This Article is From Jun 15, 2020

কলকাতার ৫২% নাগরিক আরও একমাস সম্পূর্ণ লকডাউনের পক্ষে: সমীক্ষা

নাদির গোদরেজ, আরসি ভার্গব আর আনন্দ মাহিন্দ্রার মতো উদ্যোগপতিরা এই সংস্থার পরিচালন পর্ষদে রয়েছে

কলকাতার ৫২% নাগরিক আরও একমাস সম্পূর্ণ লকডাউনের পক্ষে: সমীক্ষা

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ কমার তো কোনও লক্ষণই নেই, বরং দিনে দিনে সেই সংখ্য়া বেড়েই চলেছে। (ফাইল ছবি)

কলকাতা:

২৫০০ জনের মধ্যে ৫২% নাগরিক চায় লকডাউন ফিরুক কলকাতায় (Complete Lockdown in Kolkata)। অন্তত আরও একমাস সম্পূর্ণ লকডাউন লাগু হোক শহরে। এক অনলাইন সমীক্ষায় এমন দাবি করেছে তাঁরা। লোকালসার্কেলস নামে এক সামাজিক মাধ্যম কেন্দ্রিক সংস্থা এই সমীক্ষা (Online Survey) চালিয়েছে। নাদির গোদরেজ, আরসি ভার্গব আর আনন্দ মাহিন্দ্রার মতো উদ্যোগপতিরা এই সংস্থার পরিচালন পর্ষদে রয়েছে। তাঁদের উদ্যোগেই সর্বাধিক করোনা সংক্রমিত ছ'টি রাজ্যে এই সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। যে তালিকায় দিল্লি, মুম্বই-সহ কলকাতা ও আহমেদাবাদ রয়েছে। সমীক্ষার বিষয় ছিল, একদফা লকডাউন মেয়াদবৃদ্ধি প্রসঙ্গে নাগরিকদের অবস্থান কী! কলকাতার প্রায় ২৬৪৪ জনের মধ্যে ৫২% মনে করেন, "অন্তত আর একমাস সম্পূর্ণ লকডাউন বিধি লাগু করা উচিত।"

এই সমীক্ষায় অংশ নিয়েছিল দিল্লির প্রায় ছ'হাজার জন। যাঁদের মধ্যে ৭৯% মনে করে সম্পূর্ণ লকডাউন প্রয়োজন। মুম্বইয়ের ৬৪% মনে করেন লকডাউন জরুরি।

শুধুমাত্র অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের জন্যে চলা শুরু করল লোকাল ট্রেন

চেন্নাইয়ের ৫২৩২ জনের মধ্যে ৬১% সম্পূর্ণ লকডাউনের পক্ষে। 

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ কমার তো কোনও লক্ষণই নেই, বরং দিনে দিনে সেই সংখ্য়া বেড়েই চলেছে। সোমবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্য়ান অনুসারে গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে ওই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ১১,৫০২ জন। এর ফলে দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের মোট সংখ্যা বেড়ে ৩,৩২,৪২৪ এ গিয়ে দাঁড়িয়েছে। গত একদিনের মধ্যে আরও ৩২৫ জন মারা গেছে। ফলে এখনও পর্যন্ত এদেশে করোনা প্রাণ কাড়ল ৯,৫২০ জনের। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে যে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়েছে তার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র, সেখানে মোট আক্রান্ত ১,০৭,৯৫৮ জন। এর পরেই রয়েছে তামিলনাড়ু, দিল্লি এবং গুজরাট।

এদিকে দেশের রাজধানী দিল্লিতে যেভাবে প্রতিদিনই করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্রও। সোমবারই দিল্লির করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সর্বদলীয় বৈঠক করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পাশাপাশি দিল্লির সঙ্গে হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশের সীমান্ত অঞ্চলের কিছু অংশের সংক্রমণ মোকাবিলা নিয়েও আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা।

.