This Article is From Aug 08, 2020

এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানটির ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার

Air India Express Crash: ব্ল্যাক বক্সের মধ্যে থাকে দুটি রেকর্ডার- একটি ডিজিটাল ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার এবং একটি ককপিট ভয়েস রেকর্ডার

এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানটির ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার

Kozhikode: শুক্রবার অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে যায় বিমানটি

হাইলাইটস

  • শুক্রবার রানওয়ে থেকে ছিটকে ৩৫ ফুট দূরে গিয়ে পড়ে বিমানটি
  • দুটি টুকরোয় ভাগ হয়ে যায় এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের ওই এয়ারবাস
  • এখনও পর্যন্ত ১৮ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে
কোজিকোড়:

ঠিক কী করে ঘটল কেরলের কোঝিকোড় (Kozhikode) বিমানবন্দরে ভয়ঙ্কর ওই বিমান দুর্ঘটনা? ঠিক দুর্ঘটনার আগে কী বলছিলেন বিমানের (Air India Express Crash) পাইলট ও সহযোগী পাইলট? তাঁরা কি বুঝতে পেরেছিলেন শুক্রবার সন্ধেবেলা প্রবল বৃষ্টির মধ্যে বিমান অবতরণের চেষ্টা বিপজ্জনক হতে পারে? এই সব প্রশ্নের উত্তর মিলতে পারে কেরলের কোঝিকোড় বিমানবন্দরে দুর্ঘটনাগ্রস্ত এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস বিমানটির ব্ল্যাক বক্স (Black boxes) থেকে, কেননা তার মধ্যে থাকা ডেটা রেকর্ডারটিই জবাব দেবে শেষমুহূর্তের পরিস্থিতি ঠিক কী হয়েছিল। ব্ল্যাক বক্সের মধ্যে থাকে দুটি রেকর্ডার- একটি ডিজিটাল ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার (ডিএফডিআর) এবং একটি ককপিট ভয়েস রেকর্ডার (সিভিআর)। ডিএফডিআর বিমানটি কোন উচ্চতায় উড়ছিল, তার অবস্থান কোথায় ছিল এবং বিমানের গতি কী ছিল সেই সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণ করে। পাশাপাশি সিভিআর বিমান চালকদের মধ্যে হওয়া সমস্ত কথোপকথনের রেকর্ড রাখে। উদ্ধার হওয়া এই ব্ল্যাকবক্সের থেকে দুর্ঘটনার তদন্তে নামা আধিকারিকরা দুর্ঘটনার আগের প্রতিটা মুহূর্তের বিষয় জানতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

দুবাই থেকে যাত্রীদের নিয়ে বিমানটি ভারতে ফিরছিল। শুক্রবার রাত ৭:৪১ মিনিটে অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে ৩৫ ফুট দূরে ছিটকে পড়ে বিমানটি। ওই বিমানটিতে ২ পাইলট ও বিমানকর্মী সহ মোট ১৯০ জন সওয়ার হয়েছিলেন।

কেরলের কোঝিকোড়েতে ওই বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান দুই পাইলট সহ মোট ১৮ জন। অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি এই বিমান দুর্ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, বোয়িং ৭৩৭ বিমানটি, রাত ৭.৪১ নাগাদ রানওয়েতে নামার সময় চাকা পিছলে গিয়ে ৩৫ ফুট দূরে ছিটকে পড়ে। জানা গেছে, দুর্ঘটনার আগে পাইলটরা বিমানটি দু'বার অবতরণের চেষ্টা করেও নামতে পারেনি। তৃতীয়বার অর্থাৎ চূড়ান্ত অবতরণের সময়ই ঘটে যায় ওই দুর্ঘটনা।

"আবহাওয়ার রাডার অনুযায়ী, রানওয়ে ২৮-এ অবতরণের কথা ছিল বিমানটির, কিন্তু দু'বার অবতরণের সমস্যা হওয়ায় পাইলটরা রানওয়ে ১০-এ নামার চেষ্টা করতে গেলে ওই দুর্ঘটনাটি ঘটে",জানিয়েছে ডিজিসিএ।

ডিজিসিএ-র আধিকারিকরা বলেন যে বিমানটি তার পূর্ণ গতিতেই ছিল এবং রানওয়ে ১০ এর চারপাশে চক্কর কাটে বেশ কয়েকবার। কিন্তু অবতরণ করতে গেলে সেটি রানওয়ে থেকে ছিটকে যায়। তবে বিমান দুর্ঘটনাটি ঘটলেও আরও অনেক মৃত্যু এড়ানো সম্ভব হয়েছিল কারণ সৌভাগ্যবশত বিমানটিতে আগুন ধরে যায়নি, যার সবরকম সম্ভাবনা ছিলো।

হেল্পলাইনস: এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস - ১৮০০ ২২২২ ৭১, এয়ারপোর্ট কন্ট্রোল রুম - ০৪৮৩ ২৭১৯৪৯৩, মালাপ্পুরম কালেক্টরেট - ০৪৮৩ ২৭৩৬৩২০, কোঝিকোড় কালেক্টরেট - ০৪৯৫ ২৩৭৬৯০১

.