This Article is From Jan 19, 2019

রাফাল নিয়ে ঝেড়ে কাশুন, নয়ত শুনুন ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’; ব্রিগেডে বললেন শত্রুঘ্ন সিনহা

“কেন মিগ বা সুখোইয়ের মতো বিমানের প্রস্তুত কারক সংস্থা হিন্দুস্তান এ্যারোনটিক্স লিমিটেডকে দায়িত্ব না দিয়ে মাত্র ১০ দিনের পুরনো কোম্পানিকে, যাঁদের না তো অভিজ্ঞতা আছে না মূলধন, কেন দায়িত্ব দেওয়া হল তাঁদের প্রশ্ন তোলেন বিজেপি সংসদ সদস্য।

অভিনেতা-রাজনীতিবিদ শত্রুঘ্ন প্রধানমন্ত্রীকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেওয়ার অভিযোগেও বারবার জর্জরিত করেছেন

কলকাতা:

বিজেপি নেতা শত্রুঘ্ন সিনহা আজ বিতর্কিত রাফাল যুদ্ধ বিমান চুক্তি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করলেন ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে। শত্রুঘ্ন জানান, মোদিকে তিনটি প্রশ্নের জবাব দিতে হবে, অন্যথায় তাঁকে “চৌকিদার চোর হ্যায়" শুনতে হবে।

কলকাতায় বিরোধীদলীয় মহা সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় শত্রুঘ্ন সিনহা প্রধানমন্ত্রী মোদিকে “১২৬ টি বিমানের জন্য আগের চুক্তি ভেঙে কেন স্রেফ ৩৬ টি বিমানের জন্য একটি নতুন চুক্তি স্বাক্ষরিত করলেন” সেই বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে বলেন। শত্রুঘ্ন সিনহা দ্য হিন্দু কর্তৃক প্রকাশিত রাফায়েল চুক্তি সম্পর্কে একটি প্রতিবেদনের উল্লেখ করে জানান, নতুন চুক্তিতে বিমানের দাম ৪১ শতাংশ বেড়েছে। তাঁর দাবি, এত দামে কেন বিমান কেনা হবে এর উত্তর প্রধানমন্ত্রীকে দিতেই হবে। 

কোনও বিশেষ ব্যক্তি নয়, আদর্শকে পরাজিত করতে হবে, তৃণমূলের সমাবেশে এসে বললেন যশবন্ত সিনহা

কংগ্রেস ও অন্যান্য বিরোধীদলীয় নেতারা অভিযোগ করেছেন যে প্রধানমন্ত্রী তাঁর ‘বন্ধু' এবং উদ্যোক্তা অনিল আম্বানিকে উপকৃত করার জন্য কোনও স্বচ্ছতা ছাড়াই ৫৯,০০০ কোটি টাকার এই চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন।

কলকাতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা ‘ইউনাইটেড ইন্ডিয়া র‍্যালি'তে ‘শত্রুঘ্ন বলেন, “অনিল আম্বানির কোম্পানি একটা সাইকেলের চাকা অব্দি তৈরি করেনি আজ পর্যন্ত, তাঁরা বিমানের জিনিস কী বানাবে? কিন্তু তাঁকেই দায়িত্ব দেওয়া হল? কেন? প্রধানমন্ত্রী উত্তর দিন।”

“২০১৯ এ নতুন প্রধানমন্ত্রী দেখবেই ভারত” ব্রিগেডে বললেন অখিলেশ যাদব

“কেন মিগ বা সুখোইয়ের মতো বিমানের প্রস্তুত কারক সংস্থা হিন্দুস্তান এ্যারোনটিক্স লিমিটেডকে দায়িত্ব না দিয়ে মাত্র ১০ দিনের পুরনো কোম্পানিকে, যাঁদের না তো অভিজ্ঞতা আছে না মূলধন, কেন দায়িত্ব দেওয়া হল তাঁদের প্রশ্ন তোলেন বিজেপি সংসদ সদস্য।

অভিনেতা-রাজনীতিবিদ শত্রুঘ্ন প্রধানমন্ত্রীকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেওয়ার অভিযোগেও বারবার জর্জরিত করেছেন। "নয়ে ওয়াদে হো রহে হ্যায় লেকিন পারফর্ম্যান্স কুছ নহি।” প্রতিশ্রুরি আর কাজের মধ্যে বিশাল এক খাদ রয়ে গিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন শত্রুঘ্ন সিনহা।

.