পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে সেই ঘটনায় ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়
কলকাতা: দিনচারেক আগেই হাওড়ার টিকিয়াপাড়া লেনে (Tikiapara Lane) একটি মিছিলে সামাজিক দূরত্ববিধি লঙ্ঘন হওয়ায় সেই মিছিল থামাতে গিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে ছিল পুলিশ। পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে সেই ঘটনায় ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তবে রবিবার, আবারও টিকিয়াপাড়া লেনে মানুষের ঢল নামল। যদিও এবার সেই মিছিলের নেতৃত্বেই স্বয়ং পুলিশ। সূত্রের খবর, ২৮ এপ্রিল সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে এদিন শান্তি মিছিলের ডাক দেয় পুলিশ। টিকিয়াপাড়া লেনের সংঘর্ষের ঘটনায় ২ জন পুলিশকর্মী আহত হন। তবে দিন বিশাল সংখ্যায় মানুষকে রাস্তায় নামতে দেখা যায়, বাড়ির ছাদ থেকে পুষ্পবৃষ্টি হয়।
সূত্রের খবর, পুলিশ বিশাল সংখ্যক জমায়েত দেখে পিছু হটে। ছবিতে পরিষ্কার দেখা গিয়েছে এদিনের ঘটনায় সামাজিক দূরত্ব মানা কার্যত অসম্ভব।
হাওড়ার টিকিয়াপাড়ার লকডাউন মানতে বলায় পুলিশকে পাথর ছুঁড়ল জনতা, নামল র্যাফ
লকডাউন মানা হচ্ছে না বলে রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে এই নিয়ে একাধিক চিঠি লিখেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের তথ্য দিয়ে সেখানে সতর্ক করা হয়েছে।
হাওড়ার টিকিয়াপাড়ায় পুলিশের উপরে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে লকডাউন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে। পুলিশের দিকে পাথর ছোঁড়ার পাশাপাশি তাঁদের উপরে হামলা চালানোর অভিযোগ রয়েছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। টিকিয়াপাড়া করোনা সংক্রমণের বিচারে রেড জোনের অন্তর্গত। ২৮ এপ্রিল সেখানেই এক স্থানীয় বাজারে বিপুল লোক সমাগমের খবর পায় পুলিশ। লকডাউনের নিয়ম ভঙ্গ করে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে প্রচুর মানুষকে দেখতে পেয়ে পুলিশ দ্রুত তাঁদের ফিরে যেতে বলে। এক পুলিশ আধিকারিক জানান, ‘‘পুলিশ তাদের বাড়ি ফিরতে বলতেই উন্মত্ত জনতা তাদের দিকে পাথর ছুঁড়তে থাকে এবং তাদের মারতে থাকে। হামলায় পুলিশের দু'টি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।''
হান্দওয়ারা এনকাউন্টারে শহিদ জওয়ানদের শ্রদ্ধা জানিয়ে টুইট প্রধানমন্ত্রীর
আহত দুই পুলিশ কর্মীকেহাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
জানা গিয়েছে, পুলিশ বোঝাতে গেলে তারা পুলিশকে তাড়া করে ইট নিয়ে। পুলিশ পালিয়ে টিকিয়াড়া পুলিশ পোস্টে আশ্রয় নিলে সেখানে পাথরবৃষ্টি করা হয়।
পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেখানে বিপুল সংখ্যক পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়। নামানো হয় র্যাফ।