কলকাতা সফরে আসা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সঙ্গে রাজভবনে বৈঠক (Mamata Meeting Modi) এবং সোমবার নয়াদিল্লিতে বিরোধী দলের বৈঠকে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত— মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) এই দুই পদক্ষেপ আসলে রাজ্যে তৃণমূল-বিরোধী ভোটকে ভাগ করার ‘‘মরিয়া প্রয়াস''। বর্ষীয়ান বিজেপি (BJP) নেতারা তেমনটাই মনে করছেন। তাঁদের মতে কংগ্রেস সভাপতি সনিয়া গান্ধির সঙ্গে বৈঠকে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্তটা তৃণমূল নেত্রীর সুচিন্তিত পদক্ষেপ। তাঁর উদ্দেশ্য মৃত্যুশয্যায় থাকা কংগ্রেস ও সিপিআই(এম)-কে অক্সিজেন জোগান দেওয়া। আসলে এর মাধ্যমে মমতা একটা বার্তা দিতে চাইছেন যে, বিজেপির সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও একটা বোঝাপড়া হয়েছে। রাজ্যের এক বিজেপি নেতার কথায়, ‘‘২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে আমরা রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল হিসেবে উঠে এসেছি। আর তাই উনি এই মরিয়া প্রয়াস নিলেন তৃণমূল-বিরোধী ভোটকে ভাগ করতে।''
তবে ওই নেতার মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই কৌশল সকলের কাছে ধরা পড়ে গিয়েছে। এবং তা ফলপ্রসূ হবে না। তাঁর দাবি, রাজ্যের মানুষ এরই মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে তৃণমূলকে সরিয়ে বিজেপিকে ২০২১ সালে রাজ্যে ক্ষমতায় নিয়ে আসার।
"সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরে উত্তরপ্রদেশের মতোই গুলি করে মারা উচিত": দিলীপ ঘোষ
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে ৪২টি আসনের মধ্যে ১৮টিতে জয়ী হয়েছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের প্রাপ্ত আসন ছিল শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে মাত্র চারটি কম। মোট ভোটের ৪১ শতাংশ পেয়েছিল বিজেপি। তৃণমূল পেয়েছিল ৪৩ শতাংশ। কংগ্রেস ও বাম জোট ছিল যথাক্রমে তিন ও চার নম্বরে।
আর এক বিজেপি নেতার মতে, ‘‘কংগ্রেস ও বাম তাদের ভোটার ধরে রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে। তাই অনেকেই সেই ভোট বিজেপিকে দিয়েছে। মমতা চাইছেন ওই দুই দলকে (কংগ্রেস ও বাম) গেরুয়া শিবিরের পরিবর্তে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে দেখাতে।''
কলকাতা বন্দরের নয়া নামকরণ কাজের গতি বা উৎপাদন বাড়াবে না: সিপিআই (এম)
গত শনিবার মুখ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীকে এক মঞ্চে দেখা গিয়েছে। রাজভবনে দু'জনের মধ্যে কথাও হয়েছে। আর তারপর থেকেই রাজ্য বিজেপি এমন দাবি করতে শুরু করেছে।
মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন, গত ৮ জানুয়ারি ভারত বনধের দিন তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে কংগ্রেস কর্মীদের মারামারির ঘটনার কারণেই তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন একলা চলার।
তৃণমূল নেতা তাপস রায় জানাচ্ছেন, ‘‘তৃণমূই সিএএ-বিরোধী আন্দোলনের পুরোভাগে রয়েছে। আমরাই প্রথম দল যারা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করেছে। সুতরাং ওদের (বিজেপি) উচিত এমন ভিত্তিহীন মন্তব্য করার আগে দু'বার ভাবা। বিজেপিরই বরং কংগ্রেস ও সিপিআই(এম) সঙ্গে আঁতাত রয়েছে।''
এদিকে সিপিআই(এম) নেতা সুজন চক্রবর্তীর দাবি, তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে ‘‘রাজনৈতিক ম্যাচ ফিক্সিং'' এখন সকলের সামনে। ওই দুই দলের দ্বিচারিতা ধরা পড়ে গিয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি কখনও একে অপরের সঙ্গে লড়াই করে না। কারণ ওরা একই মুদ্রার দুই পিঠ। কেবল বাম ও কংগ্রেস ওদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে পারে।''
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)