This Article is From May 04, 2020

করোনার জেরে মৃতদের সঠিক তালিকা নিয়ে বিতর্কে সুর বদল রাজ্যের অডিট প্যানেলের

West Bengal- মৃতদের সঠিক পরিসংখ্যান নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই রাজ্যের অডিট প্যানেল জানালো যে তারা শুধু “অদ্ভুত ধরণের” করোনা আক্রান্তদের পরিসংখ্যানই দিয়েছে

করোনার জেরে মৃতদের সঠিক তালিকা নিয়ে বিতর্কে সুর বদল রাজ্যের অডিট প্যানেলের

Coronavirus: পশ্চিমবঙ্গ সরকার জানায় রাজ্যে মোট ৮৮৬ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন (প্রতীকী ছবি)

হাইলাইটস

  • রাজ্যে বিচিত্র করোনা মৃত্যুর পরিসংখ্য়ান নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে অডিট প্যানেল
  • ওই মৃত্যু নিয়েই বিচার-বিশ্লেষণ করছেন ওই অডিট কমিটির সদস্যরা
  • এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৮ জন
কলকাতা:

রাজ্যে (West Bangal) করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতদের পরিসংখ্যান তুলে ধরতে একটি বিশেষ অডিট কমিটি গড়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ওই কমিটির দেওয়ার কোভিড ১৯ (COVID- 19) এ আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের পরিসংখ্যান নিয়ে বিতর্ক বাঁধে। কেননা ওই প্যানেল (Bengal Audit Panel ) মৃতদের মধ্যেও দুটি ভাগ করে, একটি শুধুমাত্র করোনায় (Coronavirus Death) আক্রান্ত হয়ে মৃতদের তালিকা আর অন্যটি হল আগে থাকতেই কোনও জটিল রোগে ভোগা ব্যক্তি য়াঁরা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তাঁদের তালিকা। ওই কমিটি দ্বিতীয় ভাগের মৃতদের সরাসরি করোনায় মৃত্যু হয়েছে না বলে অন্য জটিল রোগের কারণে করোনার সঙ্গে যুঝতে না পেরে মৃত্যু হয়েছে হিসাবে দেখাতে চায়। এরপরেই করোনা রোগীদের সঠিক মৃত্যুর পরিসংখ্যান দিচ্ছে না ওই অডিট প্যানেল, এমন অভিযোগ উঠতে থাকে। ঘরে বাইরে চাপের মুখে পড়ে এবার সুর বদল করল রাজ্যের করোনা অডিট প্যানেল। ওই প্যানেলেরই অন্তর্ভুক্ত এক আধিকারিক জানিয়েছেন, অডিট প্যানেল শুধুমাত্র অদ্ভুত ধরণের করোনা আক্রান্তদের পরিসংখ্যানই নাকি রাজ্য সরকারের কাছে তুলে দিয়েছে, সেটি সামগ্রিক পরিসংখ্যান নয়।

রাজ্য সরকার ও রাজ্যপালের টুইটের পর সোমবার রাজ্যে ফিরছেন পরিযায়ীরা

সম্প্রতি ওই অডিট প্যানেল যে পরিসংখ্যান দিয়েছে তাতে দেখা যায়, করোনা আক্রান্ত ১০৫ জন মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে মাত্র ৩৩ জনকেই করোনার কারণে মৃত্যু হয়েছে বলে দেখিয়েছে তারা। বাকি সব মৃত ব্যক্তিদের শরীরে আগে থেকেই বিভিন্ন জটিল রোগ থাকায় তার জেরেই মৃত্যু হয়েছে তাঁদের, একথাই জানায় অডিট প্যানেল।

ওই কমিটির তরফে সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানানো হয়, “বিশেষজ্ঞ কমিটি সমস্ত মৃত ব্যক্তিদের নিয়ে নয় শুধুমাত্র অদ্ভুত ধরণের করোনা আক্রান্ত রোগীদের মৃত্যু নিয়েই বিচার বিশ্লেষণ করছে। ১০৫ জনের মৃত্যু নিয়ে আমরা যে রিপোর্ট দায়ের করেছি তারপরে আর আমাদের কাছে পরীক্ষার জন্যে নতুন কোনো নমুনা দেওয়া হয়নি”।

