This Article is From Aug 26, 2019

Women's Equality Day 2019: ভোটদানের অধিকার থেকে বৈষম্যহীনতার দাবি, নারীদের সাম্যের এক বহতা লড়াই

গৃহযুদ্ধের যুগে, যখন দাসপ্রথাবিরোধী, নৈতিক আন্দোলনের মতো বেশ কয়েকটি নাগরিক অধিকার আন্দোলন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল, তখন মহিলারাও তাঁদের অধিকার নিয়ে বিপ্লবের ডাক দেন

Women's Equality Day 2019: ভোটদানের অধিকার থেকে বৈষম্যহীনতার দাবি, নারীদের সাম্যের এক বহতা লড়াই

Women's Equality Day; বৈচিত্র থাকুক, বৈষম্য নয়

নিউ দিল্লি:

Women's Equality Day: লড়াই প্রাচীন আবার লড়াই রোজেরও। পিতৃতন্ত্রের বাঁধনে আষ্টেপৃষ্টে বদ্ধ হয়ে আছে নারী পুরুষ সকলেই। প্রকৃতি বরাবর বৈচিত্র তৈরি করতে চায়, কিন্তু সমাজ নিয়মের আবর্তে বৈচিত্রকেই বৈষম্য বানিয়ে ফেলে। রাত করে বাড়ি না ফেরা যদি নিয়ম হয়ে থাকে, তাহলে এই সমাজ পুরুষ ও নারীর জন্য আলাদা বিধান দেগে দেয়। জন্ম গ্রহণ থেকে শুরু করে শ্রাদ্ধ অদ্ভুতভাবেই সমাজ লিঙ্গভেদে আলাদা নিয়ম তৈরি করে দেয়। নারী পুরুষ নির্বিশেষে সেই অযৌক্তিকতাকে বয়ে নিয়ে চলেছে। কিন্তু পালটা লড়াই চলছে সাম্যেরও। সম অধিকারের লড়াই আজকের নয়, সুপ্রাচীন। আবার একই ভাবে এই লড়াই আজও লড়ে যাচ্ছেন মানুষ। লড়ে যাচ্ছেন মহিলারাও, আর লড়ছেন সমতার দাবিতে। সোমবার ২৬ অগাস্ট মহিলা সাম্য দিবস। মহিলা সাম্য দিবস পালিত হয় বিশেষত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১৯ তম সংশোধনী লাগুর উদযাপন হিসেবে। এই সংশোধনীর ফলেই ভোটের অধিকার পান মহিলারা। 

যোনিতে রড নয়, মগজে শিক্ষা ঢোকান.....অর্ধেক নয়, মানুষের জন্য হোক সাম্যের আসমান

সংশোধনটি প্রথম লাগু হয়েছিল ১৮৭৮ সালে। দিনটি প্রথম উদযাপিত হয় ১৯৭৩ সালে এবং তারপর থেকে প্রতি বছরই দিনটি পালিত হচ্ছে। ২৬ আগস্ট, ১৯২০ সালে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেনব্রিজে কলবি এক শতাব্দী আগে শুরু হওয়া ভোটের দাবিতে লড়াইয়ের সমাপ্তির ঘোষণায় স্বাক্ষর করেছিলেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছরই ১৯ তম সংশোধনী পাসের স্মরণে উদযাপিত হয় এই দিনটি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজ্য ও ফেডারেল সরকারকে নাগরিকদের যৌন পরিচয়ের ভিত্তিতে ভোটাধিকারের অধিকার নিশ্চিত করেছিল এই সংশোধনী।

মহিলা সাম্য দিবস ২০১৯: কেন প্রতি বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে এই দিনটি উদযাপিত হয়?

 International Women's Day 2019: বিশ্বজুড়ে মহিলাদের সম্মান জানাতে বিশেষ Google Doodle

গৃহযুদ্ধের যুগে, যখন দাসপ্রথাবিরোধী, নৈতিক আন্দোলনের মতো বেশ কয়েকটি নাগরিক অধিকার আন্দোলন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল, তখন মহিলারাও তাঁদের অধিকার নিয়ে বিপ্লবের ডাক দেন এবং সেই বিপ্লবের অংশ এখনও বিশ্বজুড়েই বহমান। যদিও সেই সময়, মহিলাদের আন্দোলনের পরেও তাদের ভোট দেওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিতই করা হয়েছিল। এই পথ ধরেই এরপরেও এগোতে থাকে মহিলাদের অধিকারের লড়াই। যখন গোটা বিশ্বে বিশেষত সাদা চামড়ার পুরুষদের হাতে বিশ্বের মহিলারা বৈষম্যের শিকার হতেই থাকেন, তখনই আন্দোলন আবারও জোরালো হয়ে ওঠে। দীর্ঘ লড়াইয়ের পরেই সেই ঘোষণাপত্রে সই করা হয়।

মহিলাদের সাম্য দিবসের বিশেষ রঙ বেগুনি এবং মহিলাদের লড়াইয়ের প্রতি সমর্থন দেখিয়েই এই রঙ পরা হয়। এই লড়াইয়ে সংহতি প্রদর্শনের জন্য সোমবার বেগুনি হোক আমাদের মনের রঙ।

বেগুনি রিস্টব্যান্ড: সোমবারের রঙ হোক বেগুনি। সহজেই বেগুনি রঙের ব্যান্ডটি পেতে পারেন বাজারে এবং কব্জিতে পরতেও পারেন। ল্যাটেক্স, রাবার, কাপড় এবং হাতে বোনা এমন বহু ব্যান্ড বাজারে রয়েছে।

বেগুনি টপ/টি-শার্ট: বেগুনি রঙের টপ এই দিনের জন্য উপযুক্ত। নিজের পছন্দ অনুযায়ী ‘মহিলাদের ক্ষমতায়ন' বিষয়ক ও লিঙ্গসাম্যের নানা উদ্ধৃতিও ব্যবহার করতে পারেন।

বেগুনি রিবন: দোকান থেকে বেগুনি রঙের ফিতে সহজেই পেতে পারেন। আজকের এই দিনে নিজের লড়াই এবং লিঙ্গসাম্যের জন্য লড়াইয়ের নিশান হয়ে থাক বেগুনি রিবন।

বেগুনি রঙের স্কার্ফ: বিশ্ব জোড়া এই আন্দোলনকে সমর্থন করতে হলে হেডব্যান্ড হিসেবে বা গলায় বেগুনি রঙের স্কার্ফ পরতেই পারেন।

.