তিনিও নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছেন বলে জানান মহুয়া মৈত্র (ফাইল)
কলকাতা: তৃণমূল কংগ্রেস মহুয়া মৈত্রের (Mohua Moitra) বিরুদ্ধে করিমপুর বিধানসভা উপনির্বাচনের (Karimpur Assembly By-Poll) প্রচারে পুলিশ আধিকারিকদের ব্যবহারের অভিযোগ তুলল বিজেপি। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই মহুয়া মৈত্র এবং সংশ্লিষ্ট পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল সাংসদ, পাশাপাশি তাঁর দাবি মানুষকে ভুল বোঝাতে পুরানো ছবি ব্যবহার করছে গেরুয়া শিবির, তিনিও নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছেন বলে জানান মহুয়া মৈত্র। তৃণমূল সূত্রের খবর, কলকাতা পুলিশের সাইবার সেলে অভিযোগ জানিয়েছে তারাও, পাশাপাশি বলা হয়েছে, ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে বিজেপি, যা একটি অপরাধ এবং আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন।
মহুয়া মৈত্র'র বিরুদ্ধে যৌন বিদ্বেষমূলক মন্তব্য, ৪৮ ঘন্টা নিষিদ্ধ বিজেপি নেতা
বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি নির্বাচন কমিশন। ২৫ নভেম্বর খড়গপুর, করিমপুর এবং কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। তিনটি আসন রয়েছে বিজেপি, তৃণমূল এবং কংগ্রেসের দখলে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “কেন তাঁর প্রচারের সময় সঙ্গে রয়েছেন স্থানীয় থানার অফিসার ইন-চার্জ, এবং তাও আবার সাধারণ পোশাকে? এর অর্থ, তারা পুলিশ আধিকারিকদের দিয়ে ভোটারদের ভয় দেখাতে চায়”। বিজেপির রাজ্যসভাপতি বলেন, “যে পুলিশ আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন, তাঁকে সরানোর দাবি জানিয়ে আমরা ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছি। আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে”।
বিজেপির অভিযোগের জবাবে, মহুয়া মৈত্র বলেন, অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং রাজনৈতিক উদ্দ্যেশ্য প্রণোদিত। তিনি বলেন, “যে ছবিটি বিজেপি ব্যবহার করছে, সেটি অগস্টে তোলা। ভুয়ো খবর ছড়াতে পুরানো ছবি ব্যবহার করছে বিজেপি। আমি নির্বাচন কমিশন এবং পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছি”।
মহুয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনকে ব্যবস্থা নিতে বলল সুপ্রিম কোর্ট
লোকসভা নির্বাচনের পর, ২৫ নভেম্বর রাজ্যের তিন বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন বিজেপি ও তৃণমূলের অ্যাসিড টেস্ট। মহুয়া মৈত্র, করিমপুরের বিধায়ক ছিলেন, লোকসভা নির্বাচনে তিনি কৃষ্ণনগর লোকসভা আসনে জয়লাভ করেন। কংগ্রেস বিধায়ক প্রমথনাথ রায়ের মৃত্যুতে কালিয়াগঞ্জ আসনটি খালি হয়, মেদিনীপুর লোকসভা আসনে দিলীপ ঘোষ জেতায় খালি হয় খড়গপুর সদর আসনটি।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)