This Article is From Oct 30, 2019

কুলগামে হত্যা নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ রাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলির

Kulgam killings: ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তরফে বলা হয়েছে, শ্রমিকদের উপত্যকা ছেড়ে দেওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হয়েছে

কুলগামে হত্যা নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ রাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলির

বিরোধীদের অভিযোগ, কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ মোদি-সরকার (প্রতীকি ছবি)

কলকাতা:

জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) জঙ্গিদের হাতে প্রাণ (Kulgam Killings) গিয়েছে এ রাজ্যের পাঁচ জন শ্রমিকের। এরপরেই বিজেপির বিরুদ্ধে একযোগে তোপ দেগেছে তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেসসহ অন্যান্যরা। তাদের অভিযোগ, কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ মোদি-সরকার। বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার সেখানকার “প্রকৃত পরিস্থিতি” গোপন করতে চাইছে বলে অভিযোগ করে কংগ্রেস, তৃণমূল এবং সিপিআইএম, অন্যদিকে, জঙ্গি হামলা নিয়ে রাজনীতি না করার জন্য তাদের কাছে আহ্বান জানিয়েছে “গেরুয়া শিবির”। মঙ্গলবার জম্মু ও কাশ্মীরের কুলগামে, মুর্শিদাবাদের পাঁচজন শ্রমিককে গুলি করে হত্যা করে জঙ্গিরা। জম্মু ও কাশ্মীরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি রয়েছে।

কাশ্মীরে মুর্শিদাবাদের পাঁচ শ্রমিক হত্যায় ‘স্তম্ভিত' মমতা! পরিবারকে সাহায্যের আশ্বাস

নিহতদের বাড়িতে গিয়ে কংগ্রেসের লোকসভার নেতা অধীর চৌধুরী, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে জম্মু ও কাশ্মীরে “ভুল নীতি” কার্যকর করে “পরিস্থিতি খারাপ” করার অভিযোগ তোলেন। সেখানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মরত অ-কাশ্মীরিদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করারও আর্জি জানান।

মৃতদের পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের পরিবারের সদস্যরা যেহেতু “অ-কাশ্মীরি” সেই কারণে, উপত্যকা ছেড়ে দেওয়ার জন্য একাধিকবার তাঁদের হুমকি দিত জঙ্গিরা। আরেকটি চিঠিতে, কাশ্মীরে সর্বদলীয় প্রতিনিধি পাঠিয়ে, সেখানকার পরিস্থিতি যাচাই করা এবং তাঁর ত্রাণ তহবিল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে আর্থিক সাহায্যের আর্জি জানান অধীর চৌধুরী।  সাগরদিঘিতে মৃতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ-এর পর অধীর চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, “প্রতিদিন কাশ্মীরের পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের ভুল নীতির জন্য, এটা হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে, প্রকৃত পরিস্থিতি আড়াল করতে ব্যল্ত কেন্দ্রীয় সরকার”। তিনি এও বলেন, “উপত্যকায় দেশে সর্বদলীয় প্রতিনিধিকে যেতে দিচ্ছে না সরকার, অথচ. ইউরোপিয় প্রতিনিধিদের পাঠাচ্ছে”।

কেন্দ্রের ‘‘ভ্রান্ত নীতি''র ফলে জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে: অধীর চৌধুরী

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে লেখা চিঠিতে অধীর চৌধুরী উল্লেখ করেন, এরাজ্যের, বিশেষ  করে মুর্শিদাবাদের বহু মানুষই কাশ্মীরে কাজ করেন। চিঠিতে বহরমপুরের পাঁচবারের সাংসদ উল্লেখ করেন, “পরিবারের লোকেরা যেহেতু যোগাযোগ করতে পারছেন না, ফলে আপনি তাঁদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করুন। উপত্যকায় কর্মরত সমস্ত শ্রমিকদের নিরাপদে বাড়ি ফিরে আসা প্রয়োজন”। উপত্যকায় এখনও যাঁরা রয়েছেন, পরিবারের লোকেরা যাতে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন, তারজন্য একটি  হেল্পলাইন চালু করারও আর্জি জানান লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা।

কুলগামে জঙ্গি হানায় আহত শ্রমিকের মৃত্যু, মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬

“প্রকৃত সত্য” উদঘাটনের জন্য “ভালভাবে তদন্ত” করার দাবি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে আর্থিক ক্ষতিপূরণেও ঘোষণা করেছেন তিনি। ট্যুইটে তিনি লেখেন, “সুপরিকল্পিতভাবে পাঁচজন নিরীহ শ্রমিককে হত্যা করা হয়েছে। আমরা পুরোপুরি হতবাক। এখন কাশ্মীরে কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচী নেই, এবং আইন ও প্রশাসন পুরোপুরি কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে রয়েছে”। যোগাযোগ করে, হত্যা সম্পর্কে বিস্তারিত খুঁজে বের করার জন্য রাজ্য পুলিশের এক পদস্থ কর্তাকে নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

উপত্যকায় পরিস্থিতি সামলানোয় কেন্দ্রীয়সরকারের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী অরুপ রায়। তিনি বলেন, “৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর হিংসার ঘটনা প্রমাণ করে যে, পরিস্থিতি আরও খারাপ  হয়েছে, এবং মোদি-সরকারের প্রতিশ্রুতিমতো পরিস্থিতি ভাল হয়নি”। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলি সঙ্গে দেখা করেছে স্থানীয় বিধায়ক খলিলুর রহমানের নেতৃত্বাধীন একটি প্রতিনিধি দল, সেখানে যাওয়ার কথা তৃণমূল নেতা তথা  কলকাতা মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিমের।

সিপিআইএমের বর্ষীয়ান নেতা তথা কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, সুজন চক্রবর্তী বলেন, পাঁচজন শ্রমিকের মৃত্যু নিয়ে জবাব দিতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে।

জম্মু ও কাশ্মীরের কুলগামে ৫জন অ-কাশ্মীরি শ্রমিককে হত্যা করল জঙ্গিরা

জঙ্গি হামলার ঘটনা নিয়ে “রাজনীতি করার চেষ্টার” অভিযোগ তুলে তৃণমূলসহ অন্যান্য দলগুলির বিরুদ্ধে তোপ দাগেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার সমস্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে। কুমীরের কান্না করছে বিরোধীরা। পশ্চিমবঙ্গে প্রতিদিন খুন হচ্ছেন বিজেপি কর্মীরা”।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তরফে বলা হয়েছে, শ্রমিকদের উপত্যকা ছেড়ে দেওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হয়েছে। সাংবাদিকদের জারিস শেখ বলেন, “আমার ছেলে এবং অন্যান্যরা কয়েকটি জঙ্গি সংগঠনের থেকে নিয়মিত হুমকি ফোন পেত। তারা অ-কাশ্মীরি হওয়ায় তাদের উপত্যকা ছেড়ে দিতে বলা হত, তারা কাশ্মীরিদের কাজ নষ্ট করছে বলেও অভিযোগ করা হত”।

আজকের গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলি দেখতে ক্লিক করুন: 

নিহত পাঁচ শ্রমিকের মধ্যে  রয়েছেন নইমুদ্দিন শেখ, তাঁর বাবা জারিস শেখ, যিনি নিজে কাশ্মীরে আপেলের বাগানে কাজ করেন।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.