This Article is From Jun 22, 2020

চোরাশিকার রুখতে গোরুমারা আর সুন্দরবনে নিয়োগ বেলজিয়ান মালিনয়িস-জার্মান শেপার্ড

চোরা-শিকারীদের জব্দ করতে বিশেষ প্রশিক্ষিত দুই 'শিকারী' মোতায়েন করল বন দফতর

চোরাশিকার রুখতে গোরুমারা আর সুন্দরবনে নিয়োগ বেলজিয়ান মালিনয়িস-জার্মান শেপার্ড
কলকাতা:

করোনা সংক্রমণ ও লকডাউন ঘিরে বিশ্ব যখন গৃহবন্দি, তখন রমরমা চোরাশিকারীদের (Poaching in India)। সাম্প্রতিক সমীক্ষা বলেছে, গোটা দেশে অবৈধ প্রাণীহত্যা প্রায় ১৫১ শতাংশ বেড়েছে। এই পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে চোরাশিকার রুখতে বিশেষ উদ্যোগ নিল বন দফতর (WB forest department)। চোরা-শিকারীদের জব্দ করতে বিশেষ প্রশিক্ষিত দুই 'শিকারী' মোতায়েন করল দফতর। জানা গিয়েছে, বিশেষ প্রশিক্ষিত এই শিকারী চতুষ্পদ। একজন বেলজিয়ান মালিনয়িস আর একজন জার্মান শেপার্ড। জানা গিয়েছে, ওরল্যান্ডো আর শ্যানাকে শনিবার কলকাতায় আনা হয়েছে। বিএসএফ স্কুল অফ গোয়ালিয়রে ন'মাস কড়া প্রশিক্ষণ ছিল এই দুই সারমেয়। একজনকে মোতায়েন করা হবে সুন্দরবনে, অন্য জনকে গোরুমারা জঙ্গলে (Gorumara-Sundarban)।

আরও দুই সারমেয় একই স্কুল থেকে প্রশিক্ষণ শেষ করবে ৩০ জুন। তারপর তাদের নিয়ে আসা হবে রাজ্যের বন দফতরের সেবায়। এই চার জন সারমেয় মিলিয়ে রাজ্য ডগ স্কোয়াডে মোট ন'জন সদস্য। ২০১৭ সালে চার জন সদস্য নিয়ে ডগস্কোয়াড শুরু করে বন দফতর। পরের বছর আরও একজন যোগ দেয়। বন্যপ্রাণ রক্ষায় এই পাঁচজনের ভূমিকা অপরিসীম। এদিন জানান এক বনকর্তা।

চোরাশিকারীদের ঘাঁটির খোঁজ ঘ্রাণ শুঁকে বার করতে দক্ষ এই সারমেয়রা। গত বছর গোরুমারায় এক গণ্ডার হত্যায় অভিযুক্ত চার চোরাশিকারীকে ধরতে সাহায্য করেছিল এই সারমেয়রা। তবে শুধু বন্যপ্রাণ চোরাচালান নয়, উত্তরবঙ্গের মাদকপাচার চক্রের অভিযুক্তদের ধরতে সাহায্য করে এরা।

.