This Article is From Apr 16, 2020

লকডাউনের সময় বাতিল হওয়া টিকিটের মূল্য ফেরত দিতে হবে, নির্দেশ বিমান সংস্থাগুলিকে

গত ২২ মার্চ সমস্ত আন্তর্জাতিক উড়ান বাতিল হয়েছিল ভারতে। এরপর ২৫ মার্চ থেকে বন্ধ হয়ে যায় সব দেশীয় উড়ানও। করোনা সংক্রমণ রুখতেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছিল।

লকডাউনের সময় বাতিল হওয়া টিকিটের মূল্য ফেরত দিতে হবে, নির্দেশ বিমান সংস্থাগুলিকে

করোনা সংক্রমণ রুখতে ভারতে বন্ধ সমস্ত উড়ান।

নয়াদিল্লি:

করোনা ভাইরাস (Coronavirus) সংক্রমণ মোকাবিলায় দেশব্যাপী লকডাউনের (Lockdown) জেরে বাতিল হয়েছে সমস্ত রকমের উড়ান। এই পরিস্থিতিতে কোনও যাত্রী যদি দাবি করেন, সেক্ষেত্রে তাঁর বাতিল হওয়া টিকিটের মূল্য (Refund)ফেরত দিতে হবে সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থাকে (Airlines)। এমনটাই জানিয়েছে ডিজিসিএ-র পক্ষ থেকে। তারা জানিয়েছে, বিমান সংস্থাগুলি বাতিল টিকিটের মূল্য থেকে কোনও অংশ কেটে নিতে পারবে না। এবং তিন সপ্তাহের মধ্যে তাদের টিকিটের দাম ফেরত দিতে হবে। ২৫ মার্চ শুরু হওয়া লকডাউনের পর বাতিল হওয়া সমস্ত দেশীয় ও আন্তর্জাতিক উড়ানের ক্ষেত্রেই এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে বলে জানানো হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ১৪ এপ্রিল লকডাউন শেষ হওয়ার কথা থাকলেও পরে তা বাড়িয়ে ৩ মে করে দেওয়া হয়েছে। এই পর্বের মধ্যে বুক করা সমস্ত টিকিটের ক্ষেত্রেই যাত্রীরা চাইলে টিকিটের মূল্য ফেরত দিতে হবে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে।

এর আগে বিমান সংস্থাগুলি জানিয়েছিল, তারা বাতিল হওয়া টিকিটের মূল্য ফেরত দেবে না। ওই মূল্য পরে অন্য উড়ানের সময় রি-শিডিউল করা যাবে।

গত ২২ মার্চ থেকে সমস্ত আন্তর্জাতিক উড়ান বাতিল হয়েছিল ভারতে। এরপর ২৫ মার্চ থেকে বন্ধ হয়ে যায় সব দেশীয় উড়ানও। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছিল।

তবে একমাত্র এয়ার ইন্ডিয়া ছাড়া অন্য সব বিমান সংস্থা দেশীয় উড়ানের টিকিট বুক করছিল ১৪ এপ্রিলের পরের সময়সীমার। কিন্তু মঙ্গলবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করে দেন, লকডাউন ১৪ এপ্রিল শেষ হবে না। তা চলবে ৩ মে পর্যন্ত। তারপরই ডিজিসিএ এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দেয় লকডাউনের মেয়াদ বাড়ার ফলে ওই সময় পর্যন্ত সব আন্তর্জাতিক ও দেশীয় উড়ানই বন্ধ থাকবে।

তবে বেসরকারি বিমান সংস্থাগুলি জানিয়েছিল, তারা টিকিটের মূল্য ফেরত দেবে না। বরং পরে তা রি-শিডিউল করা যাবে। এবং সেক্ষেত্রে ভাড়ার অর্থের তারতম্য হলে বাকি টাকা দিতে হবে যাত্রীদের।

.