This Article is From May 04, 2020

রাজ্য সরকার ও রাজ্যপালের টুইটের পর সোমবার রাজ্যে ফিরছেন পরিযায়ীরা

সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম বলছেন, ‘‘বাংলার সরকার পরিযায়ীদের ফেরাতে কিছুই করেনি। অন্য রাজ্য উদ্যোগ নিলে রাজ্য সরকার কেবল অনুমতি দিয়েছে।''

রাজ্য সরকার ও রাজ্যপালের টুইটের পর সোমবার রাজ্যে ফিরছেন পরিযায়ীরা

পরিযায়ীদের নিজেদের রাজ্যে ফেরাতে রেলের তরফে চালানো হচ্ছে বিশেষ ট্রেন।

কলকাতা:

লকডাউনের (Lockdown) ফলে রাজস্থানে (Rajasthan) আটকে পড়া বাংলার ১,২০০ শ্রমিক মঙ্গলবার বিশেষ ‘শ্রমিক' ট্রেনে রাজ্যে ফিরছেন। রবিবার সন্ধ্যায় একথা জানিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের তরফে একটি টুইট করে এবিষয়ে জানানো হয়। সন্ধ্যা ৭.০৮-এ করা ওই টুইটে জানানো হয়, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার বাংলার হাজারেরও বেশি পরিযায়ী শ্রমিককে রাজস্থান থেকে ফিরিয়ে আনবে একটি বিশেষ ট্রেনে।'' এরপর দ্বিতীয় একটি টুইটে সরকারের তরফে আরও জানানো হয় কেরল থেকে পর্যটক ও তীর্থযাত্রীদের ফেরানোরও চেষ্টা চলছে, যাঁরা দেশব্যাপী লকডাউনের ফলে সেখানে আটকে গিয়েছিলেন।

রাজ্য সরকারের টুইটের নব্বই মিনিট আগে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankar) একটি টুইট করে দাবি করেন, তিনি শনিবার রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের সঙ্গে রাজস্থানে আটকে পড়া রাজ্যের শ্রমিকদের আজমের থেকে একটি বিশেষ ট্রেনে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে আলোচনা করেছেন।

এরপর আরও একটি টুইটে রাজ্য সরকার দাবি করে, কেরলে আটক পরিযায়ীদেরও ফিরিয়ে আনা হচ্ছে একটি বিশেষ ট্রেনে। ট্রেনটি সোমবার রাজ্যেপ উদ্দেশে রওয়ানা দেবে।

সন্ধ্যায় তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের টুইটের পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও একটি টুইট করেন। সেই টুইটে তিন‌ি জানিয়ে দেন, আজমের ও কেরল থেকে দু'টি বিশেষ ট্রেন সোমবারই রাজ্যের উদ্দেশে রওয়ানা দেবে। দু'টি ট্রেন মিলিয়ে পরিযায়ী শ্রমিক, পর্যটক, তীর্থযাত্রী, পড়ুয়া ও রোগী মিলিয়ে ২,৫০০-এরও বেশি মানুষ রাজ্যে ফিরছেন। সেই সঙ্গে তিনি ‌এও জানান, সকলকেই প্রোটোকল মেনে স্ক্রিনিংয়ের পরই ট্রেনে উঠতে দেওয়া হবে।

তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের দু'টি টুইটেই রাজস্থান ও কেরলের সঙ্গে যে চিঠি চালাচালি হয়েছে তাও অ্যাটাচ করে দেওয়া হয়।

চিঠিতে দেখা যায় কেরলের মুখ্য সচিব রাজ্যের কাছে লেখা চিঠিতে শ্রমিকদের ফেরানোর ব্যাপারে রাজ্যের সম্মতি চাইছেন। রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব রবিবার তাঁকে লিখে দেন, তাঁরা সম্মতি দিচ্ছেন একটি ট্রেন পাঠানোর জন্য। সেই সঙ্গে তিনি কেরলের কাচে অনুরোধ করেন যাত্রীদের তালিকা পাঠাতে, যাতে সেই তালিকার বিবরণ অনুযায়ী রাজ্যে ফিরলে ওই যাত্রীদের তাঁদের বাড়ি ফেরার পরিবহনের ব্যাপারে বন্দোবস্ত করা যায়।

এদিকে ২ মে রাজস্থানের মুখ্য সচিবের লেখা চিঠিতে ১,২০০ পরিযায়ীকে আজমের থেকে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে জানানো হয়। এব্যাপারে রাজ্যের অনুমতি চান তিনি। পরে তাঁদেরও অনুমতি দেওয়া হয়। 
দুই রাজ্য থেকে পরিযায়ীদের ফেরানোর ব্যাপারে রাজ্যের ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। বলা হচ্ছে দু'টি ক্ষেত্রেই রাজ্য প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। নিজে থেকে কোনও ভূমিকা পালন করেনি।

সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম বলছেন, ‘‘বাংলার সরকার পরিযায়ীদের ফেরাতে কিছুই করেনি। অন্য রাজ্য উদ্যোগ নিলে রাজ্য সরকার কেবল অনুমতি দিয়েছে।''

এদিকে সিপিএমে্র অভিযোগ, রেলওয়ে যেন ট্রেনের ভাড়া কম নেয়। এই ব্যাপারে সমস্ত বিরোধী দলগুলিই অবশ্য প্রতিবাদ জানিয়েছে। রেলকে ভাড়া কমানোর আবেদন করেছেন সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনও।

পাশাপাশি রবিবার রাজ্য সরকারের টুইট ও রাজ্যপালের টুইটে করা দাবি নিয়েও বিতর্ক ঘনিয়েছে। মনে করা হচ্ছে পরিযায়ীদের ফেরানোর বিষয়টিকে কেন্দ্র করে রাজ্য সরকার ও রাজ্যপালের মধ্যে নতুন চেহারা নিতে চলেছে।

.