ওই অডিট প্যানেলের সদস্যের মতে, কমিটির মূল লক্ষ্য হল কোভিড ১৯ আক্রান্ত রোগীদের মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে বিচার বিশ্লেষণ করা এবং ভাইরাসের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আরও অনুসন্ধান চালানো।

"এই রোগ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মনে একাধিক প্রশ্ন রয়েছে। এ বিষয়ে কোনও গবেষণা বা নির্দিষ্ট তথ্য তালিকা না থাকায় সরকার করোনার লক্ষণগুলি খুঁজে বের করার জন্যে চিকিৎসা এবং কনটেইনমেন্ট প্রোটোকলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চেয়েছিল ... এবং কীভাবে এই রোগের ধরণ বদলাচ্ছে? এটি প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে নাকি ক্রমবর্ধমান পর্যায়ে রয়েছে এগুলো বিশ্লেষণের জন্যেই আমরা কাজ করছি", এও জানান ওই আধিকারিক।

আজ থেকেই লকডাউনের মেয়াদবৃদ্ধি, তবে বেশ কিছু ক্ষেত্রে শিথিল বিধিনিষেধ: ১০ টি তথ্য

ওই সদস্য বলেন, "আমরা COVID-19 এর কারণে যাদের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের চিকিৎসা ও ডেথ সার্টিফিকেটের জন্যে চিকিৎসকদের সুপারিশ অনুযায়ীই একটি তালিকা তৈরি করেছি এবং তা নিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ, গবেষণা চালাচ্ছি।"

ওই অডিট কমিটি এখন বিভিন্ন হাসপাতালগুলি থেকে করোনা আক্রান্তদের নমুনা সংগ্রহ করবে এবং নতুন নতুন যে বিষয়গুলোর খোঁজ পাবে সেগুলো বিবেচনা করে রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেবে।

"এই প্যানেল কোনওভাবেই করোনা ভাইরাসজনিত মৃত্যু সংক্রান্ত কোনও ডেথ সার্টিফিকেট দিচ্ছে না। আমরা এখন বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে নমুনা সংগ্রহ করে যাবো। সেখান থেকেই নতুন বা কোনও অদ্ভুত চরিত্রের করোনা আক্রান্তের সন্ধান পেলে সেই সম্পর্কে আমরা রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগকে জানাবো এবং সেই অনুযায়ী সুপারিশ করব," , বলেন অডিট প্যানেলের আধিকারিক।

ওই আধিকারিক একথাও বলেন যে, "আমরা বিচার বিশ্লেষণ চালানোর সময়ই দেখতে পেলাম যে কোভিড -১৯ সংক্রান্ত ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যুর সময় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং আইসিএমআরের দেওয়া নির্দিষ্ট নিয়মগুলো অনুসরণ করা হচ্ছে না। নিয়ম অনুসারে এই ডেথ সার্টিফিকেটগুলোতে মৃত্যুর তাৎক্ষণিক কারণ, মৃত্যুর পূর্ববর্তী কারণ এবং মৃত্যুর অন্তর্নিহিত কারণ, সবকিছুই আলাদা আলাদা করে উল্লেখ থাকতে হবে। কেননা চিকিৎসা সংক্রান্ত নথি তৈরির জন্যে এই রেকর্ড রাখা প্রয়োজন এবং এটা প্রতিটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষেরও দায়িত্ব "।

পশ্চিমবঙ্গ সরকার জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত এ রাজ্যে করোনার কারণে ৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। মোট ৮৮৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। বর্তমানে ৬২৪ টি সক্রিয় করোনা রোগী আছেন এবং ১৯৯ জন সুস্থ হয়ে গেছেন। যদিও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্ত মোট ৯২২ জন।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.