কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি মুমতাজ খান এবং বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বেঞ্চ, ছাত্রধর মাহাতের তিনসঙ্গীরও সাজার মেয়াদ কমায়
কলকাতা: মাওবাদী নেতা ছত্রধর মাহাতের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা রদ করে তা ১০ বছর করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি মুমতাজ খান এবং বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বেঞ্চ, ছাত্রধর মাহাতের তিনসঙ্গীরও সাজার মেয়াদ কমানোর পাশাপাশি বোমা বিস্ফোরণ এবং ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণের দায়ে অপরাধী দুজনকে মুক্তি দেয়। পুলিশের বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ তুলে, জঙ্গলমহলে আদিবাসী আন্দোলন গড়ে তোলার অন্যতম কারিগর ছিলেন ছাত্রধর মাহাত। স্থানীয় আদিবাসী মানুষদের একত্রিত করে, লালগড় থেকে নিরাপত্তা কর্মীদের সরে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল। ২০০৯-এর ২৬ সেপ্টেম্বর পিরকা গ্রাম থেকে ছত্রধর মাহাতকে গ্রেফতার করে সিআইডি।
সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের কনভয়ের পথে, ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণের চেষ্টা করা হয়। যদিও তা সফল হয়নি। এরপরেই জঙ্গলমহলে তল্লাশি এবং “ব্যাপক' ধরপাকড় শুরু করে পুলিশ। ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণ থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পান তৎকালীন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী রামবিলাশ পাশোয়ান এবং জীতিন প্রসাদ।
জনগণের কমিটির নেতা ছত্রধর মাহাতের সাজার মেয়াদ কমানোর পাশাপাশি, সুখশান্তি বাস্কে, সগুন মুর্মুরও সাজা কমিয়ে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট, এবং রাজা সরখেল ও প্রসূন চট্টোপাধ্যায়কে প্রমাণের অভাবে মুক্তি দেওয়া হয়। যে সংশোধনাগারে তাঁরা রয়েছেন, সেখানে আদালতের নির্দেশের কপি পৌঁছালেই মুক্তি দেওয়া হবে রাজা সরখেল এবং প্রসূন চট্টোপাধ্যায়কে। আগামী মাসে ১০ বছরের সাজার মেয়াদ পূর্ণ হচ্ছে ছত্রধর মাহাতসহ বাকিদের। ফলে সেপ্টেম্বরেই মুক্তি পাবেন তাঁরা।
২০০৮ থেকে ২০১১ এর মধ্যে লালাগড়ের কাঁটাপাহাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ, জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসে নাশকতা এবং বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, রামবিলাশ পাশোয়ানের কনভয়ের পথে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণের চেষ্টার অভিযোগে ২০১৫-এ ছ'জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়েরা বিচারক কাবেরি বসু।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)