This Article is From Nov 28, 2019

নাথুরাম গডসেকে ‘‘দেশভক্ত’’ বলার জের, প্রতিরক্ষা কমিটি থেকে সরলেন প্রজ্ঞা ঠাকুর

মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলায় জামিনে রয়েছে প্রজ্ঞা ঠাকুর। এবারের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের দিগ্বিজয় সিংহকে ভোপাল লোকসভা কেন্দ্রে হারিয়ে তিনি জয়ী হন।

লোকসভায় প্রজ্ঞা ঠাকুরের মন্তব্যকে ঘিরে শুরু হয় বিতর্ক।

নয়াদিল্লি:

প্রতিরক্ষা বিষয়ক ২১ সদস্যের সংসদীয় পরামর্শদানকারী কমিটি থেকে সরিয়ে দেওয়া হল বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞা ঠাকুরকে (Pragya Thakur)। বুধবারই লোকসভায় নাথুরাম গডসেকে (Nathuram Godse) ‘‘দেশভক্ত'' বলে অভিহিত করেছিলেন তিনি। তাঁর ওই সম্বোধনকে ঘিরে শুরু হয় বিতর্ক। বিরোধীরা একে ‘‘বিজেপির দুঃখজনক ঘৃণার রাজনীতি'' বলে অভিযোগ জানায়। এরপরই এই পদক্ষেপ করা হল। বিজেপির কার্যকরী সভাপতি জেপি নাড্ডা জানিয়েছেন, ‘‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি প্রজ্ঞা ঠাকুরকে প্রতিরক্ষা বিষয়ক সংসদীয় পরামর্শদানকারী কমিটি থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। এবং এই অধিবেশনে তাঁকে বিজেপির সংসদীয় দলীয় বৈঠকে অংশ নিতে দেওয়া হবে না।'' তিনি আরও বলেন, ‘‘গতকাল সংসদে করা তাঁর মন্তব্য নিন্দার যোগ্য। বিজেপি এমন বিবযতি বা আদর্শকে সমর্থন করে না।''

‘‘পাকিস্তানকে শেষ করতেই প্রতিরক্ষা কমিটিতে প্রজ্ঞা ঠাকুর'': কংগ্রেস নেতা

বুধবার ‘স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ (সংশোধনী) বিল' নিয়ে আলোচনার সময় নাথুরাম গডসেকে নিয়ে ওই মন্তব্য করেন প্রজ্ঞা ঠাকুর। তাঁর মন্তব্যকে ঘিরে শোরগোল পড়ে যায় লোকসভায়। কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি বলেন, ‘‘এটাই আরএসএস ও বিজেপির হৃদয়ের কথা। এটাই ওদের আত্মা। যতই অন্য কথা বলুক না কেন এটা সব সময়ই বেরিয়ে আসবে।''

এদিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ সংসদের বলেন, নাথুরাম গডসেকে নিয়ে এমন ভাবনার শেষ হওয়া উচিত।

লোকসভায় নাথুরাম গডসেকে ‘‘দেশভক্ত'' বললেন বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞা ঠাকুর

গত সপ্তাহে প্রতিরক্ষা বিষয়ক ২১ সদস্যের এক সংসদীয় পরামর্শদানকারী কমিটিতে প্রজ্ঞা ঠাকুরকে অন্তর্ভুক্ত করা নিয়ে প্রবল সমালোচনা হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় বহু মানুষ আপত্তি জান‌ান এই সিদ্ধান্তের।

২০০৮ সালের মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলায় জামিনে রয়েছে প্রজ্ঞা ঠাকুর। এবারের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের দিগ্বিজয় সিংহকে ভোপাল লোকসভা কেন্দ্রে হারিয়ে তিনি জয়ী হন।

এর আগে নির্বাচনের প্রচারেও তিনি নাথুরাম গডসেকে ‘‘দেশভক্ত'' বলেছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন, ‘‘নাথুরাম গডসে একজন দেশভক্ত ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন।''

তখনও তাঁর এমন মন্তব্যের নিন্দা করেছিল বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছিলেন, ‘‘এই ধরনের মন্তব্য নিন্দনীয় এবং কোনও সভ্য সমাজে তা মেনে নেওয়া যায় না। উনি ক্ষমা চেয়েছেন ছিকই, কিন্তু আমি তাঁকে ক্ষমা করতে পারব না।''

.