
মার্কিন কংগ্রেসের সাংসদ প্রমীলা জয়পালের সঙ্গে দেখা করায় আগ্রহ নেই তাঁর, বলেন S Jaishankar
হাইলাইটস
- মার্কিন সাংসদ প্রমীলা জয়পালের সঙ্গে বৈঠক বাতিলে তীব্র প্রতিক্রিয়া
- ওই বৈঠকটি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেন কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর
- বিদেশমন্ত্রীর বৈঠক বাতিলের কারণ বিকৃত করা হয়েছে, বলছে সরকারি সূত্র
ওয়াশিংটন ডিসিতে প্রমীলা জয়পাল (Pramila Jayapal) সহ মার্কিন সাংসদদের সঙ্গে নির্ধারিত বৈঠক বাতিল করে দেওয়ার পরেই কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের (S Jaishankar) এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বৈঠক বাতিলের বিষয়ে এই তথ্য সামনে আসে যে, কাশ্মীরের বিষয়ে ভারতের অবস্থানের সমালোচনা করার জেরেই প্রমীলা জয়পালের মুখোমুখি হতে চাননি বিদেশমন্ত্রী। যদিও সরকারি আধিকারিকরা জানিয়েছেন, বৈঠক বাতিলের সিদ্ধান্তের বিষয়ে কারণ হিসাবে বিকৃত তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। মার্কিন হাউসের বিদেশ বিষয়ক কমিটির সদস্য না হওয়াতেই শ্রীমতি জয়পালের সঙ্গে এস জয়শঙ্করের দেখা করার কোনও বাধ্যবাধকতা ছিল না, বলেন আধিকারিকরা। তাঁরা আরও বলেন, "কোনও স্বাধীন দেশের বিদেশমন্ত্রীর অন্য দেশের রাজনীতিবিদদের সঙ্গে দেখা করার জন্য চাপ দেওয়া উচিত নয়।" "রিপাবলিকান জয়পাল মার্কিন হাউসের বিদেশ বিষয়ক কমিটির সদস্য নন এবং ভারতের বিষয়ে তাঁর অবস্থান সুপরিচিত। তাঁর সঙ্গে কোনও বৈঠক করার কথাও নেই তাই। সুতরাং, এইচএফএসি নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে ভারত কোনও শর্ত না রাখলেও এইচএফএসি একতরফাভাবে কমিটির বাইরের একজনকে বৈঠকে রাখতে চেয়েছিল", বলেন সরকারি আধিকারিকরা।
ওই আধিকারিকরা আরও জানান, বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে ওই বৈঠকে "এইচএফএসি ভারতের সম্মতি না নিয়েই অন্যদের আমন্ত্রণ জানানোয়" সেটি বাতিল করা হয়। যদিও পরে এইচএফএসি-র অন্যান্য সদস্যরা এস জয়শঙ্করের সঙ্গে দেখা করেছেন এবং বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন।
কাশ্মীর নিয়ে 'বিতর্কিত রিপোর্ট', মার্কিন সাংসদের সঙ্গে বৈঠক বাতিল করলেন জয়শঙ্কর
এদিকে ডেমোক্র্যাটদের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী বার্নি স্যান্ডার্স টুইট করেন, "মানবাধিকারের পক্ষে দাঁড়ানো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাংসদদের মুখোমুখি হওয়া এড়ানোর মত পদক্ষেপ ভারত সরকার নয়, কোনও স্বৈরাচারী সরকারের কাছ থেকে প্রত্যাশা করি। @রেপজয়পাল ঠিকই বলেছেন। তাঁকে অবশ্যই কাশ্মীরি ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে হওয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে মুখ খোলার কারণে বাদ দেওয়া উচিত নয়"।
Shutting out U.S. lawmakers who are standing up for human rights is what we expect from authoritarian regimes—not the government of India. @RepJayapal is right. She must not be excluded for being outspoken about the unacceptable crackdown on Kashmiris and Muslims. https://t.co/G1lQepLQxF
— Bernie Sanders (@SenSanders) December 20, 2019
আরেক মার্কিন সাংসদ এলিজাবেথ ওয়ারেন বলেন, "প্রমীলা জয়পালকে নীরব করার প্রচেষ্টা গভীরভাবে উদ্বেগজনক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারিত্ব রয়েছে - তবে আমাদের অংশীদারিত্ব কেবল তখনই সফল হতে পারে যদি এটি আন্তরিক সংলাপের ভিত্তিতে হয় এবং ধর্মীয় বহুত্ববাদ, গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারের জন্য এক অপরকে সম্মান করা হয়"।
হোয়াইট হাউসের বৈঠকে এইচ ১বি ভিসা প্রসঙ্গ তুললেন এস জয়শঙ্কর
Efforts to silence @PramilaJayapal are deeply troubling. The U.S. and India have an important partnership—but our partnership can only succeed if it is rooted in honest dialogue and shared respect for religious pluralism, democracy, and human rights. https://t.co/hx5H5Rpxqg
— Elizabeth Warren (@ewarren) December 20, 2019
ডেমোক্র্যাটদের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী কমলা হ্যারিসও এই বৈঠক বাতিলের সমালোচনা করেন।
তিনি টুইট করেন,
It's wrong for any foreign government to tell Congress what members are allowed in meetings on Capitol Hill. I stand with @RepJayapal, and I'm glad her colleagues in the House did too. https://t.co/PpbDoB0zKB
— Kamala Harris (@SenKamalaHarris) December 20, 2019
এর আগে ওয়াশিংটন পোস্টের এক খবরে দাবি করা হয় যে, ভারতের বিদেশমন্ত্রী হঠাৎ করেই এই বৈঠক বাতিল করেছেন। প্রথমে সে দেশের বিদেশমন্ত্রকের তরফে মার্কিন কংগ্রেস সদস্য ও জয়শঙ্করের বৈঠকের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের তরফে দাবি করা হয় যে, প্রমীলা জয়পালকে বাইরে রেখে এই বৈঠক করতে হবে। কিন্তু মার্কিন কংগ্রেস পত্রপাঠ সেই দাবি নাকচ করে দেওয়াতে জয়শঙ্কর ওই বৈঠক বাতিলের সিদ্ধান্ত নেন বলে জানা যায়।
দেখুন এই ভিডিও: