This Article is From May 02, 2019

"এরপর আর কী কী হয়, শুধু দেখতে থাকুন", মাসুদ আজহারকে নিয়ে প্রতিক্রিয়া মোদীর

"এবার থেকে কারও কার্যকলাপে যদি বিপদের মুখে পড়ে দেশ, তাহলে আমরা তাদের ঘরে ঢুকে মেরে আসব। ওরা আমাদের গুলি মারলে, আমরা ওদের দিকে বোমা ছুঁড়ে মারব"

শেষ কয়েক বছর ধরে ভারতের কথা শুনতে বাধ্য হচ্ছে গোটা বিশ্ব, বলেন মোদী

জয়পুর:

'সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এ আমাদের এক বিশাল জয়', জৈশ-ই-মহম্মদের প্রধান মাসুদ আজহারকে রাষ্ট্রপুঞ্জ 'আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী' হিসেবে ঘোষণা করে কালো তালিকার অন্তর্ভুক্ত করার পর এই কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি আরও বলেন, ভারতের বিরুদ্ধে যারা যুদ্ধ চালাতে চায়, সরকারের পক্ষ থেকে এটা তাদের বিরুদ্ধেও প্রথম পদক্ষেপ।  "এবার থেকে কারও কার্যকলাপে যদি বিপদের মুখে পড়ে দেশ, তাহলে আমরা তাদের ঘরে ঢুকে মেরে আসব। ওরা আমাদের গুলি মারলে, আমরা ওদের দিকে বোমা ছুঁড়ে মারব", বুধবার রাজস্থানের জয়পুরের একটি জনসভা থেকে এই কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য শেষ হওয়ার পর জনসভায় আসা হাজার হাজার মানুষের করতালির শব্দে ভরে ওঠে বাতাস।

আপত্তি প্রত্যাহার চিনের, আন্তর্জাতিক জঙ্গি মাসুদ আজাহার

মাসুদ আজহারকে আন্তজার্তিক জঙ্গি ঘোষণার ক্ষেত্রে চিনের প্রাচীর সরে যাওয়ায় পাক জঙ্গিকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি তালিকাভুক্ত  করা হল। গত ফেব্রুয়ারিতে জম্মু কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সিআরপিএফের ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান শহিদ হওয়ার নেপথ্যে ছিল পাক জঙ্গি সংগঠন জৈশ-ই-মহম্মদের প্রধান মাসুদ আজাহার। রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী সদস্য সইদ আকবরউদ্দিন টুইট করেন, “বড় ছোট সবাই একসঙ্গে। রাষ্ট্রসংঘের তালিকায় আন্তর্জাতিক জঙ্গি মাসুদ আজহার। সমর্থনের জন্য সবার কাছে কৃতজ্ঞ”।

এর অর্থ মাসুদ আজাহারের টাকা পয়সা এবং সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে। চিনের অবস্থান বদলাতে বেজিং-এর ওপর ভারতের পাশাপাশি চাপ বাড়িয়েছে আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স।

China On Masood Azhar: “সংশোধিত তথ্যসামগ্রী দেখার পর কোনও আপত্তি নেই”

"শেষ কয়েক বছর ধরে ভারতের কথা শুনতে বাধ্য হচ্ছে গোটা বিশ্ব। এতটাই ক্ষমতাশালী হয়ে উঠেছে আমাদের দেশ। আর আমাদের উপেক্ষা করে থাকা যাবে না। আর, আমি আপনাদের বলতে চাই যে, এটা তো সবে শুরু! শুধু অপেক্ষা করুন আর দেখতে থাকুন, এরপর আর কী কী হয়", দর্শকদের উল্লাসধ্বনির মাঝেই বলে যেতে থাকেন নরেন্দ্র মোদী।

১৯৯৪ সালে জম্মু ও কাশ্মীরে জিহাদি বক্তৃতা দেওয়ার জন্য মাসুদ আজহারকে গ্রেফতার করে ভারত সরকার। ওই সময় তার অন্যতম ডানহাত, ব্রিটিশ নাগরিক ওমর শেখ, তৎকালীন অতি কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন হরকত-উল-আনসারের সদস্য, ভারত থেকে পণবন্দি করেছিল চারজন পশ্চিমী পর্যটককে। তাদের দাবি ছিল, মাসুদ আজহারকে ছাড়ার পর তবেই ওই বিদেশি বন্দিদের ছাড়া হবে। যদিও, তাতে তখন তারা সফল হয়নি। গোয়েন্দারা ওই চার পণবন্দিকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসে ওমর শেখের জিম্মা থেকে এবং গ্রেফতার করে ওই কুখ্যাত জঙ্গিকেও।

"ইতিবাচক অগ্রগতি", মাশুদ আন্তর্জাতিক অপরাধী তালিকাভুক্ত করা নিয়ে প্রতিক্রিয়া চিনের

১৯৯৫ সালে ফের ৫ জন বিদেশি পর্যটকদের পণবন্দি করে হরকত উল আনসার মাসুদ আজহারকে ছেড়ে দেওয়ার দাবি নিয়ে। পরে তাদের পাঁচজনকেই হত্যা করা হয়।

১৯৯৯ সালে কান্দাহারে বিমান হাইজ্যাক করার পর মাসুদ আজহারকে ছাড়তে বাধ্য হয় ভারত সরকার। তার কয়েকদিনের মধ্যেই ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় বিশ্বের অন্যতম ভয়ঙ্কর জঙ্গি সংগঠন জৈশ-ই-মহম্মদের। ২০০০ সালের এপ্রিল মাসে জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরের বাদামি বাগ ক্যান্টনমেন্টে প্রথম আত্মঘাতী হামলা চালায় জৈশ।

মাসুদ আজহার নিয়ে 'দ্বিচারিতা', চিনকে আক্রমণ আমেরিকার

২০০১ সালের ১৩ ডিসেম্বর সংসদ ভবনে হামলা, ২০১৬ সালের ২ জানুয়ারি পাঠানকোটে বায়ুসেনার ঘাঁটিতে হামলা, ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর উরিতে সেনাবাহিনীর সদর দফতরে হামলা- সব ঘটনার সঙ্গেই জড়িয়ে এই কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদী নেতার নাম

.