওয়াড়ি মতো ব্যবস্থা চালু করা হল না কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। দলের তরফে বলা হয়েছে, “সরকারের কি প্রস্তুতি নেওয়া উচিত ছিল না”?
ঘরোয়া উড়ানের ক্ষেত্রে তাদের বিমান এবং ক্রু মেম্বারদের কোনওরকম মানবিক সাহায্য বা কাজে প্রয়োজনে সরকারের কাজে লাগানোর প্রস্তাব দিয়েছে স্পাইস জেট, পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরাতে দিল্লি ও মুম্বই থেকে পটনা পর্যন্ত উড়ান পরিষেবা দিতে তারা প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন সংস্থার সিএমডি অজয় সিং।
আরেকটি ব্যাচে ২৭৫ জন ভারতীয়কে ইরান থেকে ফেরান হয়েছে, তাঁরা যোধপুরে ফিরেছেন বলে সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের খবর। ভারতীয় সেনাবাহিনীর সেন্টারে তাঁদের রাখা হয়েছে। এখানে রয়েছেন আগের মাসে ফেরা ২৭৭ জন ভারতীয়কে রাখা হয়েছে সেখানে।
দেশের ৯০টি শহরে লকডাউনের ফলে দুষণের মাত্রা কমেছে, তারমধ্যে রয়েছে রাজধানী দিল্লিও। কেন্দ্রের সংস্থা সফর জানিয়েছে এমনই তথ্য।
করোনা ভাইরাস এর আগে মানব শরীরের দেখা যায়নি। চিনের উহান শহর থেকে এই সংক্রমণ ছড়ায়। ইতালি, স্পেন, ইরান, এবং আমেরিকা এই বিশ্বব্যাপী মহামারীর কবলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। শুক্রবার ইতালিতে ১,০০০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।
Post a comment