“জয় শ্রীরাম”(Jai Shri Ram) স্লোগানকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার হুগলির গুড়াপে। বিজেপি(BJP) ও তৃণমূলের (TMC) সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠ এলাকা। পুলিশের গুলিতে আহত এক ব্যক্তি, বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ। বুধবার রাতে দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়, বৃহস্পতিবার নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, বিজেপির(BJP) রাজ্য সাধারণ সম্পাদক রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে গুড়াপ থানায় হামলা চালানো হয়, দুটি পুলিশ গাড়িতে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি রাস্তা অবরোধ করা হয়। তাদের দাবি, সার্ভিস রিভলবার থেকে গুলি চালানো পুলিশ আধিকারিককে গ্রেফতার করতে হবে। হুগলি জেলা পুলিশ সুপার সুখেন্দু হিরা সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, সকাল ১১.৪৫টা নাগাদ হুগলির গুড়াপে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়।
বিজেপিকে রুখতে একসঙ্গে লড়তে হবে তৃণমূল, কংগ্রেস, সিপিআইএমকে: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
তিনি জানিয়েছেন, খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ বাহিনী। সেই সময় দুর্ঘটনাবশত এক পুলিশ আধিকারিকের সার্ভিস রিভলবার থেকে গুলি ছিটকে যায়। পুলিশ সুপার, সুখেন্দু হিরা বলেন, “ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন তিন-চারজন পুলিশ কর্মী, তাঁদের ওপর হামলা হয়, এমনকী, সার্ভিস রিভলভার ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। সেই সময় দুর্ঘটনাবশত সার্ভিস রিভলভার থেকে গুলি ছিটকে যায় এবং জয়চাঁদ মল্লিক নামে এক ব্যক্তি হন। “জয় শ্রীরাম”(Jai Shri Ram) শোনা গিয়েছে, এমন কোনও সভা হয় নি”।
ভাটপাড়ায় হিংসা, অশান্তির বলি ২, অমিত শাহের দ্বারস্থ হচ্ছে বিজেপি: ১০টি তথ্য
পরে বিষয়টি নিয়ে বিজেপি(BJP) একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার সুখেন্দু হিরা। বিজেপি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, আহত ব্যক্তি বিজেপি সদস্য। তিনি বলেন, “বুধবার আমাদের একটি বিজয় মিছিল হচ্ছিল, সেখানে আমাদের কর্মীরা "জয় শ্রীরাম" (Jai Shri Ram) স্লোগান দিচ্ছিলেন। তাঁদের পথ আটকায় তৃণমূলের(TMC) দুষ্কৃতীরা, পুলিশকে খবর দেওয়া হলে, তারা নিরপেক্ষভাবে কাজ করেনি। আমরা চাই, পুলিশ নিরপেক্ষভাবে কাজ করুক এবং যে পুলিশকর্মীর সার্ভিস রিভলভার থেকে গুল চলেছে, তাঁকে গ্রেফতার করুক”।
“জয় শ্রীরাম” স্লোগান ভাল, কিন্তু বিজেপি যেভাবে ব্যবহার করছে সেটা নয়: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
২৪ ঘন্টার মধ্যে কোনও পদক্ষেপ না করা হলে বৃহত্তরভাবে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিজেপি(BJP)। সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল(TMC) প্রার্থী রত্না দে নাগকে হারিয়ে জয়লাভ করেন বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায়। সেই জয়ের কারণেই বিজয় মিছিলের আয়োজন করেছিল বিজেপি।
ধনেখালির তৃণমূল বিধায়ক অসীমা পাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের যোগের অভিযোগ উড়িয়ে দেন তিনি এবং বিষয়টিকে বিজেপির(BJP) গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল বলে উল্লেখ করেন অসীমা পাত্র।
উত্তেজনা থাকায় এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয় এবং বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বলে জানান জেলা পুলিশ সুপার সুখেন্দু হিরা।