This Article is From Oct 11, 2018

তিতলির প্রভাবে অন্ধ্রপ্রদেশে আট জনের মৃত্যু, বিদ্যুৎহীন বহু এলাকা

Cyclone Titli: জল্পনা শেষ। আছড়ে পড়ল ‘তিতলি’ ওড়িশাতে আজ সকালে গাছপালা এবং ইলেকট্রিক পোস্ট উপড়ে দিয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করল এই সাইক্লোন।

তিতলির প্রভাবে অন্ধ্রপ্রদেশে আট জনের মৃত্যু, বিদ্যুৎহীন বহু এলাকা

Cyclone Titli: ভোর সাড়ে চারটে থেকে সাড়ে পাঁচটার মধ্যে ওড়িশাতে আছড়ে পড়ে তিতলি।.

ভুবনেশ্বর:

আছড়ে  পড়েছে ঘূর্ণিঝড়  ‘তিতলি’( Cyclone Titli)  ঘূর্ণিঝড় তিতলির প্রভাবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ল। এখনও পর্যন্ত অন্ধ্রপ্রদেশের আট জনের মৃত্যর খবর মিলেছে। বহু জায়গায় উপড়ে গিয়েছে   বিদুতের খুঁটি, ব্যহত ট্রেন ও বিমান পরিষেবা।

আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড় তিতলি, উপড়ে গিয়েছে গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি, ব্যহত ট্রেন ও বিমান পরিষেবা

বঙ্গোপসাগরের ওপর তৈরি হওয়া এই শক্তিশালী সাইক্লোন ‘তিতলি’ যে বিপজ্জনক ঝড় ও বৃষ্টি নিয়ে আসবে তা আগেই জানিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। ওড়িশার উপকূলবর্তী জেলাগুলো থেকে তিন লক্ষেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। নিচু সমুদ্র সৈকত থেকে এই সময়টা মানুষদের দূরে থাকার উপদেশ দিয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।

আজ ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ ঘন্টায় 125 কিলোমিটার বেগে গোপালপুর সমুদ্র সৈকতে আছড়ে পড়ে এই ঝড়। যার ফলে, বাধ্য হয়ে, ভুবনেশ্বর আসা-যাওয়ার পাঁচটি বিমান বাতিল করে দেয় বিমানসংস্থা ইন্ডিগো। ওড়িশা এবং অন্ধ্রের মধ্যে ট্রেন চলাচলও ব্যাহত হয়েছে তিতলির কারণে। গঞ্জাম, গজপতি, খুড়দা, পুরী, জগৎসিংহপুর, বালাসোর, কেন্দ্রপাড়া, ভদ্রক সহ ওড়িশার মোট আটটি জেলা ভয়াবহ ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে ‘তিতলি’র ফলে।

বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং টেলিফোনের মাধ্যমটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ওড়িশায়। বহু ঘরবাড়ি ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে বলেও খবর রয়েছে। ওড়িশা সরকার এই সাইক্লোনের কারণে স্থানীয় স্কুল, কলেজ, শিশু আবাস কেন্দ্রগুলি বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। দুই রাজ্যের  বিভিন্ন জায়গায় খুঁটি ভেঙে যাওয়ায় বিদ্যুৎহীন বহু এলাকা।  ওড়িশার পাঁচটি উপকূলবর্তী জেলা থেকে পাঁচটি জেলা থেকে লাখ তিনেক মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে  যাওয়া  হয়েছে। পাশাপাশি ওড়িশার চার জেলায়    স্কুল কলেজ থেকে শুরু করে  অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্র বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অন্ধ্র প্রদেশের জনজীবন সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত হয়েছে। পরিবহণ ব্যবস্থা কার্যত ভেঙে পড়েছে। অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু  টেলি কনফারেন্সের মাধ্যমে জেলা স্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। ঝড়ে বিধ্বস্ত এলাকা ঘুরে  দেখেছেন মন্ত্রীরা।           

.