This Article is From Jun 29, 2019

শুধু মুসলিম পড়ুয়া নয়, একটাই খাবার ঘর থাকবে সবার, ঘোষণা রাজ্য সরকারের

জাতিভেদ তৈরি করে রাজ্যবাসীর মধ্যে বিভেদ তৈরি করতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘোষণার পরেই এমন কটাক্ষ করেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

শুধু মুসলিম পড়ুয়া নয়, একটাই খাবার ঘর থাকবে সবার, ঘোষণা রাজ্য সরকারের

সবার জন্যেই থাকবে খাওয়ার ঘরের ব্যবস্থা (প্রতীকী)

 কোচবিহার জেলার সরকারি স্কুলগুলিতে মুসলিম পড়ুয়াদের জন্য করা হবে আলাদা খাবার ঘর (Dining Room)। রাজ্য সরকারের (WB Govt) পক্ষ থেকে এই ঘোষণা হতেই শুক্রবার দিনভর বিষটি নিয়ে চলে বিতর্ক। জাতিভেদ তৈরি করে রাজ্যবাসীর মধ্যে বিভেদ তৈরি করতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘোষণার পরেই এমন কটাক্ষ করেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সরকারের পক্ষ থেকে সেই সময় মুখ বন্ধ রাখা হলেও পরে এই নিয়ে বিবৃতি দেন কোচবিহার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিভাগের জেলাপ্রধান । তিনি দিলীপ ঘোষের দাবিকে নস্যাৎ করে দিয়ে বলেন, সরকারি ঘোষণার অপপ্রচারের চেষ্টা করেছে বিরোধী দল। জেলার প্রত্যেক স্কুলে বাধ্যতামূলক ভাবে খাবার ঘর বা ডাইনিং রুমের ব্যবস্থা হবে। এবং তা শুধুই মুসলিম পড়ুয়াদের জন্য নয়। এই ব্যবস্থা চালু করা হবে সমস্ত স্কুলপড়ুয়াদের জন্যেই। 

মুসলিম পড়ুয়াদের জন্য স্কুলে পৃথক খাবার ঘর গড়ার নির্দেশ রাজ্য সরকারের! কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের

তিনি আরও বলেন, কোচবিহার বরাবরই মুসলিম অধ্যুষিত জেলা। এখানে শিক্ষার্থীদের মধ্যেও তাই মুসলিম পড়ুার সংখ্যাই বেশি। সেই কারণে যেসব স্কুলে ৭০ শতাংশ বা তারও বেশি মুসলিম পড়ুয়া রয়েছে সেখানে আলাদা খাবার ঘর তৈরি করে দেবে রাজ্য সরকার, এই তথ্য সম্পূর্ণ ভ্রান্ত। জেলাপ্রধানের এই কথায় সায় দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গে সংখ্যালঘু বিষয়ক মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরও। তাদের কথায়, সমস্ত জেলার সব সরকারি স্কুলে মিড ডে মিলকে সুষ্টুভাবে বাস্তবায়িত করতে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য সরকার। সেই প্রকল্পের অন্তর্গত চারপাশ ঢাকা আলাদা রান্নাঘর এবং খাওয়ার ঘর। যেখানে পরিচ্ছন্ন ভাবে রান্না হবে পড়ুয়াদের জন্য। যাতে মিড ডে মিল খেয়ে কোনও পড়ুয়া অসুস্থ হয়ে না পড়ে। একই ভাবে খোলা জায়গায় বসে খেলে খাবারে পোকা-মাকড়, রোগ-জীবাণু ছড়াতে পারে। তাই ব্যবস্থা করা হচ্ছে ঢাকা খাবার ঘরের। 

পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করতে ইতিমধ্যেই ২০০ কোটি টাকার তহবিল গড়া হয়েছে। যার সাহায্যে ন্যূনতম ৪,৬৪৭টি প্রাথমিক এবং ১,৫২৪টি উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খাবার ঘর তৈরির লক্ষ্য রয়েছে সরকারের। যদিও এই অর্থে সব স্কুলে খাবার ঘর তৈরি সম্ভব নয়। তাই মাদ্রাসার জন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ও চাঁদা তুলছেন। সরকারি তহবিলে দান করা হবে সেই অর্থ। যাতে সেই সমস্ত স্কুলগুলিও এই সুবিধে থেকে বঞ্চিত না হয়। 

সাবধান! এ রাজ্যেও দ্রুত নামছে জলস্তর; জলের অপচয় কমাতে আর্জি মুখ্যমন্ত্রী মমতার

এই বিষয়ে রাজ্য শিক্ষা মন্ত্রকের দাবি, শুধু মুসলিম নয়, রাজ্যের সাঁওতাল অধ্যুষিত এলাকার স্কুলগুলিও যাতে এই সরকারি সুযোগ থেকে বঞ্চিত না হয় সেদিকেও নজর রাখা হচ্ছে একই সঙ্গে।  রাজ্য সরকারের এই ইতিবাচক পদক্ষেপকে বিভ্রান্ত করতেই এমন গুজব ছড়াচ্ছে গেরুয়া শিবির। দাবি, মন্ত্রকের।

.