This Article is From Aug 11, 2018

মমতার 'পরিবর্তন' শ্লোগান এবার অমিত শাহের মুখে

“আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই রাজ্য থেকে উৎখাত করে দেব”, বলেন অমিত শাহ। তাঁর মন্তব্য শুনে সোল্লাসে হর্ষধ্বনি দিয়ে ওঠে জনসভায় উপস্থিত হাজার হাজার মানুষ।

কলকাতায় মেয়ো রোডের জনসমাবেশে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে ভাষণ দেন অমিত শাহ।

কলকাতা:

মেয়ো রোডের সমাবেশে দাঁড়িয়ে হুঙ্কার দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। তাঁর বার্তা এবং লক্ষ্য পরিষ্কার। “আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই রাজ্য থেকে উৎখাত করে দেব”, বলেন তিনি। তাঁর মন্তব্য শুনে বিপুল হর্ষধ্বনি দিয়ে ওঠে আজকের মেয়ো রোডের জনসভায় উপস্থিত হাজার হাজার মানুষ।

অসমের এনআরসি তালিকা থেকে 40 লক্ষ মানুষের নাম বাদ পড়ে যাওয়া নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিজেপিকে ক্রমাগত আক্রমণের জবাবে অমিত শাহ বলেন, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরাই মমতার আসল ভোটব্যাঙ্ক। বিজেপির দাবি, এনআরসি তালিকার বিরোধিতা করে মমতা আসলে নিজের ভোটব্যাঙ্ককেই সুদৃঢ় করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

“মমতাজি যা করেছেন, তা এনআরসির বিরোধিতাই। কিন্তু, এনআরসি হল এমন এক প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের এই দেশ থেকে বের করে দেওয়া যাবে। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদেরও কি বের করে দেওয়া উচিত নয়”, প্রশ্ন করেন তিনি।

শাহ আরও বলেন, “আমাদের কাছে ভোটব্যাঙ্কের অনেক আগে দেশ। আপনারা আমাদের যতই বিরোধিতা করুন, এনআরসি প্রক্রিয়া চলবে। এবং, তা বন্ধ হবে না”।

আগামী লোকসভা নির্বাচনে তাঁর দলের 42 জন প্রার্থীকেই বাংলা থেকে সংসদে পাঠানোর জন্য দলের শক্তি বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্য নিয়েই কলকাতায় সভা করতে এসেছেন অমিত শাহ। গত বারের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি থেকে জিতেছিলেন দুজন প্রার্থী। 2019 সালের নির্বাচনে এই সংখ্যাটি অনেক বাড়বে বলেই আশা করছে বিজেপি নেতৃত্ব।

অসমের এনআরসি তালিকা নিয়ে বাংলায় রাজনৈতিক উত্তাপ বেড়েই চলেছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি মন্তব্য ‘এর ফলে দেশে রক্ত ঝড়বে, গৃহযুদ্ধ লাগবে’- এর পরে তার মাত্রা বেড়ে গিয়েছে আরও।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক সময় নিজেই বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে যথেষ্ট সরব হয়েছিলেন। সেই সময় কেন্দ্রে ছিল ইউপিএ সরকার। রাজ্যে ছিল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সরকার। এক দশকের বেশি সময় বাদে বদলে গিয়েছে পুরো চিত্রটা। ঠিক যেমনভাবে বদলেছে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতামত।

অমিত শাহের কথায়, তাঁরা ক্ষমতায় এলে এই রাজ্যের মানুষ নিশ্চিন্তে দুর্গাপুজো পালন করতে পারবে। তিনি তীব্র শ্লেষে বিদ্ধ করে আরও বলেন, এই রাজ্যে বর্তমান শাসকদলের আমলে একমাত্র অস্ত্রের কারখানা ছাড়া আর কোনও কারখানাই তৈরি হয়নি। 

.