এই ঘটনায় কে বা কারা জড়িত তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে
হাইলাইটস
- পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার ঘটনায় বিশেষ কমিটি করল রাজ্য
- সোমবার এই কমিটি তৈরির ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হল
- স্বরাষ্ট্র সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে মাথায় রেখে কমিটি তৈরি হয়েছে
কলকাতা: পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের (Vidyasagar Statue Vandalism) মূর্তি ভাঙার ঘটনায় বিশেষ কমিটি করল রাজ্য। নির্বাচনী আচরণ বিধি (Model Code Of Conduct) উঠতেই সোমবার এই কমিটি তৈরির ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হল। পাঁচ সদস্যের কমিটিতে থাকছেন রাজ্যের নতুন স্বরাষ্ট্র সচিব (Home Secretory) আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় (Alapan Bandyopadhyay) কলকাতার পুলিশ কমিশনার (CP, Kolkata Police ) অনুজ শর্মা (Anuj Sharma) কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার জাভেদ শামিম, বিদ্যাসাগর কলেজের প্রিন্সিপাল গৌতম কুন্ডু সহ ৫ জন। লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফা ভোটের আগে কলকাতায় বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ রোড শো হয়। সেই রোড শোকে ঘিরে পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে ওঠে।
ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাসাগর কলেজে অবাধে ভাঙচুর চালান হয়। বিদ্যাসাগরের মূর্তিও ভেঙে ফেলা হয়। এই ঘটনায় কে বা কারা জড়িত তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। বিজেপি সভাপতি অভিযোগ করেছেন তাদের বদনাম করতে তৃণমূলই এই কাজ করেছে। অন্যদিকে রাজ্যের শাসক দলের দাবি বিজেপি পশ্চিমবাংলায় অস্থিরতা তৈরি করতে চায়। সেই কারণেই তারা মূর্তি ভেঙেছে। শেষ দফার নির্বাচনের আগে এই ঘটনায় নড়েচড়ে বসে কমিশনও। গোটা দেশের চেয়ে আগে বাংলায় প্রচার প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যায়। শেষ দফার ভোট ছিল ১৯ মে রবিবার। নিয়ম অনুযায়ী প্রচার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার কথা ছিল শুক্রবার। কিন্তু পরিস্থিতি প্রতিকূল হওয়ায় প্রচার প্রক্রিয়া বৃহস্পতিবার রাতেই শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন। শুধু তাই নয় পরবর্তী সময় জানা যায় রাজ্যের দুই পর্যবেক্ষক চেয়ে ছিলেন প্রচার প্রক্রিয়া আরও আগেই শেষ হয়ে যাক। কিন্তু তা হয়নি। কমিশন জানায় প্রচারের মেয়াদ কী হবে তা ঠিক করা পর্যবেক্ষকদের মধ্যে পড়ে না।
এবারের নির্বাচন ঘিরে এরকমই নানা খবর এসে পৌঁছেছে। শেষমেশ নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে অভূতপূর্ব সাফল্য পেয়েছে বিজেপি। এরপর বিদ্যাসাগর কলেজের মূর্তি ভাঙার ঘটনায় কমিটি তৈরি করল সরকার। শুধু মূর্তি ভাঙা নয় মূর্তি কে গড়ে দেবে তা নিয়েও রাজনৈতিক আক্রমণ- প্রতিআক্রমণ দেখেছে পশ্চিমবঙ্গ। উত্তর প্রদেশের একটি সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন ওই জায়গাতেই নতুন মূর্তি গড়ে দেওয়া হবে। পাল্টা মমতা বলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকার নিজেই মূর্তি গড়তে পারে অন্য কারও সাহায্য প্রয়োজন নেই। শুধু তাই নয় মমতাকে বলতে শোনা যায় মোদীর থেকে মূর্তি গড়ার টাকা নেওয়ার আগে গলায় দড়ি দেওয়া ভালো।