This Article is From Jan 04, 2020

সিএএ: গুয়াহাটির ম্যাচের আগে কী বললেন বিরাট কোহলি

এই আইন নিয়ে এখনই কোনও মন্তব্য করতে নারাজ ভারতীয় ক্রিকেট অধিনায়ক। এই আইনের উপর মন্তব্যর আগে, হয় আমি সিএএ পুরোটা পড়বো, নয়তো এখনই কোনও মন্তব্য করব না

সিএএ: গুয়াহাটির ম্যাচের আগে কী বললেন বিরাট কোহলি

২০১৬ সালে এই বিরাট কোহলি নোট-বন্দীর সিদ্ধান্তকে ভারতীয় রাজনীতির ইতিহাসে যুগান্তকারী বলেছিলেন।

হাইলাইটস

  • এই মুহূর্তে মন্তব্য করা দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো আচরণ হবে।
  • এই আইন নিয়ে এখনই কোনও মন্তব্য করতে নারাজ ভারতীয় ক্রিকেট অধিনায়ক।
  • ২০১৬ সালে কোহলি নোট-বন্দীর সিদ্ধান্তকে যুগান্তকারী বলেছিলেন
গুয়াহাটি:

অবশেষে সিএএ (CAA) নিয়ে মুখ খুললেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। এই আইন নিয়ে এখনই কোনও মন্তব্য করতে নারাজ ভারতীয় ক্রিকেট অধিনায়ক। এই আইনের উপর মন্তব্যর আগে, হয় আমি সিএএ পুরোটা পড়বো, নয়তো এখনই কোনও মন্তব্য করব না। গুয়াহাটিতে সাংবাদিকদের নিজের এই অবস্থান স্পষ্ট করলেন বিরাট কোহলি। জানা গেছে, এই আইন তিন পড়শি মুসলিম অধ্যুষিত রাষ্ট্রগুলো থেকে বিতাড়িত সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেবে। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম আন্তর্জাতিক টি-২০ (T-20I) অনুষ্ঠিত হবে গুয়াহাটির বারসাপাড়া স্টেডিয়ামে। তার আগে দলের প্রস্তুতি নিয়ে চলা সাংবাদিক বৈঠকে বিরাট কোহলি বলেন, 'আমি এই বিষয়ে দায়িত্বজ্ঞানহীন হতে পারবো না। আমাদের সে বিষয়ে মন্তব্য করা উচিত, যে বিষয়ে জ্ঞান আছে। দু'তরফের কথা ভালো করে শোনা দরকার। আগে আমি এই আইনের ওপর লেখা-পড়া করে নিই। আশপাশে কী ঘটছে এবং কেন ঘটছে, ভালো করে বুঝে নিই, তারপর আমার মতামত দেবো।' ২০১৬ সালে এই বিরাট কোহলি নোট-বন্দীর সিদ্ধান্তকে ভারতীয় রাজনীতির ইতিহাসে যুগান্তকারী বলেছিলেন। 

সিএএ বিল আইনে রূপান্তরিত হওয়ার পর সবার প্রথম প্রতিবাদ শুরু হয় অসম-সহ উত্তর-পূর্বে। প্রতিবাদীদের দাবি ছিল, এই আইনে নতুন নাগরিকরা সে রাজ্যগুলির জনজাতিকে প্রভাবিত করবে। যদিও সরকারের দাবি, এই আইনে কোনও ভারতীয় নাগরিক প্রভাবিত হবে না। এবং উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলোর অধিকারও নিশ্চিত থাকবে। সে ব্যাপারেই এদিন ভারতের ক্রিকেট অধিনায়ককে প্রশ্ন করা হয়েছিল। 

তার স্পষ্ট মন্তব্য, 'আপনি একটা কথা বলতে পারেন, ও, আর একটা কথা বলতে পারে। তাই এর মধ্যে আমি ঢুকবোই না, যতক্ষণ না নিজে বিষয়টা বুঝে উঠতে পারছি। এই মুহূর্তে মন্তব্য করা দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো আচরণ হবে।' যদিও এতো হিংসাত্মক আন্দোলনের পর আবার নিজের ছন্দে গুয়াহাটি, এটা দেখে শনিবার সন্তোষপ্রকাশ করলেন বিরাট কোহলি। নিরাপত্তা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেছেন, শহর একদম নিরাপদ। আমি রাস্তায় কোনও সমস্যা দেখলাম না।  

জানা গেছে, অসম ক্রিকেট সংস্থা এই ম্যাচকে আইপিএলের প্রস্তুতি ম্যাচ হিসেবে দেখছে। কারণ আইপিএলের ইতিহাসে এবার প্রথম আইপিএলের ম্যাচ এই স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। কারণ রাজস্থান রয়্যালস এই মাঠ লিজে নিয়েছে। ম্যাচের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে অসম ক্রিকেট সংস্থার সচিব দেবজিৎ সাইকিয়া বলেছেন, রাপিড অ্যাকশন ফোর্স মাঠের নিরাপত্তার দায়িত্বে। দর্শকদের রুমাল কিংবা তোয়ালে নিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ। কারণ, এ রাজ্যে সিএএ-বিরোধী আন্দোলন চলাকালীন বেশির ভাগ প্রতিবাদী অসমীয়া স্কার্ফ হাতে পথে নেমেছিলেন। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে এএদিন মনটা জানিয়েছেন দেবজিৎ সাইকিয়া।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.