This Article is From Apr 12, 2019

নির্বাচনী বন্ডের বৈধতা মেনে নিল সুপ্রিম কোর্ট

রায় ঘোষণা করে বিচারপতিরা বলেন আমরা নির্বাচন কমিশন এর অবস্থান পরীক্ষা করে দেখেছি।  গোটা বিষয়টি দীর্ঘ শুনানির দাবি রাখে এখন সেই সময় নেই।

নির্বাচনী বন্ডের বৈধতা মেনে নিল সুপ্রিম কোর্ট

হাইলাইটস

  • জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে আদালত জানাল নির্বাচনী বন্ড অবৈধ নয়
  • তবে রাজনৈতিক দলগুলিকে জানাতে হবে তারা কোথা থেকে টাকা পাচ্ছে
  • সরকারের নতুন আইন প্রসঙ্গে প্রশ্ন তুলে দেয় নির্বাচন কমিশন
নিউ দিল্লি:

নির্বাচনী বন্ড (Electoral Bond) বৈধই থাকছে।   জনস্বার্থ মামলার (Public Interest litigation ) প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)   জানালো নির্বাচনী বন্ড অবৈধ নয়। তবে রাজনৈতিক দলগুলিকে জানাতে হবে তারা কোথা থেকে টাকা পাচ্ছে।  নির্বাচনী প্রক্রিয়া (Election Process) শেষ হওয়ার পর মে মাসের 30 তারিখের মধ্যে কারা কারা রাজনৈতিক দলগুলিকে আর্থিকভাবে সাহায্য করেছেন তা জানাতে হবে কমিশনকে।  সর্বোচ্চ আদালতে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলার মূল বক্তব্য ছিল এই নির্বাচন বন্ডের মাধ্যমে অজ্ঞাত উৎস থেকে রাজনৈতিক দলগুলি অর্থ পাচ্ছে। সেই অর্থ নির্বাচনের কাজে খরচ হচ্ছে।  এর পরিণাম ভয়ানক।

রায় ঘোষণা করে বিচারপতিরা বলেন আমরা নির্বাচন কমিশন এর অবস্থান পরীক্ষা করে দেখেছি।  গোটা বিষয়টি দীর্ঘ শুনানির দাবি রাখে এখন সেই সময় নেই। আর তাই এখনকার মত একটি পদক্ষেপ করল সুপ্রিম কোর্ট এটা কারও পক্ষেও নয় কারও বিপক্ষে ও নয়।

এর আগে  লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2019) মুখে ভোটের কাজে ব্যবহার হওয়া টাকা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) সরকারের নতুন আইন প্রসঙ্গে প্রশ্ন তুলে দেয়  নির্বাচন কমিশন (Election Commission) । নতুন আইনে বলা আছে  রাজনৈতিক দলকে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিও টাকা দিতে পারবেন। তাছাড়া  টাকার ঊর্ধ্বসীমাও নির্ধারণ করা হয়নি। কমিশন মনে করে এই আইনের গুরুতর প্রভাব পড়তে চলেছে  নির্বাচন পক্রিয়ার উপর। নগদের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলিকে যাতে কেউ সাহায্য করতে না পারে তার জন্য সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে। সেই মামলার শুনানিতে কমিশন বলেছে, সকারের নতুন আইনের ফলে রাজনৈতিক দল গুলির কাছে বন্যার জলের মতো অর্থ সাহায্য পৌঁছে যাওয়ার পথ সুগম হয়েছে। ভারতীয় সংস্থার পাশাপাশি বিদেশি সংস্থা (Foriegn Funding) এবং কর্পোরেটও টাকা দেওয়ার সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে। দেশের গণতন্ত্রের উপর তার বড় ধরনের প্রভাব পড়তে পারে। এর আগে শীর্ষ আদালতে (Top Court) সরকার জানায় নির্বাচনে কালো টাকার ব্যবহার কমাতেই বন্ড নিয়ে আসা হয়েছে।  কিন্তু আবদনে বলা হয়েছে এই নতুন আইনে কে টাকা দান করেছেন তাঁর নাম জাননো বাধ্যতামূলক নয়। ১ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত বন্ড কেনা যায় এবং  নিজের পছন্দ মতো রাজনৈতিক দলকে সেটি দিয়েও দেওয়া যায়।  

.