This Article is From May 04, 2020

গ্রিন ও অরেঞ্জ জোনে বিধিনিষেধে ছাড় দেওয়া নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছে রাজ্য সরকার

West Bengal: মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যের গ্রিন ও অরেঞ্জ জোনগুলিতে কিছু বাস চলাচল করতে পারবে, তবে প্রতিটি বাসে সর্বোচ্চ ২০ জন যাত্রীই উঠতে পারবেন

গ্রিন ও অরেঞ্জ জোনে বিধিনিষেধে ছাড় দেওয়া নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছে রাজ্য সরকার

হাইলাইটস

  • গোটা দেশের মতো পশ্চিমবঙ্গও ভুগছে করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে
  • এখনও পর্যন্ত এই রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৮৮৬ জন , মৃত ৪৮
  • এ রাজ্যে ৪টি রেড জোন, ১১টি অরেঞ্জ জোন ও ৮টি গ্রিন জোন আছে
কলকাতা:

সোমবার থেকে শুরু হওয়া লকডাউনের (Coronavirus Lockdown) তৃতীয় পর্যায়ে কেন্দ্র যখন নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় দোকান ও পরিষেবা চালু করার অনুমতি দিয়ে দিয়েছে, তখনও পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) প্রায় সব এলাকাই থমথমে। কেননা এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকার (West Bengal Government) সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি যে গ্রিন জোন ও অরেঞ্জ জোনে তারা লকডাউনের বিধিনিষেধ কতটা শিথিল করবে বা আদৌ করবে কিনা।প্রয়োজনীয় পণ্য পরিষেবার দোকানগুলি বাদ দিয়ে রাজ্যের প্রায় সব দোকানগুলিই সোমবার সকালে বন্ধ ছিল। রাজ্যের বেশিরভাগ জায়গায় যানবাহন চলাচলও নিষিদ্ধ রয়েছে। সোমবার দুপুরে হয়তো এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে পারে রাজ্যের মুখ্য সচিব রাজীব সিনহার নেতৃত্বে করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলায় গঠিত টাস্কফোর্সটি। লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে জানানো হবে যে দুটি জোনের মধ্যে কোন কোন দোকান কোথায় কোথায় ফের খোলা যাবে। "তবে রাজ্যের কনটেইনমেন্ট জোনগুলিতে সম্পূর্ণ লকডাউনই জারি থাকবে", এমন কথা আগেই জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্য সচিব। পশ্চিমবঙ্গে মোট ৪ টি রেড জোন, ৮টি গ্রিন জোন এবং ১১টি অরেঞ্জ জোন রয়েছে।

করোনার জেরে মৃতদের সঠিক তালিকা নিয়ে বিতর্কে সুর বদল রাজ্যের অডিট প্যানেলের

"রাজ্যের বাণিজ্যিক সংস্থাগুলো খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আমরা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিজ্ঞপ্তির অপেক্ষায় রয়েছি", বলেন কনফেডারেশন অফ পশ্চিমবঙ্গ ট্রেড ইউনিয়নের সভাপতি সুশীল পোদ্দার।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত সপ্তাহেই রাজ্যের কয়েকটি জায়গায় লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল করার কথা ঘোষণা করেন। মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যের গ্রিন ও অরেঞ্জ জোনগুলিতে নিয়ম মেনে কিছু বাস চলাচল করতে পারবে। তবে প্রতিটি বাসে সর্বোচ্চ ২০ জন যাত্রীই উঠতে পারবেন, তার বেশি নয়।

তবে বাস মালিকরা জানিয়েছেন বাসে শুধুমাত্র ২০ জন যাত্রী নিয়ে পরিষেবা দেওয়া তাদের পক্ষে অসম্ভব, কেননা অর্থনৈতিকভাবে তাঁরা এটি পেরে উঠবেন না।

রাজ্য সরকার ও রাজ্যপালের টুইটের পর সোমবার রাজ্যে ফিরছেন পরিযায়ীরা

বাস অপারেটরদের ওই সংস্থা যদিও আগেই বলেছিল যে হয় রাজ্য সরকারের তাদের বাস চালানোর জন্যে ভর্তুকি দিতে হবে অথবা বিভিন্ন রুটে চলাচলের জন্যে অন্য যানবাহনের ব্যবস্থা করতে হবে।

এদিকে, সোমবার থেকে রাজ্যের গ্রিন জোনগুলোতে মদের দোকানগুলি আবার খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন এক সরকারি আধিকারিক। ২৫ মার্চ থেকে গোটা দেশে লকডাউন জারি হওয়ার পরে এরাজ্যে
সমস্ত মদের দোকান বন্ধ রয়েছে। ওই আধিকারিকরা বলেন, রাজ্য সরকার রেড জোনে মদের দোকান ফের চালু করার অনুমতি দেবে না। তবে অরেঞ্জ জোনের ক্ষেত্রে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তা এখনও জানা যায়নি।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.