This Article is From Nov 13, 2019

অপহরণকারীকে নিজের মুক্তির জন্যে ৫০ লক্ষ টাকা দিলেন বাংলাদেশের এক ব্য়বসায়ী

West Bengal: বশির মিঞা স্ত্রীর জন্য কিছু গয়না কিনতে কলকাতায় এসেছিলেন এবং তিনি তাঁর সঙ্গে কিছু মার্কিন ডলারও এনেছিলেন যা হাতিয়ে নেয় অপহরণকারীরা

অপহরণকারীকে নিজের মুক্তির জন্যে ৫০ লক্ষ টাকা দিলেন বাংলাদেশের এক ব্য়বসায়ী

কলকাতায় এসে অপহরণকারীদের খপ্পরে এক Bangladeshi

কলকাতা:

বাংলাদেশ থেকে এ রাজ্যে (West Bengal) এসে অপহরণকারীদের খপ্পরে পড়ে ৫০ লক্ষ টাকা গচ্ছা দিতে হল এক ব্যবসায়ীকে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যবসায়ী এন্টালি থানায় এসে অভিযোগ করেন যে, কিছু দুষ্কৃতি তাঁকে (Bangladeshi) অপহরণ করে, এবং প্রায় ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিয়ে তাঁদের হাত থেকে রেহাই পান তিনি। বাংলাদেশের এক ব্যবসায়ী বশির মিঞা অভিযোগে করেন যে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার হাবড়া এলাকার কোনও একটি অজ্ঞাত স্থানে তাঁকে জোর করে আটকে রাখে (kidnap) অপহরণকারীরা, তারপর তিনি প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে তাঁদের হাত থেকে রেহাই পান। বশির মিঞা গত সপ্তাহে নিজের স্ত্রীর জন্য কিছু গয়না কিনতে কলকাতায় এসেছিলেন এবং তিনি তাঁর সঙ্গে কিছু মার্কিন ডলারও এনেছিলেন। শনিবার শিয়ালদহ এলাকার একটি শপিংমলে তিনি ব্যবসায়িক কাজের সঙ্গে যুক্ত কিছু মানুষজনের সঙ্গে দেখা করেন। ওই শপিং মল থেকেই খাওয়া দাওয়া সেরে তিনি হাবড়া যাওয়ার জন্যে একটি ট্রেনে ওঠেন। 

মায়ের পাশ থেকে ৮ মাসের ঘুমন্ত শিশুকে অপহরণ, ক্যামেরায় ধরা পড়ল সেই ছবি

অভিযোগ হাবড়া নামার পরেই ওই ব্যবসায়ীকে কিছু দুষ্কৃতি হাত-পা চোখ বেঁধে কোনও অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখে। "সেখান আটকে রেখে অপহরণকারীরা ব্যবসায়ীর বাবাকে বাংলাদেশ থেকে এদেশে টাকা নিয়ে আসতে ডেকে আনতে বাধ্য করে। মুক্তিপণ দেওয়ার জন্য তাঁকে প্রায় ছয় লক্ষ টাকার নগদ জোগাড়ের কথা বলা হয়", জানিয়েছেন এক পুলিশ আধিকারিক।

বশির অভিযোগ করেন যে অপহরণকারীরা তাঁর কাছে থাকা ডলারও ছিনিয়ে নেয়,  ভারতীয় টাকায় হিসাবে যার মূল্য ছিল প্রায় ৪৪ লক্ষ টাকা। এরপর তাঁরা বশিরকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পার করে দেওয়ার কথা বলে দুজন এজেন্টের হাতে তুলে দেয়। সীমান্তের কাছে এসে ওই ব্যবসায়ী বিএসএফকে সব জানিয়ে দেওয়ার হুমকি দিলে এজেন্টরা তাঁকে ফেলে পালায়। 

বছর চারেকের ঘুমন্ত শিশুকে অপহরণের চেষ্টা, ধরা পড়ল সিসিটিভি ক্যামেরায় !

মুক্তি পাওয়ার পর বশির মিঞা নামের ওই ব্যবসায়ী এন্টালি থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। ওই থানার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “আমরা এই ঘটনার বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছি এবং যে শপিংমলে তাঁরা খাবার খেয়েছিলেন সেখানের সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখছি। আমরা তদন্তে সুবিধার জন্যে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা পুলিশের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছি।”



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.