পাকিস্তানে সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে আজ সকাল থেকে চলা পরিস্থিতির মধ্যে বায়ুসেনার পাইলটের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিরোধী দলের নেতারা, আজ সকালে সংসদ ভবনে বৈঠক করেন ২১ টি বিরোধী দলের নেতারা।কিন্তু “সশস্ত্র বাহিনীর বলিদান” নিয়ে রাজনীতি করায় “শাসক দলের নেতা”দের সমালোচনা করা হয়েছে...ইঙ্গিত করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দিকে, যিনি গত সপ্তাহেই কংগ্রেস সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন।
বায়ু সেনার নিখোঁজ পাইলট কি পাক জিম্মায়? ইসলামাবাদের দাবি খতিয়ে দেখছে ভারত
বৈঠক শেষে বিরোধীদের তরফে জারি করা একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আমাদের গণতান্ত্রিক রীতি অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী সর্বদল বৈঠক ডাকেন নি, এটাই দুঃখের কথা”। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “দেশের অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্ত্ব, ঐক্য বজায় রাখতে সরকারের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে দেশকে সঙ্গে নিতে”।
তবে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং বলা হয়েছে, এই পরিস্থিতিতে দেশের পাশে এবং শত্রুপক্ষের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো হবে।
বালাকোটে গতকাল জইশ-ই-মহম্মদের ক্যাম্পে বিমান হানার পর তৈরি হওয়া পরিস্থিতিতে সংসদ ভবনে বৈঠক করে বিরোধীরা। আজ ভারতীয় সেনাকে আক্রমণের চেষ্টা করলে জবাব দেয় ভারতীয় বায়ুসেনা। যখন পাকিস্তানী F-16 বিমান গুলি করে নামানো হয়, ভারতের একটি বিমান নিখোঁজ হয়ে যায় এবং পাইলটকে “নিখোঁজ” ঘোষণা করা হয়।
এ ভাবে চলতে থাকলে পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ আমার বা মোদী কারও হাতেই থাকবে নাঃ ইমরান
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধী, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, তেলুগু দেশম পার্টি সুপ্রিমো চন্দ্রবাবু নাইডু, শরদ পাওয়ার, জেএমএম নেতা শিবু সরেন, বিএসপি নেতা এসসি মিশ্র, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এবং তাঁর দলের নেতা ডেরেক ও ব্রায়েন, শরদ যাদব এবং আম আদমি পার্টি নেতা সঞ্জয় সিং।
প্রবল টেনশনের আবহে ১৪ জন পাক বন্দিকে উচ্চ নিরাপত্তার সেলে রাখল রাজ্য সরকার
সোমবার ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়ালে গিয়ে কংগ্রসের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী, সেখানে গান্ধী পরিবারকে কটাক্ষ করেন, তাঁরা বুলেট প্রুফ জ্যাকেট থেকে হেলিকপ্টার এবং এখন রাফাল যুদ্ধবিমান, কাটছাঁট করেছে।তিনি বলেন, “এটাই কি প্রথম দেশ, না প্রথম পরিবার”।
পাল্টা আক্রণ শানিয়ে কংগ্রেস বলে, ওয়ার মেমোরিয়াল, সৈনিকদের বলিদানের স্মৃতি, সেই অনুষ্ঠানকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা উচিত নয়।