This Article is From Dec 17, 2018

রথযাত্রা বাতিলের বিরুদ্ধে রাজ্য জুড়ে আইন অমান্য করবে বিজেপি

গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রা হবে কি না এখনও স্পষ্ট নয়। আর তাই গণতন্ত্র বাঁচাও আন্দোলন শুরুর করল বিজেপি। হুগলির আরামবাগ থেকে  সোমবার এই আন্দোলন শুরু করেন বিজেপি নেতা –কর্মীরা।

রথযাত্রা বাতিলের বিরুদ্ধে রাজ্য জুড়ে আইন অমান্য করবে বিজেপি

শনিবার রথযাত্রা বাতিল করার কথা জানায় বিজেপি।

হাইলাইটস

  • হুগলির আরামবাগ থেকে গণতন্ত্র বাঁচাও আন্দোলন শুরুর করল বিজেপি
  • রাজ্যের সব জায়গাতেই মিছিল থেকে শুরু করে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু হয়েছে
  • কলকাতায় এসে তৃণমূলকে আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি
কলকাতা:

গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রা হবে কি না এখনও স্পষ্ট নয়। আর তাই গণতন্ত্র বাঁচাও আন্দোলন শুরুর করল বিজেপি। হুগলির আরামবাগ থেকে  সোমবার এই আন্দোলন শুরু করেন বিজেপি নেতা –কর্মীরা। এর পাশাপাশি রাজ্যের সব জায়গাতেই  মিছিল থেকে  শুরু করে  বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করছে  বিজেপি। রাজ্য প্রশাসন রথযাত্রা  বাতিল করাতেই এই  সিদ্ধান্ত। শুধু তাই নয় আইন অমান্য কর্মসূচি করার কথাও ভাবছেন নেতারা। কলকাতায় সাংবাদিকদের সোমবার রাজ্য বিজেপি সভাপতি  দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘আমরা  গোটা রাজ্যে মিছিল বের করবো। সেখানে যদি  পুলিশ বাধা দেয় তাহলে আইন অমান্য করা  ছাড়া  আর কোনও পথ থাকবে না। '            

 

 
Cyclone Phethai: অন্ধ্র উপকূলে আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড়,মৃত ১, বিপর্যস্ত জনজীবন, ১০টি পয়েন্ট

 

এদিন কলকাতায় আসেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেত্রী স্মৃতি ইরানি। তিনিও রাজ্য সরকারের সমালোচনায় সরব হন। তাঁর  কথায়, আমার মনে হয় রাজ্য  প্রশাসন গণতন্ত্রের কণ্ঠস্বর শুনতে ভয় পাচ্ছে।  রাজ্যে  তিনটি যাত্রা  করতে  চেয়েছিল বিজেপি। তার জন্য   সরকারি অনুমতি পাওয়নি বিজেপি। প্রশাসনের তরফ থেকে  শনিবার রাতে  চিঠি দিয়ে  নিজেদের সিদ্ধান্তের  কথা  জানিয়ে দেওয়া  হয়। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে  বৃহস্পতিবার পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে  বৈঠকে  বসে  বিজেপি। দলের তিন প্রতিনিধি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাশ বিজয়বর্গীয় এবং মুকুল রায় বিকেলের দিকে  লালবাজারে যান। সেখানে ছিলেন মুখ্যসচিব মলয় দে, স্বরাষ্ট্র সচিব অত্রি ভট্টাচার্য,রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র। দুপক্ষের মধ্যে  কয়েকটি বিষয় আলোচনা হয়। সূত্রের খবর রাজ্য  প্রশাসনের তরফে  জানতে বলা  হয় যাত্রার রুটে কিছুটা বদল করতে হবে।    বিজেপি নেতারা বলেন একেবারেই না। রাজনৈতিক যাত্রা নির্দিষ্ট পথেই হবে। এতেই আপত্তি প্রশাসনের।  চিঠিতে  বলা হয়েছে, বড় আকারে তিনটি  যাত্রা  করলে  রাজ্যে অশান্তি ছড়াতে পারে। তা থেকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হওয়ার মতো কোনও ঘটনা ঘটতে  পারে। আরও বলে দেওয়া  হয় কয়েকটি সংগঠন এই যাত্রায় অংশ নেবে। তাতে  পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা।  এরপরই আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নেয় বিজেপি।          

 

 

.