৪৯ বছরের সাংসদ বারবার বিতর্কে জড়িয়েছেন। (ফাইল)
ভোপাল: প্রজ্ঞা ঠাকুরকে (Pragya Thakur) প্রতিরক্ষা বিষয়ক ২১ সদস্যের এক সংসদীয় পরামর্শদানকারী কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা প্রসঙ্গে মধ্যপ্রদেশের মন্ত্রী গোবিন্দ সিংহ (Govind Singh) খোঁচা দিলেন বিজেপিকে। তাঁর ব্যাঙ্গাত্মক দাবি, পাকিস্তানকে (Pakistan) সম্পূর্ণ শেষ করে দেওয়ার জন্য প্রজ্ঞাকে ওই কমিটিতে রাখা হয়েছে। ওই কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। ২০০৮ সালে মালাগাঁও বিস্ফোরণ মামলার অন্যতম অভিযুক্ত প্রজ্ঞা ঠাকুর বর্তমানে শারীরিক অসুস্থতার কারণে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে বেআইনি কর্মকাণ্ড প্রতিরোধক আইন, ভারতীয় দণ্ডবিধি, অস্ত্র আইন এবং বিস্ফোরক পদার্থ আইনের বিভিন্ন ধারায় একাধিক অভিযোগ রয়েছে । এমন একজনকে প্রতিরক্ষা কমিটির মধ্যে রাখায় নিন্দায় সরব হয়েছে কংগ্রেস।
সাংবাদিকদের কাছে প্রজ্ঞা ঠাকুরের অন্তর্ভুক্তি সম্পর্কে গোবিন্দ সিংহের সরস মন্তব্য, ‘‘সম্ভবত দেশ ওঁর মস্তিষ্ককে ব্যবহার করতে চায় পাকিস্তানকে একেবারে শেষ করে দিতে।''
মালেগাঁও বিস্ফোরণে অভিযুক্ত প্রজ্ঞা ঠাকুরের নাম প্রতিরক্ষা কমিটিতে থাকায় উত্তাল সংসদ
তাঁর এহেন কথা শুনে হাসিতে গড়িয়ে পড়েন সাংবাদিকরা। এরপর কংগ্রেস মন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি ওঁকে এই প্যানেলে রাখিনি। ওদের (বিজেপির নেতৃত্বে এনডিএ) মনে হয়েছে এটা সঠিক সিদ্ধান্ত, তাই ওরা নিয়েছে। এটা তো ওদের... মন্ত্রী আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত। তবে উনি ঠিকভাবেই কাজ করবেন।''
তিনি আরও বলেন, ‘‘মহিলারা সব ক্ষেত্রেই ভাল করছে। তারা পুরুষদের পরীক্ষায় ফেলে দিয়েছে।''
কাশ্মীরে সেতুর কাছে মিলল শক্তিশালী IED; দেখুন বোমা নিষ্ক্রিয় করার টানটান মুহূর্তের ছবি
প্রজ্ঞা সম্পর্কে এরপর তিনি বলেন, ‘‘আমি ওঁর মধ্যে অনেক কিছু দেখেছি। উনি ভোপালের সাংসদ হয়েছেন। আর কী চান আপনারা? আমি ওঁকে জন্ম থেকে জানি। ওঁর স্কুলে পড়ার সময় থেকে। আমি ওঁর পুরো পরিবারকে চিনি। ওঁর বাড়ি আমার বাড়ি থেকে ১০০ মিটার দূরে ছিল। ওঁৱ বাবা আমার বন্ধু ছিলেন।''
মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলায় জামিনে রয়েছে প্রজ্ঞা ঠাকুর। এবারের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের দিগ্বিজয় সিংহকে ভোপাল লোকসভা কেন্দ্রে হারিয়ে তিনি জয়ী হন।
৪৯ বছরের সাংসদ বারবার বিতর্কে জড়িয়েছেন। সম্প্রতি নাথুরাম গডসেকে ‘‘দেশভক্ত'' বলে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি। এর আগে ২৬/১১ মুম্বই হামলায় মহারাষ্ট্রের এটিএস চিফ হেমন্ত কারকারে সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন তিনি।
গত আগস্টেও তিনি দাবি করেছিলেন, ‘‘মারক শক্তি'' ব্যবহার করে বিরোধীরা বিজেপি নেতাদের ক্ষতি করতে চাইছে। বিজেপি নেতা অরুণ জেটলি ও নেত্রী সুষমা স্বরাজের মৃত্যুর পর এই মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ান তিনি।