This Article is From Aug 08, 2020

কেরলের বিমান দুর্ঘটনায় দুই পাইলট সহ ১৮ জনের মৃত্যু

Kerala Plane Crash: রানওয়ে ২৮-এ অবতরণের কথা ছিল বিমানটির, কিন্তু দু'বার অবতরণের সমস্যা হওয়ায় পাইলটরা রানওয়ে ১০-এ নামার সময় ওই দুর্ঘটনাটি ঘটে

কেরলের বিমান দুর্ঘটনায় দুই পাইলট সহ ১৮ জনের মৃত্যু

বন্দে ভারত পরিকল্পনার অধীনে বিদেশে আটকে পড়া ভারতীয়দের নিয়ে দেশে ফিরছিলো বিমানটি

হাইলাইটস

  • শুক্রবার রাত ৭.৪১ মিনিটে কেরলে বিমান দুর্ঘটনা ঘটে
  • দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ১৮ জন মারা গেছেন, কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক
  • বিমান দুর্ঘটনার খবরে শোকপ্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী
নয়া দিল্লি/থিরুবনন্তপূরম:

দুবাই থেকে ভারতীয়দের নিয়ে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের (Air India Express) যে বিমানটি দেশে ফিরছিল, শুক্রবার বিমানবন্দরে অবতরণের সময় সেটি রানওয়ে থেকে ছিটকে (Kerala Plane Crash) যায়। বিমানটিতে পাইলট ও সহযোগী পাইলট সহ মোট ১৯০ জন ছিলেন। কেরলের কোঝিকোড়েতে ওই বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান দুই পাইলট সহ মোট ১৮ জন। অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি এই বিমান দুর্ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, বোয়িং ৭৩৭ বিমানটি, রাত ৭.৪১ নাগাদ রানওয়েতে নামার সময় চাকা পিছলে গিয়ে ৩৫ ফুট দূরে ছিটকে পড়ে। জানা গেছে, দুর্ঘটনার আগে পাইলটরা বিমানটি দু'বার অবতরণের চেষ্টা করেও নামতে পারেনি। তৃতীয়বার অর্থাৎ চূড়ান্ত অবতরণের সময়ই ঘটে যায় ওই দুর্ঘটনা।

"আবহাওয়ার রাডার অনুযায়ী, রানওয়ে ২৮-এ অবতরণের কথা ছিল বিমানটির, কিন্তু দু'বার অবতরণের সমস্যা হওয়ায় পাইলটরা রানওয়ে ১০-এ নামার চেষ্টা করতে গেলে ওই দুর্ঘটনাটি ঘটে",জানিয়েছে ডিজিসিএ।

ডিজিসিএ-র আধিকারিকরা বলেন যে বিমানটি তার পূর্ণ গতিতেই ছিল এবং রানওয়ে ১০ এর চারপাশে চক্কর কাটে বেশ কয়েকবার। কিন্তু অবতরণ করতে গেলে সেটি রানওয়ে থেকে ছিটকে যায়।

বন্দে ভারত পরিকল্পনার অংশ ছিল এই বিমানটি যে করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে বিদেশে আটকে পড়া ভারতীয়দের দেশে ফিরিয়ে আনার কাজ করছিলো।

তবে বিমান দুর্ঘটনাটি ঘটলেও আরও অনেক মৃত্যু এড়ানো সম্ভব হয়েছিল কারণ সৌভাগ্যবশত বিমানটিতে আগুন ধরে যায়নি, যার সবরকম সম্ভাবনা ছিলো।

শনিবার ভোরে ডিজিসিএ, বিমান দুর্ঘটনার তদন্ত ব্যুরোর তদন্তকারী আধিকারিকরা, এয়ার ইন্ডিয়ার এক্সপ্রেসের সিইও এবং এয়ার ইন্ডিয়া ও এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের অন্যান্য আধিকারিকরা দুর্ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখেন। 

ge6unjhg

বিমানটিতে ১৭৪ জন যাত্রী, ১০ জন শিশু, ২ জন পাইলট এবং ৪ জন কেবিন ক্রু ছিলেন

ওই দুর্ঘটনার বিষয়ে যাঁরা খোঁজখবর নিতে চাইছেন তাঁদের জন্য শারজা ও দুবাইতে সহায়তা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। তবে আহত কয়েকজন যাত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এই বিমান দুর্ঘটনার পর শোকপ্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। 

প্রধানমন্ত্রী টুইট করেছেন, "কোঝিকোড়ে একটি বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে। যাঁরা তাঁদের প্রিয়জনকে এই দুর্ঘটনায় হারিয়েছেন তাঁদের প্রতি আমার সমবেদনা। কামনা করি আহতরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন।" 

হেল্পলাইনস: এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস - ১৮০০ ২২২২ ৭১, এয়ারপোর্ট কন্ট্রোল রুম - ০৪৮৩ ২৭১৯৪৯৩, মালাপ্পুরম কালেক্টরেট - ০৪৮৩ ২৭৩৬৩২০, কোঝিকোড় কালেক্টরেট - ০৪৯৫ ২৩৭৬৯০১

.