
ফাইল ছবি।
সরকারি ব্যর্থতার জন্য নিট-জেইই প্রত্যাশীদের সঙ্গে আপস করা উচিত হবে না। শুক্রবার এ ভাষাতেই সরব হলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি। শিক্ষা মন্ত্রকের সুপারিশে সুপ্রিম কোর্ট এই দুটি সর্বভারতীয় পরীক্ষা আয়োজনে সিলমোহর বসিয়েছে। সেপ্টেম্বরের নির্ধারিত দিনেই এই পরীক্ষা নিতে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। এদিকে, নিট-জেইই আয়োজনে সরকারি এই তৎপরতাকে কাঠগড়ায় তুলে রাহুলের টুইট, "নিট-জেইই প্রত্যাশীদের নিরাপত্তা সরকারি ব্যর্থতার জন্য আপস করা উচিত নয়। সরকারের প্রতি শরিকের সঙ্গে আলোচনা করে ঐক্যমতে পৌঁছনো উচিত।" পড়ুয়াদের প্রতি বার্তা দিতে গিয়ে রাহুল টুইটে লেখেন, "তোমরা দেশের ভবিষ্যত। তোমরা ছাত্র আর তোমরা দেশকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে।"
কেন্দ্রের সরকারের প্রতি ক্ষোভ উগরে তাঁর সংযোজন, "আমি বুঝতে পারছি না কেন তোমাদের শিখণ্ডি খাড়া করা হচ্ছে। কেন আরও বেদনা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ছাত্রদের ওপর সরকার কেন সরকার সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিচ্ছে? এটা গুরুত্বপূর্ণ সরকার ছাত্রদের কথা শুনে চলুক।"
দেখুন সেই টুইট:
NEET-JEE aspirants' safety should not compromised due to the failures of the Govt.
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) August 28, 2020
Govt must listen to all stakeholders and arrive at a consensus.#SpeakUpForStudentSafetypic.twitter.com/Y1CwfMhtHf
এদিকে, নিট-জেইই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় পুনর্বিবেচনার দাবিতে ফের শীর্ষ আদালতে ছয়টি রাজ্য। দেশের অ-বিজেপি ছয়টি রাজ্যের মন্ত্রিসভার একজন করে সদস্য এই আবেদন করেছেন। এই ছয়টি রাজ্য হলো বাংলা, রাজস্থান, ঝাড়খণ্ড, পঞ্জাব, মহারাষ্ট্র এবং ছত্তিশগড়। ১৭ অগাস্ট সুপ্রিম কোর্ট রায়ে বলেছিল, "কেরিয়ার নিয়ে ছেলেখেলা করা যায় না। করোনা আগামি একবছর চলতে পারে। এই একবছরও পরীক্ষা বন্ধ থাকবে? জীবন থেমে থাকতে পারে না। তাই সব নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।" এই রায় পুনর্বিবেচনার দাবিতে শুক্রবার ফের সুপ্রিম কোর্টে দরবার করেছে ওই ছয়টি অঙ্গ রাজ্য। এদিকে, চলতি সপ্তাহেই অবিজেপি দলগুলোকে নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন সনিয়া গান্ধি। জিএসটি খাতে রাজ্যগুলোর বরাদ্দবৃদ্ধি ও নিট-জেইই স্থগিত রাখতে রণকৌশল তৈরি। এই দুই নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছিল বিরোধী জোটের এই বৈঠকে। তারপর এদিন সুপ্রিম কোর্টে এই দরবার তাৎপর্যপূর্ণ। সূূূূচি মেনে সেপ্টেম্বরের ১-৬ জেইই হবে আর ১৩ সেপ্টেম্বর হবে নিট।
এদিকে, সেই ছয় রাজ্যের মন্ত্রিসভার যে সদস্যরা এই উদ্যোগ নিয়েছেন, তাঁরা হলেন, এ রাজ্যের আইন মন্ত্রী মলয় ঘটক, ঝাড়খণ্ডের অর্থমন্ত্রী রাজেশ্বর ওরাওঁ, রাজস্থানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রঘু শর্মা, ছত্তিশগড়ের খাদ্যমন্ত্রী অমরজিত ভগৎ, পঞ্জাবের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলবীর সিং সিঁধু, মহারাষ্ট্রের শিক্ষামন্ত্রী উদয় আর সামন্ত।