This Article is From Jan 13, 2020

"সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরে উত্তরপ্রদেশের মতোই গুলি করে মারা উচিত": দিলীপ ঘোষ

Citizenship Amendment Act: "ওগুলো কি ওঁদের বাবার সম্পত্তি? কীভাবে ওঁরা করদাতাদের টাকায় নির্মিত সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করতে পারেন?", বলেন বিজেপি নেতা

West Bengal: জনগণের সম্পত্তি নষ্টকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না করায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দুষলেন দিলীপ ঘোষ

হাইলাইটস

  • মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করলেন দিলীপ ঘোষ
  • আন্দোলনের নামে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে সরব তিনি
  • কেন মমতা প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ করেনি, তা নিয়ে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ দিলীপের
কলকাতা:

ঠিক যেভাবে উত্তরপ্রদেশে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (Citizenship Amendment Act) বিরুদ্ধে প্রতিবাদের নামে গুণ্ডামি তথা সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর বন্ধে গুলি করে মারা হয়েছে, ঠিক সেভাবেই এ রাজ্যেও কড়া পদক্ষেপ করা উচিত, বললেন পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ । যাঁরা এভাবে জনগণের সম্পত্তি নষ্ট করছে তাঁদের গুলি করে মারা উচিত বলে বিতর্কিত মন্তব্য করেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলায় একটি জনসভায় বক্তব্য রাখার সময় দিলীপ ঘোষ রাজ্যে আন্দোলনের নামে ভাঙচুরের ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। গত ডিসেম্বরে "নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় বিক্ষোভ চলাকালীন রেলের সম্পত্তি ও গণপরিবহনে ভাঙচুরের ঘটনার বিরুদ্ধে" মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) কেন লাঠিচার্জ ও গুলি চালানোর আদেশ দেননি তা নিয়ে তৃণমূল নেত্রীর তীব্র সমালোচনা করেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি (Dilip Ghosh)। 

"ওগুলো কি ওঁদের বাবার সম্পত্তি? কীভাবে ওঁরা করদাতাদের টাকায় নির্মিত সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করতে পারেন?", আন্দোলনের নামে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের ঘটনায় রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন দিলীপ ঘোষ।

নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি নিয়ে আজ বিরোধীদের বৈঠক, থাকছেন না মমতা

পাশাপাশি ওই বিজেপি নেতা আরও বলেন যে, "উত্তরপ্রদেশ, অসম ও কর্ণাটকের সরকার এই দেশবিরোধী পদক্ষেপ আটকাতে গুলি চালিয়ে একদম ঠিক কাজ করেছিল।"

ওই সভামঞ্চ থেকে তিনি এও দাবি করেন যে দেশে ২ কোটি ‘মুসলিম অনুপ্রবেশকারী' রয়েছে। তাঁদের মধ্যে "শুধু পশ্চিমবঙ্গেই রয়েছে এক কোটি মুসলিম অনুপ্রবেশকারী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওঁদের রক্ষা করার চেষ্টা করছেন", এভাবেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধলেন দিলীপ ঘোষ। যে বা যাঁরা হিন্দু বাঙালিদের স্বার্থরক্ষার বিরুদ্ধে কথা বলছেন তাঁদের চিনে রাখার জন্যেও রাজ্যের মানুষের প্রতি আহ্বান জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

এদিকে আজই (সোমবার) সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এবং এনআরসির বিরোধিতায় বৈঠকে বসছে কংগ্রেস সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলি। যদিও জানা গেছে ওই বৈঠকে থাকছেন না তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

"কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে দেশ": নাগরিকত্ব আইন প্রসঙ্গে বললেন প্রধান বিচারপতি

নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে সারা দেশে বিক্ষোভ চলছে। বিশেষত কলেজ ক্যাম্পাসে এই আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। ভারতে এই প্রথমবার নাগরিকত্ব আইনে ধর্মকে নাগরিক হওয়ার মাপকাঠি করা হয়েছে। সরকারের দাবি, এই আইনের ফলে, ২০১৫ এর আগে, ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে ভারতে চলে আসা তিন মুসলিম অধ্যুষিত দেশের সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার পথ সহজ হবে । কিন্তু সমালোচকদের দাবি, এই আইনটি মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিভাজনমূলক এবং তা সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতাকে লঙ্ঘন করে।

.