দেশীয় প্রযুক্তিতে অস্ত্র উৎপাদনের স্বার্থে আগামিদিনে একাধিক আমদানি বন্ধ হবে। শনিবার জানান নির্মলা সীতারমণ।
নয়াদিল্লি: বাড়ানো হল প্রতিরক্ষা খাতে (FDI in Defence) বিদেশী বিনিয়োগের সর্বাধিক মাত্রা। শনিবার ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Finance Minister)। আগের ৪৯% থেকে বাড়িয়ে ৭৯% (From 49% to 79%) করা হল এফডিআই মাত্রা। জানা গিয়েছে; প্রতিরক্ষা খাতে প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগে সরকারি অনুমোদনের প্রয়োজন হয় না। এদিন নির্মলা সীতারমণ বলেছেন; "যে অস্ত্রগুলো ঘরোয়া প্রযুক্তিতে তৈরি সম্ভব; সেগুলোর আমদানি বন্ধ করবে ভারত। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক একটা তালিকা তৈরি করছে। সেই তালিকা মেনে আমদানিকৃত দেশকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে। আত্মনির্ভর ভারত গঠনে এই সিদ্ধান্ত কার্যকরী ভূমিকা নেবে।" তিনি আরও জানিয়েছেন; দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি অস্ত্রগুলোর স্পেয়ার পার্টস তৈরি করবে দেশীয় সংস্থা। এই উদ্যোগ প্রতিরক্ষা আমদানি খরচ কমাবে।
গরিবদের এই মুহূর্তে টাকা দরকার, ঋণ নয়, অর্থনৈতিক প্যাকেজ নিয়ে আরও ভাবুন: রাহুল গান্ধি
এদিকে, কাঠামো খাতে ৫০ হাজার কোটি ব্যয় করবে কেন্দ্র। শনিবার ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী। ২০২০-২১ সালে সব বাণিজ্য পার্কের পরিকিঠামো উন্নয়ন খাতেও ব্যয় হবে টাকা। শনিবার পরিকাঠামো খাতে বরাদ্দ ঘোষণা করতে গিয়ে এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী। ২০ লক্ষ-কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ কোন খাতে কী ভাবে বরাদ্দ করা হবে? বুধবার থেকে সেই বিষয়ে বিস্তারিত সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরছেন নির্মলা সীতারমণ। শনিবার চতুর্থ দিনে পরিকাঠামো ক্ষেত্রকে দাঁড় করাতে কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা বিবৃত করলেন তিনি। এদিকে শুক্রবার কৃষি পরিকাঠামো উন্নয়নে এক লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজের ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী। ২০ লক্ষ কোটি টাকা আর্থিক প্যাকেজের বিস্তারিত বলতে শুক্রবারও সাংবাদিক বৈঠক করেছেন নির্মলা সীতারমণ। সেই বৈঠকে আত্মনির্ভর ভারত গঠনের স্বার্থে কৃষি পরিকাঠামো উন্নয়ন খাতে বাজেট বরাদ্দের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন অতি দ্রুত এই খাতে তহবিল গড়া হবে।
ভারতকে ভেন্টিলেটর দেবে আমেরিকা! "বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় হল", টুইট প্রধানমন্ত্রীর
তিনি বলেন, "তৃণমূল স্তরের কৃষকদের পাশাপাশি স্টার্টআপ সেক্টর, রফতানি ক্ষেত্রকে অনুপ্রাণিত করবে এই প্যাকেজ। পরিকাঠামো উন্নয়ন ও কোল্ড স্টোরেজের আধুনিকীকরণের স্বার্থে ব্যয় হবে এই তহবিল।" বৃহস্পতিবারও প্যাকেজের বিস্তারিত ঘোষণার স্বার্থে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী। সেদিন তিনি কৃষকদের আর্থিক দুরবস্থা, পরিযায়ী শ্রমিক ও ঠেলা ব্যাপারীদের সুরাহা দিতে একগুচ্ছ ঘোষণা করেন।