This Article is From May 21, 2018

প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাধারণ সামিটে যোগ দিতে আগামী সপ্তাহেই রাশিয়া পাড়ি দেবেন পিএম মোদী

উভয় লিডারের মধ্যে নিজ নিজ জাতীয় উন্নয়ন ও দ্বিপার্শ্বিক বিষয়ের আলোচনা হবে

প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাধারণ সামিটে যোগ দিতে আগামী সপ্তাহেই রাশিয়া পাড়ি দেবেন পিএম  মোদী
নিউ দিল্লী: চীন প্রধানের সঙ্গে সাধারণ কথাবার্তার জন্য চীন সফরের এক মাসের মধ্যেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী 21শে মে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাধারণ সামিটে যোগ দিতে রাশিয়া পাড়ি দেবেন।

প্রেসিডেন্ট পুতিনের আমন্ত্রণে সোচি সামার বিচ রিসোর্টে এই সামিট অনুষ্ঠিত হবে। 

পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নতির লক্ষ্যে বৈদেশিক ঘটনাবলী সম্পর্কে দুই লিডারের মধ্যে ব্যাপকার্থে দৃষ্টিভঙ্গি ও মতামত আদানপ্রদানের জন্য এই সামিটটি গুরুত্বপূর্ণ হবে।

উভয় লিডারের মধ্যে নিজ নিজ জাতীয় উন্নয়ন ও দ্বিপার্শ্বিক বিষয়ের আলোচনা হবে। 

বক্তব্যে জানানো হয়েছে, এই সামিটে দুই দেশের মধ্যে উচ্চতর নিয়মিত আলোচনার ট্র্যাডিশন বজায় রাখা হবে। 

গত সপ্তাহে, জাতীয় সুরক্ষা উপদেষ্টা (এনএসএ) অজিত দোভাল এবং বিদেশ সচিব বিজয় গোখেল রাশিয়া যান। উভয় দেশের নিয়মিত এনএসএ লেভেলের অংশ হিসেবে সেখানে থাকাকালীন রাশিয়ার বিদেশ মন্ত্রীর সঙ্গে তাঁদের এই বিষয়ে আলোচনা হয়।

"প্রধানমন্ত্রী মোদী মনে করেন সরাসরি আলোচনার জন্য, নিয়মনিষ্ঠ সামিট বা আলোচনার বাইরে সাধারণভাবে কথা হওয়া খুবই প্রয়োজন। নিয়মিত সাধারণ আলোচনা আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির বদলের জন্য অত্যন্ত জরুরী"। বিভিন্ন সূত্রে এনডিটিভি জানতে পারে। 

সূত্র থেকে জানা যায়, পূর্ব নির্ধারিত বিষয়সূচী না থাকার ফলে এই সাক্ষাতে ইরান এবং নর্থ কোরিয়া সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।

গত মাসে, প্রধানমন্ত্রী মোদী, চীনের প্রেসিডেন্ট সি জিনপিং এর সঙ্গে সাধারণ আলোচনায় অংশ নিতে দুই দিনের জন্য চীনের উহান শহরে উপস্থিত হয়েছিলেন। সেখানে নিজ নিজ বিষয় ও সমস্যা সংক্রান্ত আলোচনার জন্য তাঁরা দুই লিডার নিজস্ব অনুবাদক সহ ছয় রাউন্ড মিটিংয়ে অংশ নেন। 

গতবছর 73 দিন ডোকলাম মিলিটারি স্টান্ডফোর্ডের সময় উভয় দেশের মধ্যে যে তিক্ততা সৃষ্টি হয় তা দূর করে দুই দেশের সম্পর্ক পুনরায় সুন্দর করতে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল। 

চীন এবং রাশিয়ার এই সাধারণ আলোচনা সভার বিষয়গুলি ভারতকে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে, কারণ, ভারত বহু ক্ষেত্রে, যেমন- ইরান, প্যালেস্টাইন এবং বাণিজ্য ভিসা ইত্যাদিতে ইউনাইটেড স্টেটসের সঙ্গে সহমত হতে পারেনি। মিস্টার সি এবং মিস্টার পুতিনের সঙ্গে আলোচনার প্রেক্ষাপটে তাঁর এই প্রতিক্রিয়া বলে জানা গেছে।
.