This Article is From Jun 02, 2019

“জয় শ্রীরাম” স্লোগান ভাল, কিন্তু বিজেপি যেভাবে ব্যবহার করছে সেটা নয়: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

তৃণমূল নেত্রী বলেন, রামচন্দ্রের নামে স্লোগান তিনি সম্মান করেন, তবে বিজেপি “ভুল পদ্ধতিতে যেভাবে তা ব্যবহার করে ধর্ম ও রাজনীতিকে মেশাচ্ছে”, তা নিয়ে আপত্তি রয়েছে।

“জয় শ্রীরাম” স্লোগান ভাল, কিন্তু বিজেপি যেভাবে ব্যবহার করছে সেটা নয়: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, বাংলায় ক্ষমতা দখল করতে ধর্ম ও রাজনীতিতে মেশাচ্ছে বিজেপি।

নিউ দিল্লি:

জয় শ্রীরাম(Jay Sree Ram) স্লোগানে তাঁর আপত্তি নেই, তবে “ধর্ম ও রাজনীতিতে মিশিয়ে পশ্চিমবঙ্গে যেভাবে অশান্তি পাকাচ্ছে” বিজেপি কর্মীরা, তা নিয়ে তাঁর আপত্তি রয়েছে, ফেসবুক পোস্টে এমনই লিখলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) । তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) নেতাদের দেখে যেভাবে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ধর্মীয় স্লোগান দেওয়া হচ্ছে, এমনকী, বাদ পড়েন নি খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), সেই পরিস্থিতিতেই ফেসবুক পোস্টে এমন লিখলেন তিনি। সদ্য শেষ হয়েছে লোকসভা নির্বাচন(Lok Sabha Elections 2019)। গত লোকসভা নির্বাচনে এ রাজ্যে দুটি আসন  জিতলেও, এবার ১৮টি আসনে পাপড়ি মেলেছে পদ্মফুল। সেখানে তৃণমূলের আসনসংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ২২।

কলেজের ফর্মে ধর্মের জায়গায় ‘মানবতা' লেখার সুযোগ বাংলার ছাত্রছাত্রীদের

ফেসবুক পোস্টে মুখ্যমন্ত্রী(Bengal CM) লেখেন, “সভায় রাজনৈতিকদলগুলির স্লোগানে আমার কোনও আপত্তি নেই। প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের নিজস্ব স্লোগান আছে। আমার দলের জয় হিন্দ এবং বন্দেমাতরম, বামেদের ইনকিলাব জিন্দাবাদ, কিন্তু আমরা একে অপরকে সম্মান করি”। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ভগবান রামচন্দ্রের নামে স্লোগানেও তাঁর কোনও আপত্তি নেই, তবে বিজেপি যেভাবে সেটার “ভুল ব্যবহার করে ধর্ম ও রাজনীতিকে মেশাচ্ছে”, তা নিয়ে তাঁর আপত্তি রয়েছে। ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, “ভাঙচুর ও সন্ত্রাসের মাধ্যমে ঘৃণা ছড়ানোর এটা একটা পরিকল্পনামাফিক পদক্ষেপ, আমাদের সবাইকে একসঙ্গে এর বিরোধিতা করতে হবে।একজন কয়েকবার কিছু মানুষকে বোকা বানাতে পারে, কিন্তু সবসময় সবাইকে বোকা বানাতে পারে না”।

বাঙালি এবং অ-বাঙালি মানুষদের মধ্যে বিভাজন তৈরির চেষ্টা করছে বিজেপিঃ মমতা

তৃণমূল নেত্রীর(Mamata Banerjee) অভিযোগ, বিজেপির ঘৃণার প্রচার রাজ্যে ক্ষতি করেছে---ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এবং রামমোহন রায়ের ভূমিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, “অশান্তি পাকানোর চেষ্টা, ধর্মের নামে মানুষকে বিভাজিত করতে অশান্তি পাকানো থেকে রাজনৈতিক কর্মীদের বিরত রাখতে পদক্ষেপ করার এটা সঠিক সময়”। দেশের ধর্মনিরপেক্ষতা অক্ষুণ্ণ রাখতে বিজেপির কৌশলের বিরোধিতা করার প্রয়োজন বলেও মত প্রকাশ করেন তিনি। গত মাসে বিজেপি সমর্থকদের জয় শ্রীরাম স্লোগানের সামনে পড়েন তিনি(Mamata Banerjee)। শেষবার তাঁর সামনে জয় শ্রীরাম স্লোগান ওঠে বৃহস্পতিবার। তাঁদের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে স্লোগান দেওয়া ব্যক্তিদের “বহিরাগত” ও “দুষ্কৃতী” বলে আখ্যা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তুলে ধরেন মিঠুন চক্রবর্তীর সিনেমার সংলাপও।

শনিবার এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে বৈঠক করছিলেন মমতা সরকারের তিন মন্ত্রী। সেখানে বিজেপি সমর্থকরা স্লোগান দেন। রবিবার বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং দাবি বলেন, “তৃণমূলনেত্রীকে জয় শ্রীরাম লেখা ১০ লক্ষ পোস্টকার্ড পাঠানো হবে”। নির্বাচনের প্রচারের সময় দমদম লোকসভা কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী গতমাসে অভিযোগ করেন, বাংলায় জয় শ্রীরাম এবং জয় মা কালী স্লোগান দেওয়ায় যুবকদের জেলে পাঠানো হয়েছে।

.