This Article is From Jun 16, 2019

একটি শর্তে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় রাজি চিকিৎসকরা

এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসরা বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে আমরা এই অচলাবস্থার অবসান চাই, তবে স্বচ্ছতার জন্য এই বৈঠক রুদ্ধদ্বার হবে না, সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে বৈঠক হবে”।

হাসপাতালে উপযুক্ত নিরাপত্তার দাবি করেন চিকিৎসকরা।

কলকাতা:

এক সপ্তাহ ধর্মঘট (Doctors Strike) চলার পর, তাঁরা সরকারের সঙ্গে আলোচনায় রাজি বলে জানালেন বিক্ষোভরত জুনিয়র চিকিৎসকরা। চিকিৎসাধীন এক রোগীর মৃত্যুর পর, এক জুনিয়র চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ ওঠে মৃতের পরিবারের বিরুদ্ধে। তারই প্রতিবাদে ধর্মঘট (Doctors Strike) শুরু করেন চিকিৎসকরা। এর আগে মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের উপযুক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা এবং সহকর্মীকে নিগ্রহে দোষীর বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ না করা পর্যন্ত কোনও আলোচনা নয় বলে জানিয়ে দেন চিকিৎসকরা। রবিবার বৈঠক বসেন, এনআরএসের চিকিৎসকরা, তারপরেই তাঁরা জানান, “মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে আমরা এই অলচলাবস্থার অবসান চাই, তবে স্বচ্ছতার জন্য এই বৈঠক রুদ্ধদ্বার হবে না, সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে বৈঠক হবে”। সরকারের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও উত্তর দেওয়া হয় নি।

অব্যাহত চিকিৎসকদের ধর্মঘট, মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে বৈঠকের স্থান ঠিক হতে পারে আজ

গত সপ্তাহে ধর্মঘট (Doctors Strike) শুরু করেন চিকিৎসকরা, তারপর থেকেই পশ্চিমবাংলার বাইরে, গোটা দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে চিকিৎসকদের আন্দোলন। শুক্রবার, প্রায় ৩০০ চিকিৎসক, রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল থেকে পদত্যাগ করেন। তাঁদের এই ধর্মঘট, আন্দোলনে সমর্থন জানান, দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সের রেসিডেন্ট চিকিৎসকরা।  অচলাবস্থা কাটার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল শনিবার রাতেই, মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) সঙ্গে কথা বলতে রাজি হয়েছিলেন বিক্ষোভরত চিকিৎসকরা, তবে এনআরএসে বৈঠকের শর্ত দিয়েছিলেন তাঁরা।

কাজে ফিরতে মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন ফেরালেন চিকিৎসকরা: ১০টি তথ্য

ঘটনার সূত্রপাত, সোমবার, ওইদিন রাতে কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে এক রোগীর মৃত্যু হয়। এরপরেই চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুলে হাসপাতালে তাণ্ডব শুরু করেন মৃতের পরিবারের আত্মীয়রা। সেখানেই প্রথমে বচসা এবং পরে এক জুনিয়র চিকিৎককে মারধরের অভিযোগ ওঠে মৃতের পরিবারের বিরুদ্ধে। ওই জুনিয়র চিকিৎসকের মাথায় আঘাত লাগে, গুরুতর অবস্থায় তিনি কলকাতার একটি বেসরকারি হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন।

চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে পরামর্শ রাজ্যপালের

সেই ঘটনার পর থেকেই কাজ বন্ধ করে প্রতিবাদে ধর্মঘটে (Doctors Strike)  সামিল হন জুনিয়র চিকিৎসকরা। উপযুক্ত নিরাপত্তা না দিলে কাজ করবেন না, বলে হুঁশিয়ারি দেন চিকিৎসকরা। সহকর্মীর ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয় নি বলেও অভিযোগ করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।

কথা বলতে চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর তরফে আমন্ত্রণ পাঠানো হয়। নবান্নে চিকিৎসকদের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে কথা বলার প্রস্তাব দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) যদিও সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেন চিকিৎসকরা। তাঁরা সাফ জানিয়ে দেন, তাঁদের কোনও প্রতিনিধিকে রুদ্ধদ্বার বৈঠকের জন্য পাঠাবেন না। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রস্তাবে তাঁরা শঙ্কিত  বলেও জানিয়ে দেন চিকিৎসকরা।

.