This Article is From Aug 20, 2019

Didi Ke Bolo: অস্বস্তিকর প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে তৃণমূল নেতাদের

দলের নেতাদের অস্বস্তিকর প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে। কাট মানি, সিন্ডিকেট, স্থানীয় নেতাদের দাম্ভিকতা ইত্যাদি প্রসঙ্গ উঠে আসছে।

Didi Ke Bolo: অস্বস্তিকর প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে তৃণমূল নেতাদের

জনসংযোগের জন্য নয়া হেল্পলাইন "Didi Ke Bolo" চালু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

কলকাতা:

সাধারণ মানুষের অভাব অভিযোগ শুনতে এবং জনসংযোগের জন্য নয়া হেল্পলাইন "Didi Ke Bolo" চালু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। সেই সঙ্গে দলের নেতাদের অস্বস্তিকর প্রশ্নের মুখেও পড়তে হচ্ছে। কাট মানি, সিন্ডিকেট, স্থানীয় নেতাদের দাম্ভিকতা ইত্যাদি প্রসঙ্গ উঠে আসছে। দলের রাজনৈতিক কৌশলী প্রশান্ত কিশোর ও তাঁর সংগঠনের পরামর্শে চালু হয়েছে ‘Didi Ke Bolo'। লোকসভা নির্বাচনে খারাপ ফলাফলের পরে প্রশান্তকে নিয়োগ করেছে শাসক দল। এই প্রকল্পের অংশ হিসেবে ১,০০০ দলীয় নেতার ১০,০০০ গ্রামে গিয়ে মানুষের অভিযোগ শোনার কথা। এক বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, ‘‘বিপদে পড়ে মানুষ যে ফোন করেছেন, তা পাওয়ার পর আমরা স্থানীয় তৃণমূল নেতা ও সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করে ইস্যুগুলির সমাধান করতে বলি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সমস্যাগুলি সমাধানের কাজ শুরু হয়েছে।''

এমনকী, রাজ্যের যে বাসিন্দারা কর্নাটক ও কেরলের বন্যায় আটকে পড়েছিলেন, তাঁদের উদ্ধার করার কাজও সম্পন্ন করা হয়েছে বলে ওই নেতা জানাচ্ছেন।

জনসংযোগে “দিদিকে বলো”, হেল্পলাইন চালু করল তৃণমূল কংগ্রেস

কিন্তু এরই পাশাপাশি নানা অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতেও পড়তে হচ্ছে দলের নেতাদের। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক তৃণমূ‌ল নেতা জানাচ্ছেন, ‘‘অনেকেই হেল্পলাইনে ফোন করে কাট মানি, সিন্ডিকেট এই সব বিষয়ে অভিযোগ করছেন। সেই সব ফোন পাওয়ার পরে আমরা তাঁদের অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখছি। অনেকেই নির্দিষ্ট তৃণমূল নেতাদের সম্পর্কে অভিযোগ করছেন। বিশেষ করে যাঁরা ২০১১ সালে দল ক্ষমতায় আসার পরে যোগ দিয়েছেন, তাঁদের সম্পর্কে অভিযোগ আসছে।''

জনতার কঠিন প্রশ্নের সম্মুখীন হওয়ার কথা জানিয়ে এক তৃণমূল নেতা পিটিআইকে বলেছেন, ‘‘এই সব প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে আমাদের কঠিন পরিস্থিতিতে পড়তে হচ্ছে। কিন্তু আমরা মানুষকে জানিয়েছি এই ইস্যু নিয়ে পদক্ষেপ করা হচ্ছে।''

এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, অরূপ রায়, ফিরহাদ হাকিম, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, শশী পাঁজা, সাধন পাণ্ডে, তপন দাশগুপ্ত, নির্মল ঘোষ এবং আবদুর রেজ্জাকের মতো বর্ষীয়ান নেতারা।

আর এক তৃণমূল নেতা জানাচ্ছেন, ‘‘কোনও কোনও অঞ্চলে আমাদের জনতার এই প্রশ্নের মুখেও পড়তে হচ্ছে যে, কেন আমরা দুর্নীতিপরায়ণ ও দাম্ভিক নেতাদের দল থেকে বের করে দিচ্ছি না। আমরা নেতৃত্বের কাছে এবিষয়ে জানাব।''

এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীর ঘোষের বক্তব্য, ‘‘যে প্রশ্নের সামনে তাঁদের পড়তে হচ্ছে তা মানুষের তাঁদের প্রতি রাগের সামান্য প্রতিফলন। তৃণমূ‌লের সময় শেষ হয়ে আসছে। মানুষ তৈরি হচ্ছে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তাদের দূরে ছুড়ে ফেলতে।''

২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের গতবারের ৩৪ থেকে নেমে এসেছে ২২-এ। ২০১৪ লোকসভায় ২টি আসন পাওয়া বিজেপি উঠে এসেছে ১৮-তে। এই পরিস্থিতিতে যে করে হোক হারানো জমি পুনরুদ্ধারে নেমেছে শাসক দল।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.